আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 2175

সিরিজে সমতা আনল ভারত

প্রথম টেস্ট ২২৭ রানের বড় ব্যবধানে হার ভারতের। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টেই বলে-ব্যাটে দারুণভাবে ফিরল টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে এক প্রকার উড়িয়েই দিয়েছে কোহলি বিগ্রেড। ভারত জিতেছে ৩১৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। দারুণ এই জয়ে চার ম্যাচ সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আনল ভারত। রানের দিক থেকে ভারতের এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ জয়। রানের ব্যবধানে ভারতের সর্বোচ্চ জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, ৩৩৭ রান। ২০১৫ সালে দিল্লিতে।

চেন্নাই টেস্টে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে বিশাল টার্গেট দিয়েছিল ভারত। জিততে ইংল্যান্ডকে করতে হতো ৪৮২ রান। বিশ্বরেকর্ড গড়ে এই টেস্ট জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬৪ রানে। বল ও ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের স্পিনার রবি চন্দ্রন অশ্বিন।

প্রথম ইনিংসে রোহিতের সেঞ্চুরিতে ভারত করেছিল ৩২৯ রান। জবাবে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অল আউট হয় মাত্র ১৩৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিনের সেঞ্চুরিতে ভারত করে ২৮৬ রান।
জবাবে ইংল্যান্ড ছন্নছাড়া। কেউ পাননি ফিফটির দেখা। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন যে, সেই মঈন আলী নিখাদ বোলার। যার ওপর ভরসা ছিল সবচেয়ে বেশি, সেই অধিনায়ক জো রুট ৯২ বলে করেছেন ৩৩ রান। তবে মঈন আলী খেলেছেন টি টোয়েন্ট ফরম্যাটে। ৪৩ রান করেন মাত্র ১৮ বলে। যার মধ্যে ছিল ৫টি ছক্কা ও তিনটি চারের মার।

এছাড়া লরেন্স ২৬, বার্নস ২৫ রান করেন। বল হাতে ভারতের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল। অশ্বিন তিনটি ও কুলদীপ যাদব দুটি উইকেট নেন।

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদে শুরু হবে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট। একই ভেন্যুতে ৪ মার্চ শুরু হবে চতুর্থ ও শেষ টেস্ট।

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

৪ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ৪ লাখ টাকা জরিমানা

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিঃ তারিখ মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তর, ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ বায়েজিদুর রহমান এর নেতৃত্বে এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব এ, এইচ, এম, রাসেদ এর উপস্থিতিতে ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় ০৪ (চার) টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে মোট ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। মোবাইল কোর্টে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব কাজী সাইফুদ্দীন ও পরিদর্শক জনাব মনিরুজ্জামান শেখ এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ। মোবাইল কোর্টে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৯ লঙ্ঘনের দায়ে নিম্নলিখিত ০৪ (চার) টি ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়:
ক) মেসার্স ফকির ব্রিকস্, স্বত্বাধিকারী: জনাব এখলাস আলী ফকির, খালাসীডাঙ্গী ছলেনামা, আকোটেরচর, সদরপুর, ফরিদপুর। জরিমানার পরিমান ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা।
খ) আর এ এস ব্রিকস্, স্বত্বাধিকারী: জনাব সুশীল চন্দ্র দাস, শ্যামপুর, সদরপুর, ফরিদপুর। জরিমানার পরিমান ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা।
গ) এইচ বি এফ ব্রিকস্, ম্যানেজার: জনাব আঃ মান্নান, মুটকচর, সদরপুর, ফরিদপুর। জরিমানার পরিমান ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা।
ঘ) মর্ডান ব্রিকস্ ম্যানুফ্যাকচার (গইগ), স্বত্বাধিকারী: জনাব শুভজয় দত্ত, শুকদেব নগর, মানিকদহ, সদরপুর, ফরিদপুর। জরিমানার পরিমান ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা।
উল্লিখিত ০৪ (চার) টি ইটভাটায় সর্বমোট ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
ভবিষ্যতেও অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরণের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

