তৌহিদুল ইসলাম সরকার,পাঁচ গ্রামের যাতায়াত রাস্তায় দুর্ভোগের কারণ মূলত বেহাল সড়ক, যা ভাঙাচোরা, কাঁচা, বা বৃষ্টি হলে তু সীমান্তের নিষেধাজ্ঞার মতো অবস্থা কারণ চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়ায় কারো পক্ষে যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কৃষকদের ফসল ঘরে তোলা, ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার একটি সড়ককে ঘিরে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। বৃষ্টির মৌসুমে এই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় এলাকাবাসীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় নেমে আসে চরম ভোগান্তি।দক্ষিণ হারেঞ্জা গ্রামের হারেঞ্জা মধ্যপাড়া এলাকার নক্সোরবাপের বাড়ী থেকে মতি মেম্বারের বাড়ী পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটির বয়স হয়েছে অর্ধ শতাব্দী।
তারাপাশা,কড়ইকান্দি,ধলাপাতা রামেশ্বরপুর,নামা সিদলাসহ ৫ গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি।গ্রীষ্ম,বর্ষা, শীতসহ সব ঋতুতেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকার সাধারণ মানুষকে।স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী, রোগী এবং বাজার করতে যাওয়া,উপজেলায় প্রশাসনিক কাজে যাওয়া এমনকি স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসুল্লিদের সংকটাপন্ন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে পোল্ট্রি খামারীরা মালামাল আনা নেওয়ায় চরম কষ্টের মুখোমুখি হতে হয়।
পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সোহরাব উদ্দিন কতৃপক্ষের কাছে জোড়ালো দাবী জানিয়ে বলেন,আমি প্রবাস ফেরত পোল্ট্রি ব্যবসায়ী এই রাস্তাটির জন্য চরম কষ্ট করতে হচ্ছে, পোল্ট্রির খাবার আনতে রাস্তা দিয়ে গাড়ী না চলায় শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে খামারে নিতে হয় এতে খরচ বেড়ে যায়। স্থানীয় কফিল মিয়া ও আব্দুর রশিদ জানান, কতো মেম্বার চেয়ারম্যান আসলো গেলো আমাদের এই রাস্তার উন্নয়ন হয়নি কোনোকালে।
একই গ্রামের সামিম মিয়া বলেন,একটা মানুষ হঠাৎ অসুস্থ হলেও এম্বুলেন্স বা কোন গাড়ী দিয়ে যে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেব এই অবস্থা নেই। একই মসজিদের নিয়মিত মুসুল্লি রফিক মিয়া আফসোস করে বলেন,রাতে মসজিদে নামাজ পড়তে অনেক বেকায়দায় পরতে হচ্ছে, ব্যহত হচ্ছে ধর্মচর্চা। স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শরিফুল ইসলাম সড়কটি পাকাকরনের দাবী করে মানুষের কল্যানার্থে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করেছেন তার সাথে সংযুক্তি দিয়েছেন রাস্তার সংস্কার দাবীকারী অসংখ্য লোকের স্বাক্ষর। হারেঞ্জা মধ্যপাড়া মসজিদের ইমাম মাওলানা শরিফুল ইসলাম রাস্তাটির দ্রুত পাকাকরণ দাবী করে বলেন,বৃষ্টির দিনে কাঁদা মাঁড়িয়ে মুসুল্লিরা মসজিদে এসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়,এ রাস্তাটির বেহালদশার কারণে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছেন, অনেকের ক্ষেত্রেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।ব্যবসা ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়ছেন উদ্দোক্তারা তাছাড়াও ডেলিভারী রোগির ক্ষেত্রে জীবনঝুঁকি এ কাঁচা রাস্তাটি।প্রায় অর্ধ কিলোমিটার রাস্তার জন্য চরম বিপাকে হাজার হাজার মানুষ। সড়কটি দ্রুত পাকাকরণের দাবী জানান এলাকাবাসী ও পথচারীরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাহিদ ইভা বলেন,এ সম্পর্কে একটা আবেদন আমরা পেয়েছি সরেজমিনে দেখে দ্রুত এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি