মোঃ আবদুল ওয়াদুদ
ব্যাপক কারচুপি এবং অনিয়মের অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন। একই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আক্তার পারুলও ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় ওবায়দুল কাদেরের বাড়ির সামনে ওই তিন প্রার্থী যৌথভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এসময় ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, আনারস মার্কার পক্ষ নিয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার ছেলে তাসিক মির্জা ও ভাগ্নেরা আমার কর্মী এবং এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন। তারা সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সিল মেরে সব ভোট নিয়ে নিয়েছেন। মেয়র নিজে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট মারার অর্ডার দিয়ে নিজেই ভোট মেরেছেন। এরআগে গতরাতে আমার সমর্থকদের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর, বোমাবাজি করেছেন ও সমর্থকদের কুপিয়ে জখম করেছেন। ফলে অনেক এলাকায় আমার কর্মী ও এজেন্টরা বাড়ি থেকে বের হতেও পারেনি। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনারের কাছে ভোট বাতিল ও পুনরায় তফসিল ঘোষণা করার আবেদন জানাচ্ছি। ওদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল বলেন, এখানে ভোটের কোন পরিবেশ আগেও ছিল না। এখনও নেই। আমরা স্বাধীনভাবে কোনো মত প্রকাশ করতে পারি নাই। এজন্য আমি রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। সকাল থেকেই ওপেন আনারসের পক্ষে সিল মারছেন বহিরাগত লোকজন। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সারারাত বোমাবাজি করা হয়েছে। মানুষকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। মানুষ ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেনি। চারদিকে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে। সাংবাদিকরা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ফোনে কল দিলে এক ব্যক্তি রিসিভ করে বলেন, মেয়র মহোদয় ব্যস্ত আছেন, এখন কথা বলবেন না। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসমাইল বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে লিখিত ও মৌখিক কোনো অভিযোগ আসেনি। আসলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি