সংবাদদাতা,গাইবান্ধা: মেয়ে হয়েও বাবার সাথে ক্ষেতে কৃষি কাজ করে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে মনিকা রাণী মন্ডল। পিতা অনন্ত কুমার মণ্ডল পেশায় একজন কৃষক। কৃষি ফসল বিক্রি করে কোনো মতে সংসার চালান তিনি। সংসারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে মনিকা। অনন্ত কুমার মণ্ডলের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের হবিবুল্লাপুর গ্রামে। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবাকে সহযোগিতা করার জন্য প্রায়ই মাঠে কৃষি কাজ করতেন মনিকা।সাদুল্যাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। একই বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায় তিনি। এছাড়া সাদুল্যাপুরের হবিবুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পায় মনিকা। এসএসসিতে মনিকার জিপিএ ৫ পাওয়ার ব্যাপারে সাদুল্যাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেহানা খাতুনের অনেক অবদান। বিদ্যালয়ে পাঠদানের পাশাপাশি মনিকাকে আলাদা করে বাসায় বিনা বেতনে পড়ান তিনি। পড়ালেখা করে ডাক্তার হতে চায় মনিকা রাণী মন্ডল। কিন্তু অভাবের কারণে এখন ভালো কোনো কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার। মা সাবিত্রী রাণী বলেন, অভাবের কারণে ছেলেকে পড়াশোনা করাতে পারিনি। কিন্তু মনিকা ভালো ছাত্রী হওয়ার কারণে পড়াশোনার ব্যাপারে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনেক সহযোগিতা করেছে। মেয়ে এসএসসিতে ভালো ফলাফলও করেছে। কিন্তু এখন মেয়েকে কলেজে ভর্তি করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। সেই টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।সাদুল্যাপুর বহুমুখী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরশাদ আলী বলেন, মনিকা লেখাপড়ায় অত্যন্ত মেধাবী।
আলোকিত প্রতিদিন/৪ জুন ‘২০/এসএএইচ