প্রতিনিধি,ডিমলা (নীলফামারী):
নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।২৫ আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৩টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার।ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এতে জেলার ডিমলা উপজেলার নদী তীরবর্তী ছয়টি ইউনিয়নের ১৫টি চরের অন্তত ১০ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে । ডালিয়া পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শুক্রবার দুপুরে তিস্তা নদীতে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। দুপুর ১২ টায় তিস্তা ব্যরাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেল ৩টায় ওই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সূত্র জানায়, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার ডিমলা, জলঢাকা ও লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ, হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার চর গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ করে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। দ্রুতগতিতে পানি বেড়ে ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ১৫টি গ্রামের ১০ হাজারের বেশি পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। উপজেলার পশ্চিম খড়িবাড়ি, কিছামত ছাতনাই, ঝাড় সিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, বাইশপুকুর, ছাতুনামা, কেল্লাপাড়া, ভেন্ডাবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। টেপাখড়িবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, আজ সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে।পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় বন্যাকবলিত মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছে। ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, উজান থেকে আসা ঢলে তিস্তায় পানি বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে তিস্তা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ আগস্ট ২৩/ মওম
- Advertisement -