আজ রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।   ১৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভরা মৌসুমেও মিলছে না পর্যাপ্ত ইলিশ জেলেরা হতাশা

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

মোঃ কাওছার আহম্মেদ (উপজেলা  প্রতিনিধি): জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। এই মৌসুমে জেলেরা গভীর সাগরে গিয়ে মাছ ধরেন। সেই মাছ ধরার টাকা দিয়েই চলে তাদের সংসার। কিন্তু ইলিশের মৌসুম শেষ হলেও পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপকূলের জেলেদের দিন কাটছে হতাশায়। এর পিছনে জেলেরা বৈরি আবহাওয়াকে দায়ী করছেন।
জেলেরা জানিয়েছেন, গত দুই মাসে ৬ দফায় কখনো লঘুচাপ, কখনো নিম্নচাপের কবলে পড়তে হয়েছে আমাদের। ফলে গভীর সাগর থেকে আমাদের কয়েক বার তীরে ফিরতে হয়েছে। এদিকে আসছে আবার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। সবকিছু মিলে আমরা এবার ক্ষতিগ্রস্থ। অনেক জেলের সমুদ্রে যাওয়া-আসার খরচও উঠছে না।
একাধিক জেলেরা বলেন, মৌসুমের শুরু থেকে ভাগ্যক্রমে কিছু জেলে লাভবান হয়েছেন। বেশিরভাগ জেলে এবার ক্ষতিগ্রস্থ। মৌসুমের শেষ দিকে এসেও আশানুরুপ মাছ জালে উঠছে না। বড় ইলিশ পরিমাণে কম। ছোট ইলিশ আর জাটকা মিলছে, তাও অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশি নয়। বেশিই ধরা পড়ছে পোমা, লইট্টা, তুলার ডাটি, রূপচাঁদাসহ সামুদ্রিক অন্যান্য মাছ। এতে লাভতো দূরের কথা, যাওয়া-আসার খরচও উঠছে না কারও কারও।
অন্যদিকে পুরো মৌসুমজুড়ে আবহাওয়া এবং সাগরের বৈরী আচরণ জেলেদের পক্ষে সায় দিচ্ছে না। গত দুই মাসে ৬ দফায় কখনো লঘুচাপ, কখনো নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সবশেষ ২৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। জেলেরা বলছেন, গত ২৩ জুলাই সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। ফলে সাগরে যাত্রা করে গিয়ে জাল ফেলতে না ফেলতেই উত্তাল হয়ে ওঠা সাগর থেকে তীরে ফিরতে হয়েছে বারংবার।
সাগর থেকে মাছ শিকার করে কোড়ালিয়া ঘাটে এসেছেন কাশেম হাওলাদার। তিনি  বলেন, ‘সাগরে ঠিকভাবে মাছ ধরতে পারিনা। কয়দিন পরপর আবহাওয়া খারাপ। এমনিতেই সাগরে ইলিশের কোনো দেখা নেই। তিনদিন পর ঘাটে আসছি। মাছ বিক্রি হবে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো। ট্রলার স্টাফদের বেতন দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা। আসা যাওয়া খরচ তো আছেই। এ বছর সাগরে নামার পর থেকে ইলিশের তেমন কোনো দেখা নাই। এরপর কিছুদিন পরপর নিম্নচাপ। আবার কয়েকদিন পরই ২২ দিনের অবরোধ(নিষেধাজ্ঞা) এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে চলবে আমাদের জীবন।’
উপজেলা মৎস্য অফিস তথ্যমতে, রাঙ্গাবালী নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১৬ হাজার ৮০৯ জন। এছাড়াও অনিবন্ধিত জেলে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার। রাঙ্গাবালী উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন জানান, ‘এবার জেলেদের ভাগ্য সহায় হচ্ছে না। সাগরে বারবার বৈরী আবহাওয়া সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলেরা। তবে শেষ দিকে কাঙ্খিত ইলিশ তাদের জালে ধরা পড়তে পারে।
আলোকিত/২৯/০৯/২০২৪/আকাশ

- Advertisement -
- Advertisement -