আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2170

কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিচার চেয়ে জেলা আ.লীগের সংবাদ সম্মেলন

:: প্রতিনিধি, নোয়াখালী ::
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে নোয়াখালীতে সংসদ সম্মেলন হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলের অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে জেলা আ.লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় লিখিত বক্তব্য রাখেন করেন, নোয়াখালী শহর আ.লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগ নেতা সামছুদ্দিন জেহান, সদর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান নাছের, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ইমন ভট্ট, যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান।

বক্তারা আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপরাজনীতির অভিযোগ করে আর নিজেই অপরাজনীতিসহ নানা অনিয়ম করে বেড়াচ্ছেন। তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে দলীয় প্রধান তথা সরকার প্রধান শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং সাংসদদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অশোভন আচরণ করে যাচ্ছেন। বিএনপি-জামায়াতের মতো রাষ্ট্রযন্ত্রের তথা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্র বিরোধীও। উল্লেখ্য কাদের মির্জা সম্প্রতিক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম কয়েক দফা ঘোষণা এবং ছাত্রলীগ,যুবলীগের উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দেয়া নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ক্ষমতাসীন আঃলীগের রাজনীতি। জেলার নেতৃত্ব তার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। একজন পৌর মেয়র কি করে উপজেলা বিভিন্ন সংগঠনের কমিটি ভেঙ্গে দিতে পারেন। তার ক্ষমতার উৎস কোথায় থেকে আসে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন । এমন অবস্থায় নেতাকর্মীরা আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি-২০২১/জেডএন

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি-২০২১/জেডএন

রাজশাহীতে চিকিৎসককে ফাঁসিয়ে চাঁদা দাবি : নারী আটক

:: জামি রহমান, রাজশাহী ::
মাথা ঘুরার কথা বলে বাসায় ডেকে চিকিৎসকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। এ সময় ওই চিকিৎসকের থেকে ২০ লাখ টাকাও দাবি করা হয়। এ সময় ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ফাঁকা কাবিন নামার ভলিয়মে স্বাক্ষার নেওয়ার অভিযোগ করেছেন মাহবুব আলম নামের ওই চিকিৎসক। এর পর নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলাও করেছেন ভুক্তভোগি চিকিৎসক।

পরে পাপিয়া সুলতানা পলি (৩০) নামের ওই নারীকে নগরীতে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব আলম চন্দ্রিমা থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। আর চন্দ্রিমার বারিন্দ মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করতেন। পড়াশোনা কালীন পাপিয়া সুলতানার সাথে যোগাযোগ হয় পাশের ভাড়াটিয়া সূত্রে। সেই সুবাদে তার মেয়েকে (১৭) প্রাইভেট পড়াতেন মাহবুব। এতে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর  সূত্র ধরে মাঝে মধ্যে ফোনে চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ নিতেন অভিযুক্ত পলি। ঘটনার দিন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অভিযুক্ত পলি মাহবুবকে ফোনে জানান তার প্রচুর মাথা ব্যথা করছে। তাই বাইরে বের হয়ে ওষুধ কেনা তার পক্ষে সম্ভব না। এতে করে ওষুধ কিনে আনতে বলে মাহবুবকে। পরে মাহবুব ওষুধ ও ডাব কিনে নিয়ে আসে পলির বাসায়। এর কিছুক্ষন পরে অজ্ঞতনামা ৫ থেকে ৬ জন রুমের ভেতরে প্রবেশ করে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে পলির লোকজন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা মৃত্যুর ভয় দেখায়। এছাড়া ১০০ টাকা মূল্যে তিনটি ফাঁকা স্ট্যাম্পেসহ কথিত কাজী একটি ফাঁকা কাবিন নামা ভলিয়মে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়।

চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুম মনির বলেন- মামলার পরে অভিযান চালিয়ে পাপিয়া সুলতানা পলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে  চালান  দেওয়া হয়েছে  ।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি-২০২১/জেডএন

