মাইনুল হাসান মজনু:
বগুড়া সারিয়াকান্দির কালিতলা নৌঘাটে এখন থেকে পাওয়া যাচ্ছে মরুর দেশের রান্না করা গারলের মাংস। রান্না করা মরুর দেশের গারলের মাংস খেতে এ নৌঘাটে ভোজন রসিকদের উপচেপড়া ভীড়। দুপুরের খাবারেই পুরো একটি গারলের মাংসের সবগুলোই বিক্রি হয়েছে।
বগুড়া সারিয়াকান্দির বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে গড়ে উঠেছে মরুর দেশের গারলের খামার। যারা প্রাকৃতিকভাবেই যমুনাচরের সবুজ ঘাস খেয়ে বেড়ে উঠেছে। গত কয়েকবছর ধরেই এসব গারলগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং বগুড়া শহরের বিভিন্ন অভিযাত হোটেলগুলোতে বিক্রি হতো। এবার যমুনাপাড়ের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কালিতলা নৌঘাটে বিক্রি শুরু হয়েছে রান্না করা মরুর দেশের গারলের মাংস। গত শুক্রবার সকালে এ নৌঘাটে একটি ৪০ কেজি ওজনের গারল জবাই করে উদ্বোধন করা হয়েছে গারলের মাংস বিক্রি। নৌঘাটের হাজী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে পাওয়া যাচ্ছে এই গারলের মাংস। যমুনাপাড়ের মানুষের কথা চিন্তা করে প্রতি বাটি ভুনা মাংসের দাম ধরা হচ্ছে ১৪০ টাকা। এদিকে মরুর দেশের গারলের মাংস খেতে শুক্রবার দুপুরে এ নৌঘাটে ভোজন রসিকদের উপচেপড়া ভীড়ের সৃষ্টি হয়েছিল। দুপুরের খাবারেই পুরো একটি গারলের মাংসের সবগুলোই বিক্রি হয়েছে। অনেকেই পার্সেল করে নিজেদের পরিজনের খাওয়ার জন্য নিয়ে গেছেন। এটি সাধারণত প্রথম অবস্থায় শুধুমাত্র প্রতি শুক্রবার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন হোটেলের সত্তাধিকারী।
যমুনা গারল খামারের সত্তাধিকারী আশরাফ আলী বলেন, গারলের মাংসের এতো চাহিদা যে আমি খামার থেকে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারি না। গারলের মাংসে চর্বি নেই বললেই চলে। এটি খাওয়ার পরে সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার কোনও প্রয়োজন পরে না। এ মাংস আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপযোগী। আমাদের যমুনাপাড়ের এলাকাবাসী যাতে স্বল্প দামে গারলের মাংস খেতে পারেন তার জন্যই রান্না করা গারলের মাংস বিক্রি শুরু করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের খাবারের সাথে একটি গারলের সবগুলো মাংস বিক্রি হয়েছে। পরে অনেকেই গারলের মাংস খেতে এসে ফিরে গেছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/০২নভেম্বর ২০২৫/মওম
- Advertisement -


