আশরাফুজজামান:
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে রূপালী ব্যাংকের জয়নগর শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মফিজুর রহমান (৩৫)রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোজ ব্যাংক কর্মকর্তা রূপালী ব্যাংক জয়নগর শাখায় কর্মরত ছিলেন। সে কাশিয়ানি উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি গ্রামের মতিয়ার রহমান এর ছেলে। তবে তিনি নিখোঁজ না স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে রয়েছেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুর রহমানের নিখোঁজে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গত পহেলা আগস্ট থেকে তিনি নিখোঁজ । প্রায় ৯ দিন হতে চললো ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুর রহমান নিখোঁজ হলেও এখনও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি । এ ব্যাপারে কাশিয়ানি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন অত্র শাখার নবাগত শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ ফয়জুর রহমান। জানাগেছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের জয়নগর বাজার সর্ববৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র হওয়ায় এবং আশেপাশের লোকজনের সুবিধার জন্য প্রায় তিন যুগ পূর্বে রুপালী ব্যাংক কতৃপক্ষ তাদের একটি শাখা চালু করে। ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়,নিখোঁজ ম্যানেজার (প্রিন্সিপাল অফিসার) পি,ও মোঃ মফিজুর রহমান ১০.১২.২০১৯ তারিখে রুপালী ব্যাংক জয়নগর শাখায় যোগদান করেন। দীর্ঘদিন যাবত তিনি এই শাখায় কর্মরত ছিলেন। হঠাৎ করে গত ২৬ জুন তারিখে নতুন করে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এস,পি.ও) মোঃ ফাইজুর রহমানকে ম্যানেজার হিসাবে এই শাখায় বদলী করা হয়। তিনি যোগদান করাতে আসলে পুরানো ম্যানেজার মোঃ মফিজুর রহমান ব্যাংক খোলা রেখেই হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যান। ফলে নতুন ম্যানেজার মোঃ ফাইজুর রহমান যোগদান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যায় । তিনি উর্ধ্বোতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। কতৃপক্ষের নিদ্দের্শে মোঃ ফাইজুর রহমান বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেছেন। অসমার্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, ম্যানেজার মোঃ মফিজুর রহমান ব্যাংকে (চার কোটি টাকার উপরে) বড় ধরনের অর্থিক ঘাপলা করেছেন। আর সে কারণে তিনি গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। আর্থিক ঘাপলা খতিয়ে দেখতে প্রধান কার্যলয় ঢাকা থেকে এজিএম মোঃ শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যর একটি তদন্ত টিম ইতিমধ্যে (০৩.০৮.২৩ থেকে) সরেজমিনে কাজ শুরু করেছেন। এজিএম মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন,আর্থিক বিষয় নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। তবে সম্পূর্ণ কাজ শেষ না করে আমারা কিছু বলতে পারছি না। কর্মরত নতুন ম্যানেজার মোঃ ফাইজুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, ম্যানেজার মোঃ মফিজুর রহমান নিখোঁজ থাকায় আমি বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরী করেছি। সেই সাথে আর্থিক অনিয়ম আছে কিনা খতিয়ে দেখতে প্রধান কার্যলয় ঢাকা থেকে তিন সদস্যের একটি দল ব্যাংকে এসেছেন। তারা আর্থিক অনিয়ম আছে কিনা সেটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। আমারা খুব তাড়াতাড়ি আর্থিক বিষয়টি জানতে পারবো। কাশিযানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ আলম নিখোঁজ জিডির কথা নিশ্চিত করেছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/০৯ আগস্ট ২৩/মওম
- Advertisement -