ষ্টাফ রিপোর্টার: মারইয়াম মামুন তামিরুল মিল্লাত মাদরাসা থেকে ২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছে। তার বাবার নাম আল-মামুন এবং মায়ের নাম লাকী মামুন। মারইয়ামের সাফল্যে বাবা-মা ও দাদীর চোখে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। বাবা-মার তিন সন্তানের মধ্যে মারইয়াম সবার বড়। সে ইতোমধ্যেই কোরানের হাফেজ হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তার ছোট ভাই নাঈম মামুনও কোরানের হাফেজ এবং মাদরাসায় অধ্যয়নরত কৃতি ছাত্র।
সাফল্যের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মারইয়াম বলে- ‘আমার মা-বাবার সহযোগিতা, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও আমার অধ্যাবসায়ে আমি ভালো রেজাল্ট করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আজ আমার দাদী, মা-বাবা এবং ভাই-বোন সবাই আমার পাশে আছেন। কিন্তু আমি আমার দাদাকে খুব মিস করছি। আমার দাদাকে আমি দেখিনি। তিনি আমাদের মাঝে থাকলে তিনিও খুশি হতেন।’
লেখাপড়ার পাশাপাশি মারইয়াম ইতোমধ্যেই একজন অংকন শিল্পী হিসেবে নিজেকে তৈরি করে নিয়েছে। সে অসংখ্য ইসলামী ক্যালিওগ্রাফী এঁকে নিজের মেধার পরিচয় দিয়েছে। একাধিক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার লাভ করেছে।
তাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। বর্তমানে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করছে।
জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মারইয়াম জানায় সে একজন ইসলামী স্কলার হতে চায়। পাশাপাশি নিজেকে একজন ক্যালিওগ্রাফার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। মেধা বিকাশের লক্ষ্যে তুরস্ক, ইরান বা সৌদি আরবের মতো কোনো মুসলিম দেশের কোনো নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করা তার স্বপ্ন।
তার বাবা-মা দুজনই উচ্চ শিক্ষিত। মা গৃহিণী এবং বাবা একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে উচ্চ পদে কর্মরত। মারইয়ামের বাবা আল-মামুন বলেন- ‘মেয়ে যেহেতু ভালো রেজাল্ট করেছে, কাজেই তার স্বপ্ন পূরণে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবো। তাকে বিদেশে পড়ানোর ইচ্ছা আমাদেরও আছে।’ মারইয়ামের বাবা-মা মেয়ের ভবিষ্যৎ সফলতার জন্য সকলের কাছে আশির্বাদ প্রার্থনা করছে। আমরাও তার জন্য দোয়া করি এবং স্বপ্ন পূরণে সফল হোক কায়মনোবাক্যে সেই প্রত্যাশা করি। তোমার সফলতায় দেশ ও জাতির কল্যাণ হোক। উপকৃত হোক সমগ্র মানব জাতি।
আলোকিত/১৩/০৫/২০২৪/আকাশ