সাদুল্লাপুরে হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার পীরের হাট বান্নী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৬টা থেকে নিখোঁজ হন তারা। নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন সাদুল্লাপুর উপজেলার তিলকপাড়া গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (১১), একই গ্রামের রেজাউল করিম এর ছেলে শিপন (১০) ও পলাশবাড়ীর আশমতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম শরিফ বাবু (৯)। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মেহেদী হাসান বাদী হয়ে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সাধারণ ডায়রি করেন। সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, নিখোঁজ তিন ছাত্রের সন্ধানে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

গাইবান্ধায় আম বাগানে সফল তিন বন্ধু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: করোনার থাবা চাকরি কেড়ে নিলেও হতাশ হননি তিন বন্ধু। শুধুমাত্র মাটির উপর ভর করে অভিশপ্ত অণুজীবকে আশীর্বাদে পরিণত করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তারা। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে আমের মুকুলের জন্য ফালগুনের অপেক্ষা নয়, গুটির জন্য চৈত্র আর জ্যৈষ্ঠে মিলবে আমের স্বাদ। বারোমাসই রসালো এই ফলের স্বাদ পাওয়া যায় তা ভোক্তাদের অনেকেরই অজানা। গাইবান্ধার নিভৃত পল্লীর তিন বন্ধু রুবেল মন্ডল, মাসুদ রানা ও জাহিদ হাসান জয়ের কঠোর পরিশ্রমে এ সাফল্য। জাহিদ হাসান জয় বলৈন, ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তারা। করোনার হানায় চাকরি হারাবার পর অনেকের মতো তারা তিন বন্ধুও হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। চিন্তা এসে ভর করে মাথার ওপর। কি করবেন, জীবনই বা চলবে কিভাবে। ইউটিউবে নজরে আসে আমের বাগান। কাটিমন জাতের আম। সারা বছর আম পাওয়া যায়। তিনবন্ধু সিদ্ধান্ত নেয় কাটিমনের বাগান গড়ে তুলবেন তারা। ৬০ হাজার টাকায় ১৫ বছরের জন্য ৪ বিঘার একটি জমি লিজ করেন তারা। এরপর কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে ১ লক্ষ টাকায় ৫শত আমের চারা সংগ্রহ করেন। গাছের চারা লাগানোর মাত্র ২ মাসের মাথায় আমের মুকুল আসে। মুকুল থেকে গুটি তারপর আম। প্রথমবার আম বিক্রি করে হাতে আসে ৯০ হাজার টাকা। এরপর শুধু আমের ভরসায় না থেকে শুরু হয় চারা উৎপাদন। আম ছাড়াও বিক্রি হতে থাকে লক্ষ লক্ষ টাকার চারা। এখন পর্যন্ত বাগান থেকে বিক্রি হয়েছে তিন লক্ষ টাকার আম। লক্ষাধিক টাকার গাছের চারা বিক্রির পরও তাদের হাতে পঁচিশ হাজার বিক্রি উপযোগী আমের চারা আছে। যার বাজার মূল্য অন্তত পঁচিশ লক্ষ টাকা। কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছে। গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, করোনায় বিপদাপন্ন মানুষের কাছ থেকে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও দেশের মাটি যে কাউকে ফিরিয়ে দেয় না। কৃষি বিভাগ থেকে তাদের দেয়া হচ্ছে।

 

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

পৌরসভা নির্বাচনে আবারে নৌকার হাল ধরলেন বিপুল চন্দ্র হাওলাদার!

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার ২য় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৮:০০টা থেকে বিকাল ৪:০০টা পর্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
আইন শৃঙ্খলা বাহীনির কঠোর অবস্থার কারনে ভোট কেন্দ্রগুলোকে কোন অপৃতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম লক্ষ করা গেছে। নির্বাচনে ১২,৮৯১ জন ভোটারের বিপরীতে মেয়র পদে ৪ জন কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদন্ধিতা করেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ১ জন করে নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট ১০ জন পুলিশ সদস্য ও ৯জন আনসার সদস্য প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২ প্লাটুন বিজিবি ও ৬টি মোবাইল টিম ৩টি র‌্যাবের টিম মোতায়োন করা হয়েছিল।
এদিকে ই,ভি,এম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার ৩৬৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, এবং তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম জগ প্রতীক নিয়ে ৩২০৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ১৯৯৭ সালে কলাপাড়া পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর সর্বশেষ ৪র্থ বারের মত ২০১৫ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর কলাপাড়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা’র উন্নয়নের প্রতি অগাধ আস্থা- বিশ্বাস ও সর্বাত্মক সহযোগিতা-আন্তরিকতা এবং সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণে আমরা বিজয় অর্জন করেছে দ্বিতীয় বারের মতো পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি হলেন বিপুল চন্দ্র হাওলাদার এমনটাই ব্যক্ত করলেন কলাপাড়ার সর্বস্তরের জনগণ।

