আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2178

ফুটেছে ফুল, বাসন্তীসুরে পর্যটকদের ডাকছে তাহিরপুরে জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগান

তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ এসে গেছে শীতের বিদায়ী বার্তা,গাছে গাছে পলাশ ও আমের মুকুলের আগমনের প্রকৃতিতে আগমন ঘটেছে ঋতুরাজ বসন্তের।এরই ধারাবাহিকতায় হাওর বেষ্টিত এলাকার পর্যটন কেন্দ্রের অন্যতম পর্যটন স্পট সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লালগালিচার কেন্দ্রস্থল শিমুল বাগান।’

উল্লেখ্য-গত বছর করোনা ভাইরাসের থাবায় থমকে যায় দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের ভিড়,তবে এই বছর ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের আগেই সারাদেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন সেবাদান চলমান।সবশেষে করোনার অবস্থা স্থিতিশীলও রয়েছে। এরই মধ্যে সতর্কতার সহিত প্রর্যটকদের আসার আনাগুনা শুরু হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র শিমুল বাগানে।

রুপের জাদুকাটা নদী তীর ঘেঁষা মানিগাঁও এলাকায় ১০০ বিঘা জমিতে ২০০৩ সালে ৩ হাজারের অধিক সারি সারি বেঁধে শিমুলের চারা শখের বসে রোপন করেন,বৃক্ষ-প্রেমিক বাদাঘাট ইউনিয়নের সোহালা গ্রামের প্রয়াত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন।তার নাম অনুসারে ওই বাগানের নাম করন করা হয়েছে”জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগান”এই বাগানের অপার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দলবেঁধে আসেন দেশের একপ্রান্ত হতে অন্য প্রান্তের ভ্রমন পিয়াসু প্রকৃতি প্রেমিকগনেরা।’
বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দলবেঁধে ছুটে আসেন স্কুল-কলেজ,ইউনিভার্সিটি,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষানবীশ ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক,শিক্ষিকা থেকে শুরু করে সকল শ্রেণীর প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজন।আবার অনেকেই আসেন শিক্ষা-সফর বনভোজনে।বর্ষাকালে জাদুকাটা নদী হয়ে শিমুল বাগানে নৌ-যোগে ছুটে আসেন পর্যটকগন।বিশ্ব ভালোবাসা দিবসেও উপছে পড়া বিড় হয় শিমুল বাগানে।নানা বাহারি নতুন পোষাক পরিধান করে সেল্ফিতে মেতে উঠেন বাগানে আসা ভ্রমন পিয়াসুগন।
আপনিও ছুটির দিনে প্রিয়জনদের নিয়ে চলে আসতে পারেন,লাল গালিচার যৌবন-সজ্জিত দৃষ্টিনন্দন জয়নাল আবেদীন শিমুল বাগানে।কথায় আছে যদি মনকে পরিষ্কার অথবা ভালো রাখতে চান তাহলে বেঁচে নিন প্রর্যটন কেন্দ্র ভ্রমন,যা আপনার মনকে সজীবতায় সজ্জিত করে নতুন করে চলার প্রেরণা যোগাবে।’

যেভাবে যাবেন-জেলা শহর সুনামগঞ্জ আব্দুর জহুর সেতু হতে আপনার সুবিদার্থে সিএনজি,মোটর সাইকেল,মাইক্রোবাস,লেগুনা দিয়ে লাউড়ের গড়,তারপর সরাসরি মোটর সাইকেল যোগে শিমুল বাগানে চলে আসতে পারবেন

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

শরীয়তপুরে নানা আয়োজনে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালন।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরে নানা আয়োজনে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালন করছে জেলা ছাত্র ইউনিয়ন। রবিবার সকাল ১০টায় শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্বৈরাচার প্রতিরোধের শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে জেলা ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি সাইফ রুদাদ বলেন, ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের গণবিরোধী মজিদ খান শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন জাফর, জয়নাল, মোজাম্মেল, দিপালী, কাঞ্চনসহ নাম না জানা অনেকে। কিন্তু কালের আবর্তনে এদেশের ছাত্র সমাজ ভালোবাসা দিবসের নামে ভুলতে বসেছে সেই গৌরবের ইতিহাস, দুঃখের বিষয় ভ্যালেন্টাইন ডে’র ইতিহাসও তারা জানে না। আমরা সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে স্বৈরাচার প্রতিরোধের শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করব।’

শ্রদ্ধাঞ্চলি অর্পন শেষে শরীয়তপুর শহর কমিটির কোষাধ্যক্ষ প্রীতম কুমার রায়ের নেতৃত্বে জেলা ছাত্র ইউনিয়নের মুখপত্র ‘বিবর্তন’-এর স্বৈরাচার প্রতিরোধ সংখ্যা বিতরণ করা হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমেদ ঢালী, কোষাধ্যক্ষ পারভেজ সাইম, দপ্তর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক মেহেদী হাসান সাজ্জাদ, ইসরাত জাহান জুইসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

টাঙ্গাইলে দু’টি পৌরসভায় ভোটগ্রহন চলছে

প্রতিনিধি টাঙ্গাইলঃ চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহন চলছে।সকাল আটটা থেকে গোপালপুরে ইভিএম পদ্ধতিতে ও কালিহাতীতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহন শুরু হয়েছে।চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।কালিহাতী ভূইয়া কামার্থী কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়,দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে উৎসুক ভোটাররা।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় গোপালপুর পৌরসভায় একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৯টি ওয়ার্ডের ১৮টি কেন্দ্রে ১৮জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি’র ৩টি টহল টিম, র‌্যাবের ৩টি স্ট্রাইকিং পার্টি, ৩৬৩জন পোশাকধারী পুলিশ ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কালিহাতী পৌরসভায় একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৯টি ওয়ার্ডে ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি’র ২টি টহল টিম, র‌্যাবের ২টি স্ট্রাইকিং পার্টি, ২৭৩জন পোশাকধারী পুলিশ ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।নির্বাচন চলাকালে ভোটার কেন্দ্র আসতে বাঁধা দেওয়া বা প্রভাবিত করার চেষ্টা প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল দল সার্বক্ষণিক তদারকিতে রয়েছ।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহনের ব্যবস্থা রয়েছে।
গোপালপুর পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ পৌরসভার ১৮ভোটকেন্দ্রের ১০৮টি বুথে মোট ৪০ হাজার ৭৩৫জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ২০ হাজার ১০২ জন ও নারী ভোটার ২০ হাজার ৬৩৩ জন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রকিবুল হক ছানা(নৌকা), আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী(স্বতন্ত্র) প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার কেএম গিয়াস উদ্দিন(নারকেল গাছ), বিএনপি প্রার্থী খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল(ধানের শীষ) ও বিএনপির বিদ্রোহী(স্বতন্ত্র) প্রার্থী মো. শাহজাহান ভিপি(জগ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ১০জন, ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হচ্ছেন- আ’লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ নুরুন্নবী সরকার, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আলী আকবর জব্বার, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী(বহিস্কৃত) স্বতন্ত্র প্রার্থী নারকেল গাছ প্রতীকের মো. হুমায়ুন খালিদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের জামিল আল মামুন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকের মো. হাসান হাসনাত মিশু।
এ পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রের ৭৪টি বুথে মোট ২৮ হাজার ৬৫৫জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ৬৩৯ জন এবং পুরুষ ১৪ হাজার ১৬ জন।
টাঙ্গাইলের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এইচএম কামরুল হাসান জানান, চতুর্থ ধাপে জেলার দু’টি পৌরসভায় রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গোপালপুরে ইভিএম’এ ও কালিহাতীতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহন করা হবে।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

কলাপাড়া পৌর নির্বাচন উপলক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারী ব্রিফিং সভা অনুষ্ঠিত।

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং তারিখ কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও ভোট গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে এক ব্রিফিং সভার আয়োজন করা হয়।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১ ঘটিকার সময় কলাপাড়া শেখ কামাল অডিটরিয়াম সংলগ্ন শিশু পার্ক মাঠে আয়োজিত পুলিশ সদস্যগণ, আনসার সদস্যগণকে নিয়ে ব্রিফিং প্রদান করা হয়।
এ সময় পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম তার বক্তব্যে দিক নির্দেশণায় আয়োজিত কেন্দ্র, মোবাইল ফোন স্ট্রাইকিং, স্ট্যান্ডবাই ইত্যাদি অফিসার সহ ফোর্সগণকে প্রয়োজনীয় মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান সহ করনীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেন এসময়।
এছাড়াও ব্রিফিং শেষে পুলিশ সুপার মোহম্মদ মইনুল হাসানের পক্ষ থেকে সকলকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরিকৃত দুপুরের খাবারের জন্য একটি করে লাঞ্চ প্যাকেট ও পানির বোতল প্রদান করা হয় সকল সদস্যদের মাঝে।
উক্ত সভায় অন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা,পটুয়াখালী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর), উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা প্রমুখ।

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

বসন্তের রঙে ভালোবাসা দিবস

‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত’ – কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতাটি যেন বসন্তের সূচনা বার্তা৷ আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। ফুল ফোটার পুলকিত এই দিনে বন বনান্তে কাননে কাননে রঙিন কোলাহলে ভরে উঠবে চারদিক। এ সময়েই শীতের জীর্ণতা দূরীভূত হয়ে সেজে উঠবে প্রকৃতি। প্রকৃতির এই পরিবর্তন জানান দেয় নতুন কিছুর। এ যে ঋতুরাজ বসন্ত।

বসন্তের আগমনী বার্তায় এ বছর যোগ হলো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বাঙালীরা এ বছর একই দিনে ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত বরণের সাক্ষী হতে চলেছে। ঋতুরাজ বসন্ত বরণের দিনটি নির্ধারণ থাকলেও ভালোবাসার জন্য লাগে না কোন দিবস। তবে প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারী ভ্যালেন্টাইনের প্রেমকাহিনীকে অবলম্বন করে দিনটি পালন করা হয়। ভালোবাসা শব্দটি নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট সীমাবদ্ধ নয়। বরং ভালোবাসা রয়েছে সবার মধ্যে। এটি জগৎ জুড়ে এক মায়ার বন্ধন। মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রেমিক-প্রেমিকা সবাই ভালবাসার অংশ।

ভালবাসা দিবসটির পেছনেও রয়েছে কিছু ঘটনা কিছু ইতিহাস। ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীন রোমে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল রোমান দেব-দেবীর রানী জুনোর সম্মানে ছুটির দিন। জুনোকে নারী ও প্রেমের দেবী বলে লোকে বিশ্বাস করত। কারো করোমতে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হওয়ার কারণ ছিল এটিই। আবার কেউ বলেন, রোমের সম্রাট ক্লডিয়াস ২০০ খ্রিস্টাব্দে দেশে বিয়ে প্রথা নিষিদ্ধ করেন। তিনি ঘোষণা দেন, আজ থেকে কোনও যুবক বিয়ে করতে পারবে না। যুবকদের জন্য শুধুই যুদ্ধ। তার মতে, যুবকরা যদি বিয়ে করে তবে যুদ্ধ করবে কারা? সম্রাট ক্লডিয়াসের এ অন্যায় ঘোষণার প্রতিবাদ করেন এক যুবক। যার নাম ভ্যালেন্টাইন। অসীম সাহসী এযুবকের প্রতিবাদে খেপে উঠেছিলেন সম্রাট।রাজদ্রোহের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা মাথা কেটে ফেলা হয় তার। ভালোবাসার জন্য ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতে তখন থেকেই এ দিনটিকে পালন করা হয় ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে। তবে এটিও সর্বজন স্বীকৃত নয়। এখানেও দ্বিমত আছে। কারও কারও মতে, প্রাচীন রোমে ভ্যালেন্টাইন নামে একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি রোগীদের প্রতি ছিলেন ভীষণ সদয়। অসুস্থ মানুষের ওষুধ খেতে কষ্ট হয় বলে তিনি তেঁতো ওষুধ ওয়াইন, দুধ বা মধুতে মিশিয়ে খেতে দিতেন। সেই ডাক্তার খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। প্রাচীন রোমে খ্রিস্টধর্ম তখন মোটেও জনপ্রিয় ছিল না। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের শাস্তি দেওয়া হতো। একদিন রোমের এক কারা প্রধান তার অন্ধ মেয়েকে ভ্যালেন্টাইনের কাছে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। ভ্যালেন্টাইন কথা দিয়েছিলেন তিনি তার সাধ্যমতো চিকিৎসা করবেন। মেয়েটির চিকিৎসা চলছিল এমন সময় হঠাৎ একদিন রোমান সৈন্যরা এসে ভ্যালেন্টাইনকে বেঁধে নিয়ে যায়। ভ্যালেন্টাইন বুঝতেপেরেছিলেন, খ্রিস্টান হওয়ার অপরাধে তাকে মেরে ফেলা হবে। ২৬৯ খ্রিষ্টাব্দে বা কারও মতে ২৭০খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রোম সম্রাট ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।তার আগে ভ্যালেন্টাইন অন্ধ মেয়েটিকে বিদায় জানিয়ে একটি চিরকুট লিখে রেখে গিয়েছিলেন। তাকে হত্যার পর কারা প্রধান চিরকুটটি দিয়েছিলেন মেয়েটিকে। তাতে লেখা ছিল, ‘ইতি তোমার ভ্যালেন্টাইন’ (‘ঋৎড়স ুড়ঁৎ ঠধষবহঃরহব’)। মেয়েটি চিরকুটের ভেতরে বসন্তের হলুদ ত্রৌকস ফুলের আশ্চর্য সুন্দর রং দেখতে পেয়েছিল কারণ, ইতোমধ্যে ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় মেয়েটির অন্ধ দু’চোখে দৃষ্টি ফিরে এসেছিল। ভালবাসার এসব কীর্তির জন্য ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ জেলাসিয়ুস ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে এই দিনটিকে মানুষেরা ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে পালন করে আসছে। কিন্তু শুধু একটি দিন ভালোবাসার জন্য? এ প্রশ্নে কবি নির্মলেন্দু গুনের ছোট্ট জবার, “ভালোবাসা একটি বিশেষ দিনের জন্য নয়, সারাবছর সারাদিন ভালোবাসার। তবে আজকের দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে বেঁছে নিয়েছে।

বসন্তের আগমনী বার্তা মানুষের মনে এক রঙের ছোঁয়া। প্রকৃতির নতুনত্বের সাথে নিজেকেও নতুনভাবে মেলে ধরতে চায় অনেকে। স্বপ্ন, ইচ্ছাকে নতুনরূপে সাজানোই যেন মনের বাসনা। বসন্তের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে। ১৪ই ফেব্রুয়ারী তাই বসন্তের রঙে ভালোবাসা যেন রঙিন হয়ে উঠে। বাসন্তি রঙে সাজে মানুষের মন। প্রকৃতির সুবাসের ন্যায় ভালোবাসার সুবাসও ছড়িয়ে পড়ে পরতে পরতে। প্রকৃতি ও মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত আজকের ১৪ই ফেব্রুয়ারীর দিনটি। একদিকে বাহ্যিক রঙিনয়া মানুষের মাঝে ছড়ায় নানা ভাবে অন্যদিকে মনের রঙিনতা ছড়ায় ভালোবাসার টানে।

এই ভালোবাসা দিবসের জন্য অপেক্ষা নেহাত কম মানুষের নহে। ভালোবাসা প্রকাশের জন্য এই দিনটিকেই বেঁছে নেয় অসংখ্য যুগল। তাদের অসংখ্য মনের কথা যে প্রকাশ করতে হবে এ দিনেই। ভালোবাসা দিবসে কেউ ছোটে প্রিয়জনের কাছে কেউবা আপনজনের কাছে। কেউ ছুটে যায় ছিন্নমূল শিশুদের কাছে। এই দিনটিকে স্বরণ করে রাখতে থাকে অনেক পরিকল্পনা, আমেজ, সাজসজ্জা অপরদিকে অনেক সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিকট এ দিবস যেন অন্যান্য দিনের মতোই। তবে তাদের প্রিয়জন আপনজনের নিকট থাকে না ভালোবাসার কমতি।

