বন্যার পানিতে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় দিনাজপুর ঘুঘুডাঙ্গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

0
330

পিসি দাস, দিনাজপুর : দিনাজপুর সদরে ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে পশ্চিম উত্তর কোণে ২০১৭ সালের আগস্টের বন্যায় নদীর বাঁধ আংশিক ভেঙ্গে যায়। বন্যার পানি মাঠের ভিতর দিয়ে ঘুঘুডাঙ্গাসহ আশেপাশের গ্রামে প্রবেশ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়ি, গবাদিপশু, দোকানপাট, ক্ষেতের মৌসুমী ফসলসহ গাছপালা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রামবাসী ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ দ্রুত সংস্কারের জন্য দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে বারবার আবেদন করেও সুফল হয়নি। ২২ আগস্ট’১৭ তারিখে ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বরাবরে বন্যা কবলিত বাঁধ নির্মাণের স্বার্থে আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন করেও সুরাহ হয়নি।

অবশেষে দিনাজপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি পরিদর্শনে এসে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ সংস্কার করার আশ্বাস দেন। কিন্তু বাঁধের সংস্কার অদ্যাবধি করা হয়নি। চলতি অর্থ বছরে জুন মাসে অতি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে নদী ভরে গেলে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের পানি স্কুল মাঠ দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে ঘুঘুডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বাবলু সাংবাদিকদের জানান, ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ সংস্কারের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড, দিনাজপুর বরাবরে একাধিকবার আবেদন করেছি এবং নিয়মিত অফিসের সাথে যোগাযোগ করেও সুরাহা হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন দিয়েও সুফল পাইনি। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফইজুর রহমানের কাছে মুঠো ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঁধটি ১৯৯২ সাল পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ছিলো। বর্তমানে বাঁধটি আমাদের আওতায় না থাকার করণে সংস্কার করা যাচ্ছে না। তবে বাঁধটি সংস্কারের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কাবিখা ও কাবিটা প্রজেক্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম জানান, বাঁধটি সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস থেকে ৩০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা গ্রহণ করিনি। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় পানি ঘুঘুডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠের ভিতর দিয়ে পাড়া মহল­ায় ঢুকে পড়ছে। এতে বাসা বাড়ী, গবাদি পশু, মৌসুমী ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতি দ্রুত এ বাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা করা না হলে বন্যা প্রকট আকার ধারণ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

 

আলোকিত প্রতিদিন/২৭ জুন’২০/জেডএন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here