 

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

তাহিরপুরে যুবদলের আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে একাংশের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিরোধ। একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হকের ছোট ভাই এনামুল হককে আহবায়ক করে ৪৪ সদস্য বিশিস্ট তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের একটি কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র থেকে। আর এই কমিটিকে একপক্ষ প্রত্যাক্ষান করে। সেই সাথে নবগঠিত যুবদলের আহবায়ক কমিটির বিভিন্ন পদে থাকা বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীরা পদত্যাগের ঘোষনা করেন। এনিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
আজ মঙ্গলবার (১৬ই ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টায় ওই নতুন আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে ছাত্রদল ও যুবদলের একাংশের নেতৃবৃন্দরা তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারের চাল পট্টিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।
ওই সম্মেলনে তাহিরপুর উপজেলা যুবনেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম আখঞ্জি বলেন- নতুন আহবায়ক কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতা কর্মীদের সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। অযোগ্য ও চামচাদেরকে ভাল পদ দিয়ে সঠিক ও যোগ্য নেতাকর্মীদের অসম্মান করা হয়েছে। কমিটি থেকে বাদ পড়েছে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হোসেন বলেন- সম্প্রতি যুবদলের আহবায়ক কমিটির নামে একটি হজবরল কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দলের ভিতর গ্রুপিং এর সৃষ্টি হয়েছে। তাই হজবরল কমিটি বালিত করে সঠিক ভাবে তথ্য নিয়ে যোগ্য নেতাকর্মীদেরকে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবী জানাচ্ছি।
তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির বিষয় নিয়ে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক বলেন- যারা দূসময়ে দলের পাশে থেকে রাজপথে আন্দোলন করেছে তাদেরকে মূল্যায়ন করেই কেন্দ্র থেকে তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের নতুন আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এই কমিটির মাধ্যমে কাউকে অবহেলা কিংবা অসম্মান করা হয়নি। যারা কমিটি নিয়ে নানান অপপ্রচার করছে তারা বিভিন্ন সময় তাদের রুপ পরিবর্তন করে বিভিন্ন দলের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। করেছে দলের বিরোধীতা। আর এই বিষয়গুলো উপর মহলের সবাই জানেন। তাই এব্যাপারে আর বিশেষ কিছু বলার নাই। তবে সবাই একত্রে দলের জন্য কাজ করতে চাই।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলার তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সাইদুল কিবরিয়া, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি সাবেক জেলা সভাপতি আমির শাহ আমির শাহ,ছাত্রদল নেতা মাহবুব মল্লিক ও রুকন উদ্দিন প্রমুখ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

হুমকির অভিযোগে জিডি করলেন মেয়র কাদের মির্জা

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হকরনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই জিডি করা হয়। কাদের মির্জা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এই জিডি হয়েছে। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, কাদের মির্জাগোপন সূত্রে সংবাদ পেয়েছেন, সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক অপশক্তি তাঁদের কোনো কর্মীকে খুন করে বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন এলাকায় ফেলে রেখে তাঁকেএবং তাঁর দলীয় নেতা–কর্মীদের হত্যা মামলায় জড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে। কিছুদিন যাবৎ নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে কথা বলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক অপশক্তি আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তারা আমিসহ আমার রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকারের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে।ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, জিডির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।.3

 

 

 

 

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

বিএডিসির খাল খননের প্রকল্পে আশায় বুক বাধছে সুবর্ণচর উপজেলাবাসী

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ “যারা যোগায় ক্ষুদার অন্ন আমরা আছি তাদের জন্য” এ স্লোগানে ধারন করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সংক্ষেপে (বিএডিসি) কৃষকের কৃষি কাজের প্রতিবন্ধকতা দুরীকরনের নানাবিধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসকল প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এক দিকে যেমন খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছে দেশ ঠিক তেমনি কৃষক তার উৎপাদিত শষ্য পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ নূর নবী । নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী এই ০৩ জেলার বিভিন্ন উপজেলার জলাবদ্ধতার নিরসনের পাশাপশি কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়নের জন্য প্রায় ১ শত ৪৩ কোটি ব্যায়ে একটি প্রকল্প গ্রহন করে । চলমান এই প্রকল্পে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে ১০ কিঃমিঃ খাল পূণরায় খনন করে। আরো ২ কিঃ মিঃ খাল খননের কাজ চলছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিএডিসির এই প্রকল্পের সুবর্ণচর উপজেলার প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জনে সফলতা লাভ করে । যার ফলশ্রুতিতে এই উপজেলার প্রায় ৫ হাজার একর পতিত জমি এই অর্থবছরে চাষাবাদের আওতায় আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের অবৈধ দখল দূষণের শিকার চরজুবলী খাল প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ে উদ্ধার হয়। খালগুলো উদ্ধারের পর হইতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মাঝে নেমে আশে স্বস্থির নিঃশ্বাস। এর ফলে এই ইউনিয়নে বসবাসকারী প্রায় ২০ হাজার মানুষ তন্মধ্যে ৫ হাজার কৃষক ভরা আমন ও বরো মওসুমে সেচ কাজের জন্য পানি প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি রবি শষ্য উৎপাদনে যেমন- সয়াবিন, তরমুজ, সরিষা পতিত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করছে স্থানীয় গ্রামবাসী। উদ্ধারকৃত খাল গুলো যথাক্রমে ভূইয়ার (শাখা) পূনঃখনন ২কিলোমিটার শেষ, ১নং স্লুইচ শাখা খাল ১ম অংশ ২ কিলো মিটার সংস্কার, বৈরাগীখাল ২ কিলোমিটার পূনঃখনন ও চরমহি উদ্দিন খাল ২ কিলোমিটার পূনঃখনন কাজ চলমান রয়েছে। এ সকল খালের পানি ভুলুয়া নদী হয়ে মেঘনা নদীতে গিয়ে পড়বে। স্থানীয় তরুণ উদ্যেগতা আল-আমিন বিএডিসির প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই খাল গুলো খননের ফলে এখানকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের পাশাপাশি তথা বন্যা পরস্থিত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তবে উপস্থিত স্থানীয়রা দাবী করেন খাল খনন শেষে ভুলুয়া নদী তীরবর্তী স্থানে একটি স্লুইচ গেইট নিমার্ণ করা হলে প্রবাহমান পানিতে লবণাক্তার অবসান ঘটবে। মিঠা পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হলে এই এলাকার সেচ কাজের পাশাপাশি গৃহস্থালি প্রয়োজন মেটাবে। পরিবেশ বাদী আন্দোলনের নেতা ইমাম হোসেন বলেন, মৃত প্রায় খাল গুলো উদ্ধারের ফলে চরাঞ্চালের রক্ষুতা থেকে বের হয়ে এসে সবুজায়নের পথ সুুগম হবে । বর্তমান সরকারের খাদ্যের সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ধারাবাহিকতা পূরণে এ খাল গুলোর সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পদ্মা নদী দূষণরোধে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান রাসিক মেয়র লিটনের