একদিকে বসন্ত যেমন প্রকৃতিকে নতুনরূপে সাজায় তেমনি মনের বসন্তকে নতুন রূপ দেয় ভালোবাসা নামক দিবসটি। তারুণ্যের মনে জোয়ার আনুক বসন্তের অগ্রযাত্রা। ভালোবাসা বিস্তার করুক প্রতিটি মানুষের মনে। ভালোবাসার পবিত্রতা যেন রক্ষিত থেকে মানুষের মনবাসনা পূর্ণতা পায়। প্রকৃত ভালোবাসা আর প্রকৃতির ভালোবাসায় তরুণরা উজ্জীবিত হোক। এবছর ১৪ই ফেব্রুয়ারী বসন্তের বরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের যৌথ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হোক। বসন্তের রঙে হয়ে উঠুক জীবন ভালোবাসাময়। বসন্তের মতো জীবনের পথচলা হোম রঙিন। সকলকে বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা রইলো।

আলোকিত প্রতিদিন/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

বাবালীগে পরিণত হয়েছে ছাত্রলীগ!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই ছাত্রলীগের ইতিহাস। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির ধারক বাহক সংগঠনটির বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। বিশেষ পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পাওয়ার পর আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্য সংগঠনটির ক্লিন ইমেজ ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। যদিও জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের নানামুখী তদবিরে যথেষ্টই বিরক্ত তারা। তবে শেখ হাসিনার দায়িত্ব হিসাবে তারা সকল অপশক্তির চাপকে কাটিয়ে নতুন করে ছাত্রলীগের সুনাম ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জও গ্রহণ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন খোদ জয়-লেখক। বাংলাদেশ ছাত্রলীগে কোনো অছাত্র ও বিবাহিতদের ঠাঁই দেয়া হবে না বলেও সরাসরি জানিয়েছেন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
এদিকে, মেয়ের বাবা ও অছাত্রদের দিয়ে চলছে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের দলীয় কার্যক্রম। ফলে সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ছে।সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ৫ বছর পূর্বে ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ কাজী রাজু আহম্মেদ বুলবুলকে সভাপতি এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ছয় সদস্যবিশিষ্ট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এক বছরের কমিটি পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও মানিকগঞ্জ জেলায় দীর্ঘদিন ধরে জেলা ছাত্রলীগ কোনো সম্মেলন না হওয়ায় সাধারণ  নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
এতে জেলা ছাত্রলীগলের রাজনীতি নেতৃত্ববিহীন হয়ে পড়েছে। কিছু সংখ্যক ছাত্রনেতা পদ প্রত্যাশী হয়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখলেও দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলার ছাত্র সংগঠনের বর্তমান কমিটির পদপদবিধারী অধিকাংশ নেতার ছাত্রত্ব নেই।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী রাজু আহামেদ বুলবুল ৩ বছর আগে ধুমধাম আনুষ্ঠানিকতা করে বিয়ে করেন। তাঁর এক মেয়ে রয়েছে। সাংগঠনিক সস্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতারাই বিয়ে করে সাংসারিক কাজে ব্যস্ত রয়েছে। তারা এখন চাকরি, ব্যবসাবাণিজ্য, ঠিকাদারি ও সংসার নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ছাত্রনেতারা নেতৃত্বে থাকার ফলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। পদ পাওয়ার আশায় শীর্ষ নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছে অনেক ছাত্রনেতা।
তবে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের একজন সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী নাম প্রকাশ না করে জানান, বর্তমান কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদের কমপক্ষে সভাপতিসহ একাধিক নেতা বিয়ে করেছেন। বেশির ভাগের সন্তানও আছে। ৭০-৮০ জন নেতার ছাত্রত্ব নেই। দলের নেতা-কর্মীরা অনেকবার দাবি করার পরও নতুন কমিটি হচ্ছে না। এই কমিটির নেতারা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন না। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা চরম ক্ষুব্ধ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ২৭ বছর বয়সী যেকোনো ছাত্র বা ছাত্রী ছাত্রলীগের সদস্য হতে পারবেন। তবে গত ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণা দেন। অর্থাৎ বর্তমানে ২৯ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীরাই ছাত্রলীগের কমিটিতে সদস্য হতে পারবেন। বিবাহিত ব্যক্তিদের বিষয়ে গঠনতন্ত্রে কিছু বলা নেই। তবে শেখ হাসিনার নির্দেশের কারণে বিবাহিত ব্যক্তিদের কোনো পদে না রাখা অলিখিত নিয়ম বলেই মনে করা হয় ছাত্রলীগে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন,খুব দ্রুতই মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দ্রুত নতুন কমিটি করে দিবো, সভাপতি বিবাহিত এটা শুনেছি। তিনি বলেন, কমিটিও মেয়াদ শেষ, ফলে সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ছে। দ্রুতই নতুনদের হাতে কমিটি তুলে দেওয়া হবে। এছাড়াও যে সব জেলায় কমিটি মেয়াদীর্ত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে, পুরনো মেয়াদর্ত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে, সেসব জেলায় দ্রুত নতুনদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে।।
আলোকিত প্রতিদিন/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

