::নিজস্ব প্রতিবেদক::
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাধারণ ছুটি না বাড়ানো এবং গণপরিবহন খুলে দিয়ে সরকার দেশকে চরম বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রথম থেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সমন্বয় নেই কোথাও এবং তাদের সিদ্ধান্তগুলো সম্পূর্ণভাবে অপরিপক্কই নয়, অদূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবিহীন। কোনো রকম চিন্তা ছাড়া একেবারে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি সাধারণ ছুটি না বাড়ানো ও গণপরিবহন খুলে দেওয়া একেবারে ভুল সিদ্ধান্ত। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেওয়ার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে। যে পরিমাণ পরীক্ষা হচ্ছে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিদিনই সেটা বাড়ছে। আক্রান্তের পরিমাণ বাড়ছে, মৃত্যুর পরিমাণ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাদের নির্বাচিত স্বাস্থসম্মত টেকনিক্যাল কমিটি তারা পরামর্শ দিয়েছেন যে, এখন এই মুহূর্তে একবারে একসাথে খোলা উচিত হবে না সব কিছু। সেক্ষেত্রে তারা তাদের কথা না শুনে সব কিছু খূলে দিয়েছে। আরো হুমকির মুখে গোটা জাতি পড়ে গেছে।
মির্জা ফখরুল জিয়াউর রহমানের কথা স্মরণ করে বলেন, করোনার সংকটময় মুহূর্তে এই নেতার কথা বার বার মনে হয়। এই ক্ষণজন্মা নেতা আজকে যদি নেতৃত্ব দিতে পারতেন তাহলে হয়তো বাংলাদেশের মানুষকে এত কষ্ট পেতে হতো না। তিনি বলেন, আজকে দেশে যখন গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে, মানবিক অধিকার প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে লঙ্ঘিত হচ্ছে তখন এই এক দলীয় কাণ্ডজ্ঞান বিবর্জিত এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, জনগণের কোনো কল্যাণে তারা কাজ করতে পারে না। তারা বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে একটা জাতিকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকীতে বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে, দলের পক্ষ থেকে আমরা আজকে মাজারে এসে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেছি, জিয়ারত করেছি, ফাতেহা পাঠ করেছি এবং তার রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।