নোয়াখালীতে আ. লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩, আহত ৩৫

:: প্রতিনিধি, নোয়াখালী ::
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের সাথে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কোম্পানীগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে, এছাড়াও অন্তত দুই পক্ষের ৩৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭জনের অবস্থা আশংকাজনক।

আজ শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারের তরকারি বাজারের সামনে এই ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। গুলিবিদ্ধরা হলেন, উপজেলার বড়রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২০), বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)। অপরদিকে গুরুতর আহতরা হচ্ছে, চরফকিরা ইউনিয়নের মো.কাঞ্চন (৬০), মুছাপুর ইউনিয়নের আবুল খায়েরের ছেলে মাসুদ (২৫), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আবদুস সাত্তারের ছেলে কামরুল হাসান (৩০), চরফকিরা ইউনিযনের আবদুল মান্নানের ছেলে ফরহাদ (৪০), চরফকিরা ইউনিয়নের বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮) বসুরহাট পৌরসভা এলাকার আদনান (২৪), মারফ (২৫)। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো.সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি আরো জানান, গুলিবিদ্ধ ৩জনসহ গুরুতর আহত ৫জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের কমিটি ভেঙ্গে দিলে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জানুর রহমান বাদল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশীরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাদের মির্জা উপস্থিত হলে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি-২০২১/জেডএন

জামালপুরে রেলওয়ে ওভারপাস প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্থ মালিকদের মধ্যে চেক বিতরণ

প্রতিনিধি, জামালপুর: জামালপুর শহরের গেটপাড় এলাকার প্রধান সড়কে বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ভুমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ মালিকদের মধ্যে এল এ চেক বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মালিকদের মধ্যে চেক বিতরণ ও মতবিনিময় সভায়
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী,
সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোজাফফর হোসেন সিআইপি, জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন মল্লিক ভোলা প্রমুখ।
প্রকল্পের আওতায় (এল.এ মামলা নং- ৬/২০১৭-১৮) মূলে অধিগ্রহণকৃত ক্ষতিগ্রস্থ ৪১ জন ভূমির মালিকের হাতে ২য় পর্যায়ে ১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের এল.এ চেক বিতরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ৭৩৮ দশমিক ৪১ মিটার দীর্ঘ রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করছে জামালপুর সড়ক বিভাগ।
ভূমি অধিগ্রহণ ও রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩৪৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু মাত্র ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ২৯১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে বাকী ৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারিতে তমা কনস্ট্রাকশন, মেসার্স জামিল ইসলাম ও মেসার্স মইন উদ্দিন বাঁশি যৌথভাবে কাজটি শুরু করে। ২০২০ সালের জুনে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি’২১/এসএএইচ

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ডিমলায় জমি সহ ঘর পাচ্ছেন আরও ১৫০টি পরিবার

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে যাচ্ছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার আরও ১৫০টি ভূমিহীন ও গৃহনীয় পরিবার। আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলার ১৫০টি পরিবারকে এসব ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।সরকারের খাস জমিতে আধাপাকা এসব ঘর(বাড়ি)নির্মান করে দেয়া হচ্ছে।প্রতিটি ভুমিহীন ও গৃহনীয় পরিবারের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার(১৮ ফেব্রুয়ারি)দুপুরে ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ী গ্রামে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিবাস’এ ৭৬টি পরিবারের আধাপাকা ঘরের কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, ডিমলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়, অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী কমিশনার(ভুমি)মনোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান,খগাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন, উপজেলা আওলীগ সাধারণ সস্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু,আমার বাড়ি আমার খামারের উপজেলা সমন্বয়কারী,ইমরুল কায়েস, ত্রান শাখার উপ-প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম,ইউপি সদস্য কালাম ও রব্বু প্রমুখ।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

বাঁধের কাজে অনিয়ম করেও সরকারের লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পিআইসি কমিটি।

