সংবাদদাতা, নড়াইল
করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর নমুনায় ‘পজিটিভ’ফলাফল এসেছে। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো.কাজল মল্লিক। এ অবস্থায় লাশ সৎকারে অংশ নেয়া ইউএনও, সাংবাদিকসহ আটজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, নড়াইলের কালিয়ার চোরখালি গ্রামের নির্মল রায় চৌধুরীর ছেলে বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করতেন। তিনি জ্বর-সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আসেন। গত ১০ মে সকালে তিনি মারা যান।
এদিকে মৃত ব্যক্তির লাশ সৎকারে স্বজনদের অসহযোগিতা থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,সাংবাদিকসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে তা সম্পন্ন করেন। মৃত ব্যক্তির নমুনায় করোনা শনাক্ত হলে এখন নতুন সংকট তেরী হয়েছে। তার সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নাজমুল হুদা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. কাজল মল্লিক,সাংবাদিক ফসিয়ার রহমানসহ আটজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চোরখালি গ্রামকে লকডাউন করা হয়েছে।
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. কাজল মল্লিক বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতেই আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। লাশ সৎকারে সহায়তা করায় ইউএনওসহ আমরা ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবো।’