“এমন অবস্থায় এখানকার পরিস্থিতি দমবন্ধকর হয়ে পড়েছে। আমরা দেখছি অনেক মানুষ এক গ্যালন স্বাস্থ্যকর পানির জন্য লাইন ধরছেন। আমরা দেখছি ফিলিস্তিনিরা গরম খাবারের জন্য বিভিন্ন কিচেনে লাইন ধরছেন। কিন্তু এই কিচেন গুলোর রসদও ফুরিয়ে যাওয়ায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাদের সেবা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আমরা ধারণা করছি।”— যোগ করেন হিন্দ খোদারি।
এছাড়া গাজার স্বাস্থ্য সেবা খাতও বেশ নাজুক হয়ে পড়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এত মানুষ আহত হয়েছেন যে হাসপাতালগুলো উপচে পড়ছে। এছাড়া সাধারণ মানুষকে যে চিকিৎসা দেওয়া হবে সেটির সুযোগ নেই। কারণ চিকিৎসা সরঞ্জামেরই ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, গত ১২ ঘণ্টায় দখলদাররা খান ইউনিস এলাকা লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি হামলা চালিয়েছে। সেখানে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা খান ইউনিসের কয়েকটি আবাসিক ভবন ও অস্থায়ী তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে। এতে অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। যারা সেখান থেকেই বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। ধ্বংসস্তূপে মানুষ আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অপরদিকে সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় ৪৬ জন নিহত হয়েছেন।
সূত্র: আলজাজিরা
আলোকিত প্রতিদিন/৬ এপ্রিল ২০২৫/মওম