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার গুরমার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম। অনিয়ম করে ছাড়াও পাচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) । বাঁধের গুড়া থেকে মাটি উত্তোলন করে নির্মাণ হচ্ছে ফসল রক্ষা বাঁধ। বাঁধের মাটি বাঁধে দিয়ে চলছে বাঁধ নির্মাণ। অনিয়মের পরেও ছাড় পাচ্ছে পিআইসি’র কমিটি। সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা পরিদর্শন করে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলছে স্থানীয় কৃষকরা। এসব অনিয়মের বিষয়টি চোখে পরে হাওর ঘুরে দেখার মাধ্যমে । অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ২৬,৪১,৪২,৪৩,৪৪,৪৫,৪৬,নং পিআইসি’র উপর। কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী মোঃ রাকিবুল হাছান (উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব) বলছেন বাঁধের মাটি বাঁধ হতে কমপক্ষে ১৫ মিটার দূর থেকে উত্তোলন করতে হবে। কিন্তু ২৬,৪১,৪২,৪৩,৪৫,৪৫,৪৬ নং প্রকল্পের সদস্যরা বাঁধ হতে আনুমানিক অনেকেই ১০-১৫,১৫-২০,২০-৩০ ফুট দূর থেকেই মাটি উত্তোলন শুরু করেছে। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে কৃষক।

উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালে হাওরে বন্যায় ব্যাপক ফসলহানীর পর হাওরবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার কাবিটা নীতিমালা-২০১৭ প্রণয়ন করে। নীতিমালায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করে সম্পূর্ণরূপে কৃষকদের সমন্বয়ে পিআইসির মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ করার নীতি প্রবর্তন করেন। এ নীতিমালায় আগের চেয়ে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ অনেক ভালো হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। তবে নির্ধারিত ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে এবং তাড়াহুড়োর কারণে কাজের মান বজায় রাখতে না পারলে হাওরের ফসল রক্ষা কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যায়। যা কারো কাম্য নয়।এবছর প্রায় অনেক পিআইসি কমিটি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারবে।

তবে বর্তামানে পিআইসি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে রুপ নিচ্ছে। অনেকেই বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য ফেলে এসে যুক্ত হয় বাঁধ নির্মাণের কাজে। বরাদ্দকৃত টাকার ৪০-৫০% টাকা দিয়েই কন্ট্রাকে মাটি ভারাট কাজ করছে।

রইছ মিয়া নামক কৃষক জানায় এভাবে কাছ থেকে বাঁধের মাটি তুললে বাঁধ শক্ত হবে না। এটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হওক।

অনিয়মের বিষয়ে মোঃ রাকিবুল হাছান
(উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব,উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা পাউবো, তাহিরপুর)জানতে চাইলে তিনি জানান, বাঁধের মাটি কমপক্ষে ১৫ মিটার দূর থেকে আনতে হবে। যদি কোনো পিআইসি বাঁধের কাছ থেকে মাটি আনে তাহলে সে উক্ত টাকা গুলো পাবে না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, বিষয়টি আমি তাদের সাথে কথা বলে দেখবো।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

পটুয়াখালীতে একই পরিবারে ৫৭ জন পবিত্র আল-কোরআন শরীফের হাফেজ!

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় একই পরিবারে ৫৭ জন পবিত্র আল-কোরআন শরিফের হাফেজ হয়েছেন। এই বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতিমধ্যে জেলায় সুনাম কুড়িয়েছেন৷ খোঁজ নিয়ে জানাযায়,তিনি সদর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মো,নূর মোহাম্মদ এর পুএ একাত্তরোর্ধ্ব শাহজাহান হাওলাদার।
তিনি ইসলামকে প্রধান্য দিয়ে নিজ পরিবারের ৫৭ জনকে পবিত্র আল-কোরআন শরিফের হাফেজ বানিয়েছেন। এরা হলেন হাফেজ মাওলানা মজিবুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নূর হোসেন, হাফেজ মাওলানা আবু বকর, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হাসান, হাফেজ মাওলানা মো. সোলাইমান, হাফেজ মাওলানা এমদাদুল্লাহ্, হাফেজ মাওলানা তালহা, হাফেজ ইব্রাহীম, হাফেজ মো. জোবায়ের, হাফেজ মাওলানা সালাহ্ উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা সালমান, হাফেজ মাওলানা জোনায়েদ, হাফেজ মাওলানা সফিক, হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, হাফেজ মাওলানা সাইফুল্লাহ্, হাফেজ মাওলানা আবদুল্লাহ্, হাফেজ মাওলানা লোকমান, হাফেজ মাওলানা রাইহান, হাফেজ মাওলানা ইমরান, হাফেজ মোহাম্মদ, হাফেজ মাওলানা ইলিয়াস, হাফেজ আহমদ, হাফেজ মাওলানা নোমান, হাফেজ মাওলানা রেদওয়ান, হাফেজ মাওলানা রোহান, হাফেজ মাওলানা সানাউল্লাহ্, হাফেজ মাওলানা সাকাওয়াতুল্লাহ্, হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ্, হাফেজ আবদুল আলীম, হাফেজ মাওলানা জোবায়ের, হাফেজ মাওলানা আবদুল্লাহ্,হাফেজা মাওলানা মানসুরা, হাফেজা মাওলানা ফারহা, হাফেজা মাওলানা মারওয়া, হাফেজা মাওলানা ফাতেমা, হাফেজা মাওলানা রাহিমা, হাফেজা বুশরা, হাফেজা ইসরা, হাফেজা মোসা. খাদিজা, হাফেজা মোহাইমিনা, হাফেজা মুসফিকা, হাফেজা মোবাশ্বেরা, হাফেজা সামসুন্নাহার, হাফেজা নাসিমা, হাফেজা সুমাইয়া, হাফেজা মারজান, হাফেজা আফনান, হাফেজা রাউয়ান, হাফেজা খানসা, হাফেজা মনিরা, হাফেজা উম্মেহানী, হাফেজা নাসরিন, হাফেজা নাদিফা, হাফেজা আম্মারা, হাফেজা আয়শা, হাফেজা সামাইয়া মনি, হাফেজা আবু হোরায়রা, হাফেজ হুজাইফা।
সরেজমিন ঘুড়ে দেখাযায়, জামিয়া ইসলামীয়া আমেনা খাতুন মহিলা মাদ্রাসায় শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে হাফেজ জোবায়ের শিক্ষার্থীদের কোরআন পড়াচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা সুমধুর কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াত করছে।
জানাগেছে, বাউফল সদর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রাম এলাকার বাসিন্দা হাজি আকরাম আলী হাওলাদার পেশায় একজন পণ্ডিত ছিলেন। হাজি আকরাম আলী হাওলাদারের ছেলে নুর মোহাম্মদ হাওলাদার, তিনিও পেশায় পণ্ডিত ছিলেন। নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে হাজি শাহজাহান হাওলাদার। বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের বোলতলী গ্রাম এলাকার বাসিন্দা কাঞ্চন মুন্সি সিকদারের মেয়ে মাঞ্জুরা বেগমের সঙ্গে পরিবারিকভাবে শাহ্জাহান হাওলাদারের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। শাহ্জাহান ও মাঞ্জুরা দম্পতির ঘর আলোয় আলোকিত করে একে একে ছয় ছেলে ও চার মেয়ে জন্ম নেন।
শাহজাহান হাওলাদার বাউফল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। অথচ তিনি নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠান করেছেন হাফেজিয়া মাদ্রাসা। পবিত্র কোরআনের হাফেজ বানিয়েছেন নিজের ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের অন্যদেরও। তাদের বিয়েও দিয়েছেন হাফেজদের সঙ্গে। সব মিলিয়ে পরিবারের এখন ৫৭ জন কোরআন শরিফের হাফেজ। বাড়ির ছোটরাও হাটছেন ঐ একই পথে।
একান্ত সাক্ষাৎকালে মো,শাহজাহান হাওলাদার দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের প্রতিনিধিকে জানান, তার বাবা (নুর মোহাম্মদ) ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তিনি হজ্ব পালন করতে সৌদি আরবে যান। সেখানে হজ্ব পালনরত অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তার বাবা হাফেজদের ছোট বেলা পছন্দ ও খুব ভালোবাসতেন। এ কারণেই লক্ষ্য স্থির করেছেন, পরিবারের সবাইকে তিনি হাফেজি পড়াবেন।
সই লক্ষমাত্রাকে বুকে লালন করে ও সূত্র ধরে আত্মীয়তাও করেছেন হাফেজ পরিবারের সঙ্গে। পরে ছেলে-মেয়েদের বিয়েও দিয়েছেন হাফেজদের সঙ্গে। এরপর তার ইচ্ছা অনুযায়ী, তার ছেলে-মেয়েরাও তাদের সন্তানদের হাফেজি পড়িয়েছেন ও বর্তমানে পড়াচ্ছেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ৪৫ বছর আগে স্ত্রীর ১৩ ভরী স্বর্ণ ও ১৩ কেজি রুপা মাদ্রাসায় দান করা হয়। তা দিয়েই আমাদের বাড়ির সামনে প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়। এখনো নিজের খরচে মাদ্রাসা পরিচালনা করছি। সরকারি কোনো সহায়তাও পাইনি। তিনি জানান, ছেলেদের মাদ্রাসা পরিচালনা করেন তার ছেলেরা এবং মেয়েদের মাদ্রাসা পরিচালনা করেন তার মেয়ে ও ছেলের বউয়েরা। আমার যা ছিল, তার সবকিছু মাদ্রাসা স্থাপন ও পরিচালনায় খরচ করি। তারপরও মাদ্রাসার সব খরচ পোষাতে পারি না। এ জন্য সরকার যদি এতিম ছেলে-মেয়েদের জন্য সহায়তা করত, তাহলে ভালো হতো, বলেন তিনি।
শাহজাহানের পঞ্চম ছেলে হাফেজ জোবায়ের বলেন, আমিসহ আমার বাবার ছয় ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে ও তার আট ছেলে-মেয়ে এবং এক মেয়ে জামাতা সৌদি আরব থাকেন। বাকি সবাই ব্যবসার পাশাপাশি হাফেজি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছি। ঢাকা, বরিশাল, বাউফলসহ ২৫টি মাদ্রাসা স্থাপন করেছি। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে অনেকে ৮০টি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় মেহেন্দী প্লাস আশরাফুল কওমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মাওলানা মাইনুল ইসলাম জানায়, সমাজে একই পরিবারের ৫৭ জন কোরআন শরিফের হাফেজ হওয়ায় শাহজাহান হাওলাদার জেলায় সুনাম কুড়িয়েছেন। এটা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পটুয়াখালী জেলার বাউফলে।
শাহজাহান হাওলাদারের চাচাতো ভাই ফয়েজ আহম্মেদ বলেন, চাচাতো ভাইয়ের পরিবারের সব সদস্য আল্লাহর দিনের কাজ শিক্ষা গ্রহণ করেছে, এটা আমাদের জন্য নয় সকল মুসলমান জাতির জন্য গৌরবময় ইতিহাস হয়ে থাকবে আজীবন।

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

বনবিভাগ এবং উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ৩ টি অবৈধ ডাম্পার আটক

প্রতিনিধি কক্সবাজারঃ কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ এবং উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ৩টি ডাম্পার আটক করা হয়েছে। ১৩ ফ্রেব্রুয়ারী দিবাগত রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবিরের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করেন। উখিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার গাজী শফিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, উখিয়ার বিভিন্ন এলাকায় একটি শক্তিশালী চক্র পাহাড় খেটে অবৈধ বালি উত্তোলন করে আসছিল।
বিষয়টি কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) হুমায়ুন কবিরের নজরে আসলে তিনি অভিযানের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বনবিভাগের যৌথ অভিযানে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বালিভর্তি এসব ডাম্পার আটক করা হয়।
উখিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার গাজী শফিউল আলম জানান,-মাটিভর্তি ৩টি ডাম্পার আটক করা হয়। উখিয়ার দক্ষিণ ফলিয়াপাড়া, দক্ষিণ পুকুরিয়া এবং থাইনখালী এলাকা থেকে। ডাম্পার আটক পূর্বক রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে । এ ঘটনায় ২জন আটক পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করে জড়িতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, -পাহাড় কাটা আর অবৈধ ডাম্পারের বিরুদ্ধে বন বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান , অবৈধ বালু উত্তোল, সরকারি বন ভূমি জবরদখলমুক্ত , পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ সজাগ রয়েছেন।তথ্য দিয়ে তিনি সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান। সরকারি বন ভূমি উদ্ধার, অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে বন বিভাগের প্রাত্যহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

পটুয়াখালীতে চেক জালিয়াতি মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামি মাসুদ আলম গ্রেপ্তার!

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন বদরপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের হকতুল্লাহ্ গ্রামের বাসিন্দা মো,সুলতান মোল্লার ছেলে মাসুদ আলম মোল্লা(৪৫)কে চেক জালিয়াতি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।

সুত্রে জানাযায়,গত বৃহস্পতিবার ১৮ ই ফেব্রুয়ারী ২১ ইং তারিখ বিকেলে বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার তেলিখালী ব্রীজের পশ্চিম পার্শে হকতুল্লাহ গ্রাম থেকে তিন মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মাসুদ আলম মোল্লাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার এ,এস,আই মান্নান সঙ্গীয় ফোর্স এর সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করেছে।

থানা পুলিশ সুত্রে জানায়,উক্ত আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) চেকের এনআইএক্ট মামলা হয়, যাহার সেসন মামলা নং-১৯০/১৮ ইং এছাড়াও জানাযায় অপর একটি মামলায় জামিন নেন তিনি। মামলাটি বিজ্ঞ দায়রা জজ ১ম আদালত ২৭ শে জুন ২০১৯ ইং তারিখ আসামিকে ৩ মাসের সাজা প্রদান করেন কোট।ঐ আদালতের রায়ের পর আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক ছিলেন বলে জানাযায়।

উক্ত মামলার বাদী একই গ্রামের বাসিন্দা মো,আলতাফ হোসেন হাওলাদার মামলা সংক্রান্তে সাক্ষাৎকালে একাধিক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তেমন কিছু বলতে পারব না,এলাকার বিভিন্ন জনে ফোন করেছে আমাকে। আমি চাপের মধ্যে আছি।
উক্ত ব্যপারে বদরপুর ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার মো,লোকমান,এর মুঠোফোন ০১৭৫৩-৩১৩৩৯৩) নাম্বারে ফোন করে সার্বিক বিষয় জানতে তার ব্যবহারকৃত সেলফোন একাধিক বার ফোন করলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি।
এব্যপারে এ,এস,আই আব্দুল মান্নান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,চেক জালিয়াতি মামলা ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী ছাড়ার কোন প্রশ্নই আসেনা,আসামীকে কোর্টে প্রেরন করা হবে বলে তিনি জানান।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

রাজশাহী নগরীতে বোয়ালিয়া থানা ৫০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রতিনিধি রাজশাহীঃ রাজশাহী নগরীতে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আরএমপি’র বোয়ালিয়া মডেল থানাপুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ী হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নামো জগন্নাথপুর ফুলদিয়ারী গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে কারন আলী (৩৭)।
রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় কারন আলীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে