অনলাইন ডেস্ক-
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও পুলিশ কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে সাসপেন্ড (সাময়িক বরখাস্ত) করে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে আজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান।
তবে গুলি করার হুকুমদাতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেট্রোপলিটান পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফ হোসেন ও ইমরানকে এখনও সাসপেন্ড বা তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বেরোবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয় একজন সহকারী কমিশনারকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এদিকে আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করার খবর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। শিক্ষার্থী মুনতাসীর, তাসনুভা অভিযোগ করেন, ‘আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভিডিও ফুটেজ দেখেছি সেখানে আবু সাঈদকে টার্গেট করে গুলি করা হয়েছে। সেখানে সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফ হোসেন নিজেই পুলিশের কাছ থেকে বন্দুক নিয়ে দুই দফা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছেন তিনি। এ ভিডিও সারা বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষ দেখেছে, তারপরেও কেন সহকারী পুলিশ কমিশনার এখনও চাকরিতে বহাল থাকেন? এটা আমাদের প্রশ্ন, তাকে এখনই সাসপেন্ড করলে চলবে না তাকে গ্রেফতার করতে হবে এখন। কারণ, তিনি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুই পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করে তাদের পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি কাজ করছে এখনও। পুরো বিষয়টি জানার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি