বৈষম্যবিরোধী নেতার কাছে ‘জিলাপি’ খেতে চাওয়া সেই ওসি প্রত্যাহার

0
48

আলোকিত প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জে টেন্ডারে কাজ পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খাওয়ার আবদার জানানো ইটনা থানার সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ওসি মো. মনোয়ার হোসেনকে ইটনা থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়। কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. জাফর ইকবালকে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে আজ।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী মঙ্গলবার এ আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে দুই পুলিশ পরিদর্শককে জনস্বার্থে বদলি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা পর্যায়ের সংগঠক ঠিকাদার আফজাল হুসাইন শান্ত ও ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেনের মধ্যকার ওই অডিওতে ওসিকে বলতে শোনা যায়, ‘সেফটি সিকিউরিটি দিলাম তো সারা জীবন। তোমরা যে ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ টাকা লাভ করলা, ১০ টাকার জিলাপি কিনে তো পাবলিকেরে খাওয়ালে না। খাইয়া একটু দোয়া কইরা দেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের। তোমার জায়গায় আমি হইলে সুদের উপরে টাকা আইনা আগে জিলাপি খাওয়াইতাম আমি। দোয়াডা হইল সবার আগে। পরে তো বিল পামু, তাই না?’

একপর্যায়ে ওসি বলেন, ‘ঠিক আছে তাহলে, জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম না কি? না না, জিলাপি হইলেই হইব। এক প্যাঁচ, আধা প্যাঁচ জিলাপি দিলে হইব। বিভিন্ন পারপাসে হইলে পাবলিক খাইল আর কী, বোঝ না?’

ফাঁস হওয়া অডিওর বিষয়ে ঠিকাদার শান্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ইটনা উপজেলার বলদা হাওড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪৮০ মিটার ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ পাই। কাজ শেষ হওয়ার পরে থানায় গেলে তিনি (ওসি) জিলাপি খেতে টাকা চাইতেন। তখন রেকর্ড করে রাখতে পারিনি। পরে ওসির সঙ্গে ফোনে আমার কথা হলে আমার কাছে ফসলরক্ষা বাঁধ করে যে লাভ হয়েছে, সেখান থেকে জিলাপি খেতে চান।’

এ বিষয়ে জানতে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বেশ কয়েকবার তার সরকারি মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here