আজ শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইসরায়েল বিশ্বের একমাত্র দেশ, যারা শিশুদের সামরিক আদালতে বিচার করে

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল একটি আদালত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ পাড়াতে ছয় ফিলিস্তিনির বাড়ি জোরপূর্বক উচ্ছেদের অনুমোদন দেওয়ার পর থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল এবং ইসরায়েল উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক পূর্ব জেরুজালেমে জোর করে উচ্ছেদের অবসানের পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলর  বোমা হামলা অভিযানের সমাপ্তির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। জবাবে ইসরালি জনতা ফিলিস্তিনিদেরকে  রাস্তায় যেখানেই পেয়েছিল সেখানে সহিংস আক্রমণ করেছিল। একজন অজ্ঞাত ইহুদি ব্যক্তি দ্বারা একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড বিশেষত উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে, যদিও কিছু ইসরায়েলরাও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল।

জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরে এক সপ্তাহের বর্বর অভিযানের মধ্যে দিয়ে ৮৫০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছিল। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের এক চতুর্থাংশ নাবালক ছিলেন।

ইসরায়েলের পাবলিক প্রসিকিউশন  ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মোট ১১৬ টি অভিযোগ দায়ের করেছে। আটককৃত ফিলিস্তিনিদের বেশিরভাগ শিশুকে সাধারণত পাথর নিক্ষেপের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়, যা ইসরায়েলের আইন অনুসারে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধ।

- Advertisement -

ইসরায়েল বিশ্বের একমাত্র দেশ, যা শিশুদের নিয়মিত সামরিক আদালতে বিচার করে। এই ট্রাইব্যুনালে আইনী চেক এবং ভারসাম্যের অভাব রয়েছে।

আমেরিকান ফ্রেন্ডস সার্ভিস কমিটি (এএফএসসি) অনুযায়ী ইসরায়েল প্রতি বছর অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে আটককৃতরা সহ সামরিক আদালতে ৫০০ থেকে ৭০০ জন ফিলিস্তিনি শিশুদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সংগঠনটি বলেছে যে ইসরায়েল পুলিশ ফিলিস্তিনি শিশুদের  জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকৃতি আদায় করেছে। অথচ শিশুদের আইনি পরামর্শ দেওয়ার অনুমতি নেই। তাদের অনেককে নির্জন কারাগারে বন্দী করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আটককালে ৯০ শতাংশেরও বেশি শিশু নির্যাতন করা হয়েছিল। যদিও আটকের আওতায় শিশু নির্যাতনের দাবি ব্যাপক, ইসরায়েলি বিচারকরা কোন সময়েই আমলেই নেয়নি এই ব্যপারটি। বন্দিকৃত ফিলিস্তিনিদের জন্য ইসরায়েল সরকার স্বস্থ্যকর পরিবেশের জন্য বরাবরই উদাসীন। তাদেরকে অন্ধকার এবং  বদ্ধ ঘরে রাখা হয় যাতে বায়ুচলাচলের জন্য কোনও জানালালা নেই। বন্দীদের বেশিরভাগ শৌচাগার দরজা ছাড়াই রয়েছে। কোভিড -১৯ এর হুমকি কারাগারের ভিতরে বিশাল আকার ধারণ করেছে।

জাতিসংঘ এর আগে শিশু আটককৃতদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।  ফিলিস্তিনি বাচ্চাদের গ্রেপ্তারের নীতি বাতিল করার জন্য কেন্দ্রীয় জেলা আদালতে আবেদন করেছিলেন। এই শিশুদের বেশিরভাগই কোনও অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়নি তবে তাদের বিচার-পূর্ব আটক রাখা হয়েছে । জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, সুরক্ষা এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য শিশুদের অধিকার অবশ্যই সর্বদা বহাল রাখা উচিত, বিশেষত স্বাস্থ্য সঙ্কটের সময়।

আলোকিত প্রতিদিন / সাগর

- Advertisement -
- Advertisement -