শম্পা দাস (কলকাতা): ৯ নভেম্বর শনিবার, বার্নাড হোটেলের পরিচালনায়, তৃতীয় তম বর্ষে পদার্পণ করল, নিউ টাউন অ্যাকশন টু এর পাল বাড়ীর জগদ্ধাত্রী পুজো, পাল বাড়ীতে শুরু হয় মহারাষ্টমীর পুজোর সাথে সাথে কুমারী পূজার আয়োজন। সকাল থেকেই ভীর জমতে থাকে পাল বাড়ীতে কুমারী পুজো দেখার জন্য। একে একে মায়ের সামনে পুজো দিয়ে যান। সাড়ে সাত বছরের একটি বাচ্চা মেয়েকে, কুমারী রূপে সাজিয়ে পূজীত করা হয়, ব্রাহ্মণের মন্ত্র উচ্চারণের সাথে সাথে তাকে দেবী রূপে পূজা করেন।
পাল বাড়ীর পুজো চন্দননগরের মতো রীতি মেনে পাঁচ দিন ধরে চলতে থাকে নিষ্ঠা সহকারে, আয়োজনের কোন ত্রুটি থাকে না, মাকে বিভিন্ন গোলায় মালা পড়িয়ে সুন্দর করে তোলেন এবং প্রতি বছরই এই মাকে একই রূপে কুমারটুলী থেকে নিয়ে আসেন, এই পুজোর শুভ সূচনা করেন এলাকার বিধায়ক এবং উপস্থিত থাকেন এলাকার কাউন্সিলর থেকে শুরু করে অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। চলে পাঁচ দিন ধরে মায়ের ভোগের অনুষ্ঠান, যেখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে, দরিদ্র মানুষের ভেদাভেদ না রেখে, সবাই একসাথে ভোগ গ্রহণ করেন। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষকে ভোগ বিতরণ করেন এবং পুজোর শেষ দিনে বসিয়ে প্রায় হাজার লোককে মায়ের ভোগ খাওয়ান। এই রীতি তিন বছর যাবত চলে আসছে।
তবে জানা গেল বার্নাড হোটেলের কর্ণধার এবং পুজোর উদ্যোক্তা ঋত্বিক পালের কাছ থেকে, তিনি জানান আমরা শুধু পুজোয় করি তা নয়, সবাইকে নিয়ে পথ চলার চেষ্টা করি, অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি, অসহায় মানুষদের সাহায্য করার চেষ্টা করি, এছাড়াও তিনি বলেন এই বছর অসহায় দুস্থ মানুষদের সেবার জন্য বিধায়কের হাত ধরে একটি অ্যাম্বুলেন্স তুলে দিয়েছি, অ্যাম্বুলেন্স সাধারণ মানুষের সেবায় কাজে লাগবে, যার খরচ হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা। এই পুজোতেও কিছু অসহায় মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিয়েছি। আগামী দিনেও চেষ্টা করব আরো কিছু নতুন কাজকর্ম করা ও সমাজসেবা বেশি করে করার, আমি সমাজ সেবার কাজ করতে ভালোবাসি।
পাল বাড়ীর গৃহ কর্তীর কাছ থেকে জানা গেল, ছোটবেলা থেকেই আমার ছেলের একটু ঝোঁক ছিল পুজো করার, বড় হয়ে দুর্গা পূজো করার জন্য আমায় বলে, আমি বুঝিয়ে বলি এখানে দুর্গা পুজো হয় ,তাই দুর্গোপূজোটা না করাই ভালো। নিজে থেকেই ছেলের জেদ চাপে জগদ্ধাত্রী পুজো করার, আমি মত দিয়ে থাকি, এখান থেকেই সকল বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে শুরু হয় পাল বাড়ীতে জগদ্ধাত্রী পুজো। দেখতে দেখতে আমরা তৃতীয়তম বর্ষে পদার্পণ করলাম। এখানকার সকল প্রতিবেশীরা আমাদের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
যেভাবে নিষ্ঠার সাথে জগদ্ধাত্রী মাকে এনে পুজো করেন এবং আজ যেভাবে কুমারী পুজো করলেন, সত্যিই অন্যান্য জায়গার পুজো থেকে কোন অংশেই কম নয়। ব্রাহ্মণের মন্ত্র উচ্চারণের সাথে সাথে সুন্দরময় হয়ে ওঠে পুজো, আমরাও মিডিয়ার তরফ থেকে গিয়ে মুগ্ধ হই পাল বাড়ীর পুজোয়, যেমন মায়ের রূপ, তেমনি পরিবেশ, তাই দৈনিক দুরন্ত বাংলার পরিচালনায়, দুই বাংলার মেলবন্ধন ও সহযোগিতায়, আমরা পাল বাড়ীর প্রতিমা ও পরিবেশকে নিয়ে, সেরার সেরা শ্রী সম্মান ২০২৪ এ ভূষিত করায়, পাল বাড়ীর মানুষজন ও সকল সদস্যরা আরো উৎসাহে মেতে উঠেন। পাল বাড়ীর তরফ থেকে দুই বাংলার সকল মিডিয়া বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানান। ও অশেষ ধন্যবাদ জানান এভাবে পুরস্কৃত করার জন্য।
আলোকিত/১০/০৯/২০২৪/আকাশ