সংবাদদাতা, সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা): গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ঘাঘট ব্রীজের সংযোগ সড়কে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে পথচারিরা। হুমকির মূখে রয়েছে পাকা সড়ক ও ব্রিজ। যেকোনো মুহুর্তে সম্পূর্ণ সড়ক ধ্বসে যেতে পারে। উপজেলার বামনডাঙ্গা বন্দর থেকে নগর কাটগড়া হাট হয়ে ঘাঘট ব্রিজ পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি চলাচলের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তাটি ঘাঘট নদীর ব্রিজ হয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা দিয়ে রংপুর শহর যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের জনগণ এই রাস্তা দিয়ে রংপুর যাতায়াত করে। এ বছরে বন্যা আসার আগেই টানা ভারী বর্ষনে ঐতিহ্যবাহী নগর কাটগড়া হাটের যোগাযোগ সড়কে ঘাঘট ব্রিজ সংযোগস্থলে পাকা সড়ক ধ্বসে খাদের সৃষ্টি হয়। রাস্তাটি জনগণের জন্য অতীব জরুরী হলেও মেরামত করার উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি। যার কারণে মালবাহী যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এ রাস্তা দিয়ে বামনডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ, কাটগড়া উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, বামনডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বামনডাঙ্গা শিশু নিকেতন, রুপসী বাংলা বিদ্যাপীঠ এবং মেধা বিকাশ শিক্ষালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ স্থানীয় জনগণ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থায় আবার বন্যা এলে রাস্তা ধ্বসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ইট বহনকারী ভটভটি গাড়ি পার হতে না পেরে ইট নামিয়ে ব্রিজ পার হবার চেষ্টা করছে। কাটগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী প্রামানিক জানান, রাস্তাটি গত কয়েক দিনের বর্ষনে খাদের সৃষ্টি হয়েছে।
বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হুদা জানান, ‘অতি বর্ষনে এ ইউনিয়নের কয়েক জায়গায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলোই মেরামত করা হবে।’ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনসুর বলেন, ‘জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির কাজের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব প্রেরণ করেছি।’
আলোকিত প্রতিদিন/৪ জুন ‘২০/এসএএইচ