সুমন খানঃ
গজারিয়ায় একটু বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট এতে পাকা রাস্তায় ভেঙে গর্ত ও জলাবদ্ধতা সহ চরম ভোগান্তিতে পরে সাধারণ জনগণ। ২১শে মে শনিবার ভোর থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। ধমকা হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিতে গজারিয়ায় বেশ কিছু রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়। ‘কালবৈশাখীর প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় টেঙ্গারচর ইউনিয়নে বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রাম হয়ে পাকা রাস্তা ভেঙে গর্ত ও জলাবদ্ধতা দুর্ভোগের শিকার সিএনজি-অটোরিকশা সহ ছোট পরিবহন চালক, চলাচলকারি যাত্রী ও এলাকাবাসী। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাম হোসেন্দী, হোসেন্দী বাজার থেকে জামালদী বাস¯ট্যান্ড পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তাটি কেটে তিতাস গ্যাসের লাইন টেনে নিয়ে যায়, ফলে রাস্তার মেরামত কাজ না করায় খানাখন্দের কারণে জলাবদ্ধতা এবং ভাটেরচর বাস ¯ট্যান্ড হতে বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের শেষ পর্যন্ত একাধিক স্থানে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় পাকা সড়কে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে চলাচলকারি যাত্রী , পরিবহন চালক ও এলাকাবাসী। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে ইউনিয়নের বাসিন্দারা।এ রাস্তায় সিএনজি ,অটোরিক্সা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করে না। বর্ষায় রাস্তার গর্তে পানি জমে গেলে এসব যানবাহনও চলাচল করতে পারে না। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের মাসুমের বাড়ি সংলগ্ন পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতায় আসা-যাওয়া করছে, সিএনজি ,অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন ধরনের ছোট পরিবহন।ভাটেরচর ¯ট্যান্ড হতে বড়ইকান্দি গ্রাম যেতে রাস্তায় একাধিক স্থানে ছোট বড় গর্ত থাকায় যান চলাচলে খুব সমস্যা হয়, এছাড়াও সামান্য বৃষ্টিতেই জলাশয়ের সৃষ্টি হয় রাস্তায়। অটোরিকশার চালকসহ এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত সময়ে রাস্তার এই খানা-খন্দকে ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত প্রত্যাশা সিএনজি চালক জসিম উদ্দিন তোতা বলেন, রাস্তার এ বেহাল দশার কারণে এখন অনেকেই এ পথে চলাচলের সময়ে আতংকের মধ্যে রয়েছি । এ বিষয়ে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এলজিইডির গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ইশতিয়াক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েক হাজার মানুষ এ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ অর্থবছরে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন / ২১ মে ,২০২২/ মওম