প্রতিনিধি,নেত্রকোণা:
নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার মনসুরপুর গ্রামে হাঁসের খামারে হানা দিতে গিয়ে এক গন্ধগোকুল (স্থানীয় ভাষায় খাটাশ) ধরা পড়েছে। প্রায় মাসখানিক থেকে প্রায় সময় রাতে ওই খামার থেকে হাঁস মেরে ও নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় খামার মালিক রুমেন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ৬ অক্টোবর রাতে ফাঁদ দেওয়া খাঁচায় গন্ধগোকুল প্রাণীটিকে জীবিত অবস্থায় আটক ।
স্থানীয়রা জানান, এমন বিরল প্রাণী তারা কখনো দেখেনি নামও জানেন না।এই প্রাণীটিকে তার নিজ জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন।
উল্লেখ যে, এ ধরনের “গন্ধগোকুল” সাধারণত নিশাচর প্রাণী। তারা ফলমূল, ছোট প্রাণী ও হাঁস-মুরগি শিকার করে খেয়ে থাকে। গ্রামীণ এলাকায় প্রায়ই হাঁস-মুরগি চুরি যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে এ প্রাণীর নাম উঠে আসে।
“গন্ধগোকুল বা খাটাশ “বন্যপ্রাণী হিসেবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে। তবে গ্রামীণ কৃষি ও হাঁস-মুরগি খামারিরা অনেক সময় এটিকে ক্ষতিকর প্রাণী হিসেবে মনে করেনa।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল বন্যপ্রাণী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে প্রাণীটিকে বন বিভাগে হস্তান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে এটি প্রকৃত পরিবেশে ফিরে যেতে পারে।
এদিকে খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সরেজমিনে গিয়ে প্রাণীটির বিষয়টি আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহ্নূর রহমানকে জানানো
হয়।
আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহ্নূর রহমান জানান,বন বিভাগ ও পুলিশকে জানানো হয়েছে গন্ধগোকুল প্রাণীটিকে উদ্ধার করে প্রতিকূল পরিবেশে ছেরে দেওয়া হবে।এছাড়াও ঐ প্রাণীটি কোন ক্ষতিকর প্রাণী নয়।


