:: প্রতিনিধি, ঢাবি::
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বন্ধ থাকা দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোতে পর্যাপ্ত আয়োজন ছাড়া অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থায় বৈষম্য আরও বাড়বে বলে মনে করছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
অনলাইনে ক্লাস না নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক ব্রিগেড গঠনের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিস্টারের টিউশন ফি মওকুফ করার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
রোববার ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল কাদেরী জয় ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স একটি যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সারা দেশে ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্কের দুর্বলতার কথা আমরা সবাই জানি। একই সাথে সকলেরই অনলাইনে ক্লাস করার উপযোগী ডিভাইস আছে এমন ভাবাটা বাতুলতা এবং এই করোনাকালীন দুর্যোগের সময়ে মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো যখন তাদের দৈনন্দিন খরচ সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন সেখানে ইন্টারনেটের খরচ বহন করা তাদের উপরে বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করা ছাড়া কিছু নয়।দেশের উচ্চশিক্ষার বৃহৎ একটি অংশ এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করে, এটা ভাবা কোনভাবেই উচিত নয় যে শুধুমাত্র সামর্থ্যবানদের সন্তানেরাই এখন এসকল প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনা করছে। তাই আমরা মনে করি উপযুক্ত আয়োজন, যেমন সকলের জন্য ডিভাইসের আয়োজন নিশ্চিত করা, ইন্টারনেট সুবিধাকে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে করা, সকল অঞ্চলে নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করা এবং ক্লাসকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত শিক্ষাব্যবস্থায় চলমান বৈষম্যকে আরো বেশি প্রকট করবে।”
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালরে এক সেমিস্টারের টিউশন ফি মওকুফ করার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনেই বলা আছে, এটা একটা অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। অথচ আমরা দেখছি বছর বছর এই বিশবিদ্যালয়গুলো শত শত কোটি টাকা মুনাফা করেছে, লাগামছাড়া টিউশন ফি নিয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। নামে-বেনামে ফি আরোপ করেছে শিক্ষার্থীদের ওপর। এই সম্পর্কিত কোনো নীতিমালাও প্রণীত হয়নি এখনও। এই দুর্যোগে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের এক সেমিস্টারের ফি মওকুফ করা উচিত।”
পর্যাপ্ত আয়োজন ছাড়া অনলাইন ক্লাস বৈষম্য বাড়াবে: ছাত্রফ্রন্ট
-Advertisement-
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -