বিশেষ প্রতিনিধি:
নড়াইলে লোহাগড়ায় উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খান মাহমুদ আলমকে নিয়ে পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত “বিএনপির আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ নেতার অনুপ্রবেশ” শিরোনামের খবরটির প্রতিবাদ জানান। লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খান মাহমুদ আলম বলেন, ‘গত ৩ (সেপ্টেম্বর) উপজেলা জুড়ে ধারাবাহিক দলীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কোটাকোল ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত একটি সভায় আমি এবং আমার যুবদল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করি।আলোচনা সভা শেষে আমি স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ছবি তুলি। আমার জানামতে আমার আশেপাশে সবাই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরাই ছিল। আমি আওয়ামী লীগের কোন নেতার সাথে ছবি তুলি নাই। পরবর্তীতে যে বেক্তির কথা বলা হচ্ছে তাকে আমি সেসময় খেয়াল করিনি এবং তাকে আমি চিনিও না! আমার দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি পক্ষ আমাকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে, যা অতন্ত্য দুঃখজনক। দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপি করার জন্য অসংখ্য মামলা হামলার স্বীকার হয়েছি তবুও ফ্যাসিস্ট সরকারের করো সাথে আপোষ করিনি।স্বৈরাচার পতনের পরপরই আমি যুবদলকে শক্তিশালী করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে লোহাগড়ার প্রতিটি প্রান্তে সভা সমাবেশ করে যাচ্ছি, আর একারণে কিছু সুবিধাবাদী আমার প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করতে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করে যাচ্ছে। আমি দ্বায়িত্ব নিয়ে বলছি এই অপপ্রচারের কোন অংশই সঠিক নয়। তিনি আরো বলেন,একটু খেয়াল করলেই দেখবেন আমার সাথে নান্টু নামের বেক্তির যে ছবি পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে, সে আমার পিছন দিকে ছিল, আমার তাকে দেখার কোন কথা না,কারণ বিভিন্ন প্রোগ্রামে অনেকই ছবি তুলতে আসে, সত্য বলতে সামনের দিকে নজর থাকাতে পিছনে অতটা খেয়াল দেওয়া হয় না, তবে এখন থেকে এবিষয়ে সচেতন হবো।’ উল্লেখ্য, গত ৩(সেপ্টেম্বর) লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত সভা শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে ছবি তোলেন লোহাগড়া যুবদলের আহবায়ক খান মাহমুদ আলম। এসময় তার ঠিক পেছনে দেখা যায় নান্টু নামে এক বেক্তিকে,যিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হিসাবে পরিচিত! ছবিটি মোঃ শামীম নামে একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করে এবং পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/০৫ সেপ্টেম্বর-২৪/মওম
- Advertisement -