আজ সোমবার, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৭ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দুর্নীতির অভিযোগে প্যানেল চেয়ারম্যান আমিনুল হক কে অপসরণের দাবিতে মানববন্ধন

-Advertisement-

আরো খবর

মোঃ রাশেদুল ইসলাম :
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল  চেয়ারম্যান আমিনুল হক কে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরিষদের ১০ ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা। এসময়ে আমিনুল হকের বিরুদ্ধে ভিজিএফ’র চাউল গোডাউন থেকে বিক্রি করা সহ নানান অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন।
২৫ অক্টোবর শনিবার বেলা ১২ টায় ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন। এর আগে পরিষদের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন ও করেন ইউপি সদস্যের।
সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন,’আমিনুল হক ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন গত আট মাস ধরে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ভি.জিএফ এর চাউল গোডাউন থেকে উত্তোলনের সময়েই
ছয় টন চাউল বিক্রি করে দেন। পরে এবিষয়টি জানতে পারেন। পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যদের চাউল বিক্রি করার মতো ঘটনা আর কখনো ঘটবে না। এরপরেও ঈদুল আযহার ভিজিএফ এর চাউল ৫০ কেজি ওজনের ২০ বস্তা চাউল বিক্রি করে দেন আবার। এছাড়াও পরিষদের উন্নয়ন প্রকল্পে তিনি টাকা ছাড়া ইউপি সদস্যদের প্রকল্প দিতে চান না। টাকা দিলে তিনি প্রকল্প দিয়ে থাকেন। ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্প নিজ ইচ্ছামত করেছেন। এবিষয়ে বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা চাই যে এই প্যানেল  চেয়ারম্যান কে অপসারণ করে নতুন করে একজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি করছি।
ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন লেবু বলেন,’আমিনুল হক  তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই দুটি ঈদের চাউল খাদ্য গোডাউন থেকেই বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে আমরা তাকে হাতেনাতে ধরে ছিলাম।ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা চারটি প্রকল্প তিনি নিজ ইচ্ছামতো করেছেন। আমরা প্রকল্পের কাজ করতে চাইলে তিনি বলেন আগে টাকা দিতে হবে পরে প্রকল্প নিতে হবে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স আদায় তাঁর একক সিদ্ধান্তে বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়াও আট মাস ধরে আমাদের সম্মানী ও বন্ধ করে দিয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন,’ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন লেবু, মুসলিম উদ্দিন ও ফরহাদ হোসেন। এছাড়াও সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফজলুল হক, আব্দুল গফুর, আনোয়ার হোসেন, মাসুদ রানা, জুয়েল রানা, নুরেজা বেগম ও  শাহানাজ বেগম।
এ বিষয়ে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  এস.এম.আলমগীর হোসেন বলেন,’লিখিত অভিযোগ দিয়ে ছিলেন। আমরা সেটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। \
আলোকিত প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর ২০২৫/মওম
- Advertisement -
- Advertisement -