সকাল ৮:৫১ | রবিবার | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৮শে মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি

সকাল ৮:৫১ | রবিবার | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৮শে মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি

কুমিল্লায় পৃথক দু’টি হত্যা মামলা’য় দুইজনের ফাঁসির আদেশ

-Advertisement-

আরো খবর

আবুল হোসেন:
কুমিল্লায় পৃথক দু’টি হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। ২৫ মে বৃহস্পতিবার এ রায় দেন কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খাঁন। মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা অনুমান ৬টায় হতে পরদিন ১১টা পর্যন্ত যেকোন সময় কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার জরুন্ডা গ্রামস্থ জনৈক মোস্তফার মৎস প্রজেক্টের পাশে সাহেব আলীর আলু ক্ষেতে আসামি রবিউল প্রকাশ রবিউল্লা বাদীর ছোট ছেলে ভিকটিম মোঃ মাসুদকে বলাৎকার করে হত্যা করে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতা কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কংগাই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ এর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (৪৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই স্বপন কুমার দাশ মামলার তদন্ত শেষে আসামি মোঃ রবিউলকে ধৃত করে আদালতে সোপর্দ করলে রবিউল বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালের ২০ জুন দ: বি: ৩৭৭/৩০২ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং- ৭২)। তারপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৬ সালের ১৭ ফেব্রুআরি আসামি রবিউল এর বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষে ১৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণক্রমে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে আসামি রবিউলকে দন্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত। রায়ে আরও উল্ল্যেখ করেন, আসামির মৃত্যু দণ্ডাদেশ মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন কতৃর্ক অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে ফাঁসির রুজ্জুতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে আসামি রবিউল আদালত ডকে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি মোঃ রবিউল প্রকাশ রবিউল্লা হলেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জরুন্ডা গ্রামের মোল্লা বাড়ীর রমিজ উদ্দিনের ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ কৌশলী বলেন বাদী এবং রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছি এ রায় বহাল রেখে মৃত্যুদণ্ড শীঘ্রই কার্যকর হবে।
অপরদিকে, মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০০৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় চোরি করার সময় চোরকে হাতেনাতে ধৃত করলে চোরের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে মোঃ মজিবুর রহমান (৬০) ঘাঁই মেরে হত্যা করে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের ভাগিনা কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নুরপুর গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আসামি আঃ জলিল (৪২)সহ চারজনকে আসামি করে চান্দিনা থানায় দণ্ডবিধির ৩৮২/৩২৬/৩০২/৩৪ ধারায় মামলা রুজ্জু করিলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহরিয়ার খাঁন ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামি মোঃ আঃ জলিল সহ ৩জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৩০ মে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং- ৪১)। এরপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ২৭জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে পলাতক আসামি আঃ জলিল এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে আরও উল্ল্যেখ করেন যে, আসামি আঃ জলিল এর মৃত্যু দণ্ডাদেশ মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন কতৃর্ক অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে ফাঁসির রুজ্জুতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে আসামি আঃ জলিল আদালত ডকে অনুপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার নবীয়াবাদ গ্রামের মৃত আঃ গফুর এর ছেলে আঃ জলিল।
এদিকে, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসি গ্রামের ছানা উল্লার ছেলে মোঃ মফিজ (৩৫) এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন এবং অপর আসামি চান্দিনা নুরপুর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে বজলুর রহমান ভুলু মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যুবরণ করিয়াছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ মে -২০২৩/মওম
- Advertisement -
- Advertisement -

সর্বশেষ