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ বাঁচলে নদী, বাঁচবে দেশ, বাঁচবে প্রিয় বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহী মহানগরীতে পদ্মা নদী দূষণরোধে নদী সংলগ্ন এলাকার সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন পদ্মা নদী দূষণরোধে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মেয়র নগরীর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য্য বজায় রাখতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। সোমবার দুপুর ১২টায় নগরীর অডভার্ড মুনসক্গার্ড পার্কে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত উদ্বুদ্ধকরণ সভায় এই সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র। সভা শেষে পদ্মাপাড় পরিদর্শন করেন মেয়র।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, পদ্মা নদীর তীরবর্তি রাজশাহী শহর। যা পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। ৭৫ পরবর্তী এ দেশে দখলের রাজনীতিতে যে যেভাবে পেরেছে নদী, খাল, বিল দখল করেছে। নদী, খাল ড্রেনগুলোকে সলিড ওয়েস্ট ফেলার উত্তম জায়গা মনে করা হয়। বিগত সময়ে দেশের সকল নদীসমূহে লঞ্চ, স্টীমার চলাচল করতো ,দেশের অর্থনৈতিক প্রবাহে নদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নদী, খাল ও ড্রেনে কোন বর্জ্য ফেলবেন না। যে কোন ধরণের প্লাস্টিক বর্জ্য নদীর জীব ও বৈচিত্র্য নষ্ট করে। নির্মাণ সামগ্রী, বর্জ্য সামগ্রী মাটি রাবিশ ইত্যাদি নদীতে ফেলবেন না। বাসাবাড়ী ও দোকানের ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে আপনার এলাকার ভ্যান চালককে দিন। আমাদের গৌরব ও ঐতিহ্যেও অংশ পদ্মা নদীকে সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের। গবাদি পশুর অবাধ বিচরণ রোধ করুন। প্রয়োজনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন। মহানগরীকে সবুজ, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ বান্ধব রাখার জন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
মেয়র আরো বলেন, নবগঙ্গা থেকে মিজানের মোড় পর্যন্ত নদীর ধারের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পদ্মা নদীর বিশাল চরকে উন্নয়ন করে এ অঞ্চলকে মূল শহরের যুক্ত করে সেখানে নতুন একটি নগরী গড়ে তোলা হবে। প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ওয়াসার প্রকল্প গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদী থেকে পানি শোধন করে নগরবাসীকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন এ নগরীর সুনাম সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। দেশি-বিদেশি দর্শনার্থী এ নগরীকে পরিচ্ছন্ন, সুন্দর বসবাসযোগ্য হিসেবে দেশের মধ্যে উত্তম নগরী রূপে বিবেচনা করছে। দ্রুত নগরায়ণের ফলে এ নগরীতে হাইরাইজড বিল্ডিং নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণের ফলে এখনও এখানে ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। আগামীতে এ সকল কাজ সম্পন্ন হলে পরিচ্ছন্ন নগরীর এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। নাগরিকদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস বৈদ্যুতিক পোলের নিকট ময়লা ফেলা, দোকান কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিস্কার করে ময়লা ফেলার অভ্যাস পরিবর্তন হচ্ছে না। এ বিষয়ে নগরবাসীকে আরও সচেতন হতে হবে। গৃহকর্মীরা গৃহস্থালী কাজের বর্জ্য উচ্ছিস্ট ড্রেনের মধ্যে ফেলার এ অভ্যাস পরিবর্তনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিচ্ছন্ন এ শহরটিকে অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

সভায় সিনিয়র সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, পদ্মা নদী ও পাড় দুষণমুক্ত রাখতে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগকে এলাকাবাসীর সহযোগিতা করতে হবে। এলাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব নয়। পদ্মাপাড়কে আকর্ষণীয় ও বিনোদনের ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারকরণে ট্যুরিস্ট পুলিশিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশিষ্ট পরিবেশ ও নদী গবেষক মাহাবুব সিদ্দিকি বলেন, রাজশাহীর পরিচ্ছন্ন পরিবেশের ফলে ইতোমধ্যে শহরটি আদর্শ নগরীর স্বীকৃতি পেয়েছে। গৃহস্থালি বর্জ্য, কিংবা নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে যেন ড্রেনের পানি প্রবাহ বন্ধ না হয় সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকবে হবে। পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে তরল বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
রাজশাহী কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান বলেন, রাজশাহীর মহানগরীর নান্দনিক সৌন্দর্য্য। পদ্মাকে ঘিরে পর্যটন শিল্পকে উন্নয়ন করতে হবে। সুন্দর পরিকল্পনা পদ্মাকে ঢেলে সাজাতে হবে। যা আমাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারে। পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি নিজেদের যেখানে আইন প্রয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক বলেন, মেয়র লিটন ‘চলো বদলে দেই রাজশাহী’ শ্লোগানকে সামনে রেখে মহানগরীকে বদলে দিচ্ছেন। আসুন আমরা নিজেরাও বদলে যাই। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলি, শহরের পরিচ্ছন্নতা ও পদ্মা নদী দুষণমুক্ত করতে সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা প্রদান করি।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মেয়র-১, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, অতীতে পদ্মাপাড় জঞ্জলে পরিপূর্ণ ছিল। রাতে তো দূরের কথা দিনের বেলাতেও এখানে আসা যেত না। খায়রুজ্জামান লিটন ২০০৮ থেকে ১৩ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে মেয়র থাকাকালে পদ্মাপাড়ের উন্নয়ন করেন, আলোকায়ন করেন। দ্বিতীয়বার দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে পদ্মাপাড়কে সাজাতে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে দুইটি দৃষ্টিনন্দন ওভারব্রিজের উদ্বোধন করা হয়েছে। পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য্য বজায় রাখতে এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করতে হবে। এলাকাবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে অব্যাহতভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার। আরো বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের এনভারমেন্টাল সায়েন্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার ও ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার। সঞ্চালনা করেন রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু।
সভায় মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, বিশিষ্ট সাংবাদিক আহমেদ শফি উদ্দিন, শাহ মখদুম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামান, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নূরুজ্জামান, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, ৩০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পিন্টু, রাসিকের কর্মকর্তাবৃন্দ, পরিবেশ আন্দোলন ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নদী সংলগ্ন এলাকাবাসী অংশ নেন।

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

সুনামগঞ্জের হুসেনপুর গ্রামে তিনটি নিরীহ পরিবারকে সমাজচ্যুত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ টাকা পাওয়ার মিথ্যা অপবাদ ও মামলা দিয়ে জেল খাটানোর পরও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের হুসেনপুর গ্রামের তিনটি নিরীহ পরিবারকে সমাজচ্যুত(একঘরে) করে রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হুসেনপুর গ্রামের ভূক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে বাড়ির রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সমাজচ্যুত গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে নিরীহ মো. রাজ্জাক মিয়া,তার সহোদর হেলাল মিয়া,মানিক মিয়া,হরমুজ আলী,শামীম মিয়া,খোদেজা খাতুন,কামাল হোসেন,টুকের ঘাটের কটর মিয়া,রোজিনা খাতুন,লায়েক মিয়া ও সেফা খাতুন প্রমুখ। ভূক্তভোগীরা বলেন,হুসেনপুর গ্রামের মৃত আস্তর আলীর ছেলে দাঙ্গাবাজ জমির হোসেন তাদের নিকট তিনলাখ তিনহাজার টাকা পাবে বলে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করলে তিনভাই একমাস জেল খেটে বের হন। কিছুদিন যেতে না যেতেই গ্রামের সালিশ ব্যক্তিত্ব মৃত ফজর আলীর পূত্র আরজ আলী,মৃত আজমত উল্ল্যার পূত্র আব্দুল বারিক,মৃত আন্তর আলীর ছেলে জমিল হোসেন,মৃত ফিরোজ উল্ল্যার পূত্র মুজিবুর রহমান ও জমিল হোসেনের পূত্র আতিকুর রহমান গংরা মিলে নিরীহ রাজ্জাক মিয়া ও তার আরো দুইভাইকে অন্যায়ভাবে তিন লাখ তিন হাজার টাকা পাবে বলে বৈঠকে বসার আহবান জানান। রাজ্জাক মিয়া তখন সালিশ ব্যক্তিদের জানান যেহেতু আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে জেল খাটানো হয়েছে তাই বিষয়টি আদালত সিদ্ধান্ত নিবেন। ফলে নামাংঙ্কিত সালিশ ব্যক্তিরা নিরীহ রাজ্জাক ও তাদের তিনটি পরিবারের উপর গত ১২ ফেব্রুয়ারী ফতোয়া দিয়ে এক ঘরে করে রাখার ঘোষনা দেন। এই নিরীহ পরিবারগুলো যেন গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে না পারেন, হাটবাজারে যেতে না পারেন এবং বাচ্ছারা যেন স্কুলে যেতে না পারেন সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় বলে তারা অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ঐ সমস্ত ফতোয়াকারী সালিশ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট মানববন্ধন থেকে দাবী জানান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে