সাজ্জাদুজজামান:
দুর্বৃত্তায়ন রুখতে পারলে তবেই হবে সোনার বাংলা। কিন্তু এই দুর্বৃত্তায়ন রুখবে কে..??। বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিন, পিতা মৃত শুকু পরামানিক এর নিকট থেকে কৃষক এনামুল হোসেন, বিহার পশ্চিমপাড়া, শিবগঞ্জ উভয় পরিচিত ও দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ার সুবাদে চুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদের জন্য এককালীন ০৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৯২শতাংশ জমি বন্ধকনেন। দীর্ঘদিন পরিবারের লোকজন নিয়ে চাষাবাদ কলা বাগান করে আসছিলেন। দীর্ঘ সময় চাষাবাদ করে আসলেও এতে কারো বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়নি। কে জানতো হঠাৎ সব শেষ করে দিবে দূর্বৃত্তরা, রাতের আধারে সবেই যেন শেষ। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোহাম্মদ এনামুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় কলার ছড়ি সহ প্রায় ২শ’তের বেশি কলা গাছ কেটে ফেলেছে দুষ্কৃতিকারীরা। রাতের আঁধারে কর্তন করে ফেলা কলা ও ফসলের আনুমানিক মূল্য লক্ষ টাকার উর্দ্ধে বলে জানান কৃষক এনামুল। পাশাপাশি কলা বাগানের পাশে সৃজিত সবজি ফসলের ক্ষেতও নষ্ট করে দিয়েছে তারা। স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা যায় জমির মালিক মতিনের সাথে জমিটি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে আদালতে। তবে আদালতের রায় নাহলে বাদীপক্ষ কোন ভাবে বিবাদী মতিনের জমি দখল করার জন্য সাধারণ কৃষকের ক্ষতি করতে পারেনা। এটা রীতিমতো জুলুম বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় বয়জৈষ্ট্যরা। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে বলেও জানান এলাকাবাসী।
আলোকিত প্রতিদিন/১৬ সেপ্টেম্বর-২৪/মওম
- Advertisement -