প্রকাশিত সংবাদে ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম আজাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

সীমান্তবাংলা.কম সহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক অর্ধশতাধিক নারী যৌন লালসার শিকার এবং ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ভোক্তভোগী নারীর অভিযোগসহ কল রেকর্ড ভাইরাল শীর্ষক সংবাদ আমার দৃৃৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত  সংবাদ এবং জেলা ছাত্রলীগের নিকট যোগাযোগ মাধ্যম  মোবাইল ফোনে অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিগত প্রায় ২ মাস যাবত কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ফেইক আইডিতে মিথ্যা ভিত্তিহীন কাল্পনিক যে কল্পকাহিনী সাজানো হয়েছে  তা একটি মহলের গভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। মূলত আমি স্কুল জীবন থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ, লালন এবং পালন করে তৃণমূল তথা স্কুল ইউনিয়ন  পর্যায় থেকে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে ছাত্রলীগ করে আসছি। পরিশ্রম, সততা এবং ন্যায়নীতি আমার ছাত্ররাজনীতির বড় হাতিয়ার। পরিশ্রম, সততা,ন্যায়নীতি এবং আদর্শকে বড় হাতিয়ার  হিসেবে আমার  জীবনের প্রতিটি পর্যায় এবং আমার কর্মকান্ডে বাস্তবায়ন করে আসছি। বিগত ২০১৮ সালে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ  উখিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। তারপর থেকে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে আমার ছাত্রলীগের আদর্শকে নস্যাৎ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে । বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে তথ্য প্রযুক্তি অবৈধ পন্থায় ব্যবহার করে আমার ফেইসবুকে আপলোড করা  ব্যক্তিগত ছবি জয়েন্ট ও কিছু ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে অপপ্রচার চালাচ্ছে । “মাহফুজা খানম” নামে একটি ফেইক ফেইসবুক আইডিতে প্রতিদিন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর স্ট্যাটাস দিয়ে আমার প্রতিপক্ষরা ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে একটি মিশনে নেমেছে। এমনকি উক্ত ফেইসবুক আইডি থেকে বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক”কে ১৫ লাখ  টাকা দিয়ে,  ম্যানেজ করে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি এমন অপপ্রচার  চালিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়টি খুবই হাস্যকর এবং উক্ত মিথ্যা ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে আমি খুব বিব্রতবোধ করছি। এমনকি আমি  নবগঠিত জেলা ছাত্রলীগের প্রথম বর্ধিত সভায় আমার বক্তব্যে  স্পষ্ট ভাবে বলেছিলাম, আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ আপনারা চাইলে কাউন্সিলর এর মাধ্যমে  সম্মেলনপূর্বক  অথবা  নতুন কমিটি করতে পারেন, আপনারা যে সিদ্ধান্ত নিবেন আমি সেই সিদ্ধান্ত মাথা পেতে  নিব। বর্ধিত সভায় স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়ার পরেও   ফেইক আইডি থেকে অপপ্রচার চালিয়ে বিশেষ ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টাই মেতে উঠেছে একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র।তার অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে কল করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ করে ফাঁদে ফেলে আমার ছাত্র রাজীনীতিকে ধ্বংস করার নিমিত্তে মিশনের টার্গেট বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। বাস্তবিক অর্থে এসব কিছু  অভিযোগ, বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ, অপপ্রচার ফেইক আইডি একটি চক্রের নির্দিষ্ট মিশন বাস্তবায়নের ছক।
আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন উজ্জীবিত সৈনিক। এসব অপপ্রচার ষড়যন্ত্র কে দূরে ঠেলে দিয়ে একদিন ইনশাআল্লাহ সত্যের জয় হবে। অন্ধকার কেটে শীঘ্রই আলোর দেখা মিলবে। এসব অপপ্রচার, মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজ, ফেইক আইডির স্ট্যাটাস সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কল রেকর্ড ভাইরালে আমি মোটোও বিচলিত নয়। আমি জানি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আদালত আল্লাহর , আমি যদি জীবনে কখনো কারো ক্ষতি করে থাকি তাহলে সেটা আল্লাহর তরফ থেকে আমার উপর পতিত হবে। আর আমি যদি অপরাধী হিসেবে প্রমানিত হয় তাহলে অবশ্যই আমি আমার সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ও আইনগত যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিব এবং মেনে নিতে বাধ্য। পাশাপাশি জাতির বিবেক সাংবাদিকদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ  যাচাই-বাছাই পূর্বক বস্তুনিষ্ট সংবাদ  পরিবেশন করুন। কারো প্ররোচনায়  ইচ্ছাকৃত ভাবে ষড়যন্ত্রপূর্বক আমার ছাত্র রাজীনিতিকে কলঙ্কিত করবেন না । এ ব্যাপারে আমার  জেলার অভিভাবক , ছাত্রলীগের ভাই ও বোনেরা , প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এবং শুভাকাঙ্ক্ষী সহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি ।
প্রতিবাদকারী
ইব্রাহিম আজাদ
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
উখিয়া উপজেলা, কক্সবাজার।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
আলোকিত প্রতিদিন/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

রাত পোহালে শিবগঞ্জ পৌর নির্বাচন | প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিবে পৌরবাসি

প্রতিনিধি, চাপাইনবাবগঞ্জ  : রাত পোহালেই রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার ভোট। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম।
 শনিবার দুুপুরের পর ১৫টি ভোট কেন্দ্রে পাঠানো হয় এ ভোটিং মেশিন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোতাওয়াক্কিল রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ১৫টি কেন্দ্রের জন্য মোট ১৫৫টি ভোটিং মেশিন পাঠানো হয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন এ জন্য ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি, ২ প্লাটুন বিজিবি, আনাসার ও ডিবি পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।১৫ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।তবে ৯ নং ওয়ার্ডের এক ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থি মারা যাওয়ায় ঐ ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন অফিস। নির্বাচনে মোট ৩২ হাজার ৯’শ ৭৯ জন ভোটারের মধ্যে পুরষ ১৬ হাজার ৪৩২ জন ও ১৬ হাজার ৫৪৭ জন নারী ভোটার প্রথমবারের মতো ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১/জেডএন

মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ঘিওর উপজেলা ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা নিয়ে জেলা ছাত্রলীগ কমিটির বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে পদ বঞ্চিত ও সদ্য সাবেক কমিটির নেতাকর্মীরা।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলা কমিটি কর্তৃক অনুমোদন দেয়া হয় ঘিওর উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি। অনানুষ্ঠানিক এ কমিটি ঘোষণার পরপরই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে পদ বঞ্চিতরা। অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগ ঘিওর উপজেলার ছাত্রলীগ কমিটিতে নতুন মুখের আগমন ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের।

এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি মো: আজিম মিয়া জন বলেন, আমাদেরকে না জানিয়ে অর্থ গ্রহণের মাধ্যমে শুক্রবার রাতে ঘিওর উপজেলা ছাত্রলীগের যে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাতে ত্যাগী সক্রিয় নেতাকর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা ওই অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে এবং জেলা ছাত্রলীগের এরুপ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছি ও এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।

এ দিকে ঘিওর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: রওশন ইয়াজদানী সুমন বলেন, জেলা কমিটি আমাদের কমিটি গণমাধ্যম অর্থাৎ ফেসবুকের মাধ্যমে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভেঙ্গে না দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা দেন। আমরা ঘিওর উপজেলা ছাত্রলীগ এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৩ ফেব্রুয়ারি-২০২১/জেডএন

চট্টগ্রাম বন্দরে বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে ১১ হাজার কোটি টাকার পণ্য

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বন্দরে পাঁচ বছর ধরে পড়ে আছে ১১ হাজার কোটি টাকার পণ্য। নির্দিষ্ট সময়ে নিলাম না হওয়ায় বন্দরে পণ্যের জটলার পাশাপাশি জায়গার সংকট তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্মকর্তারা জানান, নয় হাজার ৮৭০ চালানের বিপরীতে ৮ হাজারের বেশি কনটেইনার ভর্তি পণ্য আটকে আছে। যার ওজন প্রায় ১২ হাজার ৩২১ টন। সংশ্লিষ্টরা জানান, খালাস না হওয়া এসব পণ্য বন্দরের বিপুল পরিমাণ জায়গা দখল করে রেখেছে। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সরবরাহ না হওয়া পণ্যের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টরাও আমদানিকারকদের কাছ থেকে ওইসব কনটেইনারের ভাড়া না পাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বন্দর আইন অনুযায়ী, বন্দর থেকে আমদানি করা পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ সময়ে পণ্য খালাসে ব্যর্থ হলে বন্দর কর্তৃপক্ষ নিলামের মাধ্যমে এসব বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান জানান, কোন চালানের সময়সীমা যদি ৩০ দিন পেরিয়ে যায়, তাহলে বন্দর কর্তৃপক্ষ সেটা আনুষ্ঠানিক ভাবে নিলাম প্রক্রিয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি আরো জানান, আমদানিকারকরা চালান পরিত্যক্ত রাখায় বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব চালান বিপরীতে প্রাপ্ত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিত্যক্ত এসব চালানের যাতে জট না লাগে সেজন্য কাল বিলম্ব না করেই নিয়মিত নিলামের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দাফতরিক কাজে বিলম্ব এবং আমদানিকারক ও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জবাব পেতে বিলম্বের কারণে নিলাম ডাকতে দেরি হয় এবং বেশি সময় লাগে। ফয়সাল জানান, পাঁচ বছরে এসব আটকে থাকা পণ্যের কারণে কাস্টম হাউজ ৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এখন বন্দরে আটকে থাকা শতাধিক পণ্যের মধ্যে রয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্য, কসমেটিকস, রাসায়নিক, প্লাস্টিক, অটোমবাইল, ইলেক্সট্রনিক, চামড়াজাত পণ্য, নির্মাণ সামগ্রী, টাইলস এবং সিরামিকস। নিয়মিত নিলাম আয়োজনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, শিপিং এজেন্ট এবং বিভিন্ন সংস্থা আলাদা করে কাস্টমস এবং এনবিআরকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছে। ইনসক্যাপ শিপিং লাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারের বিদ্যুৎ বিল বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেয়ার পাশাপাশি পচনশীল পণ্য বা পণ্য ধ্বংস করার ব্যয় শিপিং এজেন্টকেই বহন করতে হয়। নিলাম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে কাস্টমস হাউজগুলো ২০১৫ সালে ই-টেন্ডারের উদ্যোগ নিয়েছিল।
বন্দর কর্মকর্তা এবং আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, আমদানি করা পণ্য ডেলিভারি না নেয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এরমধ্যে স্থানীয় বাজারে পণ্যের মূল্য পড়ে যাওয়া, শিপমেন্টের পক্ষে প্রকৃত নথিপত্র জমা দিতে ব্যর্থতা, ক্লিয়ারেন্স পারমিট রিপোর্ট না পাওয়া, অনিয়মের অভিযোগে আরোপিত জরিমানা দিতে আমদানিকারকদের অস্বীকৃতি উল্লেখ্য।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ডেলিভারি না হওয়া কনটেইনারের কারণে বন্দরের ভেতরে অনেক জায়গা আটকে আছে। এতে বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে। তিনি বলেন, বন্দরের জায়গা আটকে রাখা এসব কনটেইনার ভাড়া দেওয়া যায় না। তাই এসব কনটেইনারের কারণে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে