আলমগীর মতিন চৌধুরী: দেশে বিভিন্ন জিনিস পত্রের সাথে সাথে অবিশ্বাস্য হারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম, গড়েছে ইতিহাস। টাকা আছে নেই ডলার। বাজার অর্থনীতি ঘিরে বাংলার বিবর্ণ আকাশ। অনিয়ম দুর্নীতির কবলে দেশ, গৌরব ঐতিহ্য হারিয়ে দিশেহারা জাতি। ষাট দশকের শেষ দিকে ১ ডলার সমান ছিল সাড়ে ৬ টাকা। ১৯৫৩ সালে ১ মন চালের দাম ছিল ১৩ টাকা, ১ ভরি সোনার দাম ছিল ৭৬ টাকা, ১৯৭০ সালে ১ মন চালের দাম ২০ টাকা, ১ ভরি সোনার দাম ছিল ১শ ৮৪ টাকা, স্বাধীনের পরে স্বর্ণের ভরি ছিল ২শ টাকা। দেশে দীর্ঘ অস্থির রাজনীতি, সীমাহীন লুটপাট, অর্থপাচারে অনিয়ন্ত্রীত হয়ে পড়েছে অর্থবাজার। রাজনৈতিক ক্ষমতার টানাপোড়নে উলঙ্গ দেশ। ভঙ্গুর অর্থনীতি নিরাপত্তাহীন বিনিয়োগ বাণিজ্য। ডলারের সাথে সাথে টাকার মান কমে যাওয়ায় আমদানি দ্রব্যের আকাশ ছুঁই ছুঁই, ব্যাপক ভাবে বেড়েছে সোনার মতো মূল্যবান ধাতুর দাম। সাধু অসাধু সবাই জানেন, বৈধ অবৈধ যেকোন অর্থে স্বর্ণ কিনে সরাসরি মালিক হওয়া ও সহজে মজুত করা যায়। ফলে যারা সরকার কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাহীন, তাদের কাছে স্বর্ণ জনপ্রিয় উঠেছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ বছরে ১ হাজার ৪৫ দশমিক ৫০ গুণ। বিগত ২০ বছরে বেড়েছে ৩০ গুণ। বাজারে স্বর্ণের দাম ওঠানামা অস্বাভাবিক হলেও মন্দার আশঙ্কা ও বাজার অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের মজুত বাড়িয়েছে। প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। সোনার দাম বৃদ্ধির গতি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ব বাজার যেমন তেমন বাংলাদেশে এই প্রভাব পড়েছে বেশি। দাম বাড়তে বাড়তে এখন ২২ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়ছে ২ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ টাকা। যা এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে সর্বোচ্চ দাম। হঠাৎ বাংলাদেশে স্বর্ণের সীমাহীন দাম বৃদ্ধির কারণ বিশ্ববাজারে ডলার বিনিময় মানের ধস, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা) দাম বৃদ্ধির কথা জানা যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা স্বর্ণের দাম বেড়েছে সত্য কিন্তু দেশীয় বাজরে স্বর্ণের দাম আকাশ ছোঁয়া কেন, এমন উত্তর কে দিবে। আসলে অনেকে জানেনই না কিসের ভিত্তিতে কেনো-ই বা স্বর্ণের দাম ওঠানামা করে। অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়লেও ভবিষ্যৎ নিয়ে পূর্বাভাস খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। আতঙ্ক নয় জানা দরকার, নতুন বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন ধরনের ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট ও প্ল্যাটফর্ম সুবিধা দেয় অস্ট্রেলিয়ার কেসিএম ট্রেড। অনেকসময়, অনিশ্চয়তা, অস্থিরতার সময় বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের দিকে ঝোকেন। এটি বহুল প্রচলিত প্রবণতা। এর কারণ হলো- অন্যান্য সম্পদের তুলনায় স্বর্ণের মূল্য তুলনামূলক ভাবে স্থিতিশীল। গত দুই বছরে সোনার দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যারা সরকার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাহীন, তাদের কাছেও স্বর্ণ জনপ্রিয়। স্বর্ণ বাণিজ্যের দুটি প্রধান বাজার পদ্ধতি আছে। প্রথমটি হলো, বুলিয়ন সোনা বার, ইনগট, গয়না, কয়েন আকারে ক্রয়। দ্বিতীয়টি হলো, ফিউচারস মার্কেট। এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট দামে স্বর্ণ কেনাবেচার চুক্তি হয়। এ ছাড়া, বড় ক্রেতা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সাধারণত বড় ব্যাংক থেকে স্বর্ণ ক্রয় করে থাকে। স্পট মার্কেটে দাম নির্ধারিত হয় তাৎক্ষণিক চাহিদা ও যোগানের গতিশীলতার ওপর ভিত্তি করে। মূলত, লন্ডন বুলিয়ন মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের (এলবিএমএ) কারণে লন্ডন হলো স্পট গোল্ড মার্কেটের সবচেয়ে প্রভাবশালী কেন্দ্র। এলবিএমএ স্বর্ণ বাণিজ্যের মানদণ্ড নির্ধারণ করে পাশাপাশি ব্যাংক, ডিলার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘ওভার-দ্য-কাউন্টার’ লেনদেনের জন্য কাঠামো ঠিক করে দেয়। এছাড়া চীন, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণ বাণিজ্যের অসংখ্য কেন্দ্র রয়েছে। লেনদেনের পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গোল্ড ফিউচার মার্কেট হলো নিউ ইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ এর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ইনকরপোরেশন (কমেক্স)। চীনের সাংহাই ফিউচার এক্সচেঞ্জেও গোল্ড ফিউচারস কনট্রাক্ট কেনাবেচা হয়। এশিয়ার স্বর্ণের বাজার জাপানের টোকিও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (টোকম)। আসলে কয়েক বছরে বিনিয়োগে বাড়তে থাকা আগ্রহই স্বর্ণের দাম ওঠানামার মূল কারণগুলোর একটি। এ ছাড়া, মুদ্রা বাজারে অস্থিরতার বিপরীতে ঝুঁকি কমানোর কৌশল হিসেবেও স্বর্ণকে ব্যবহার করা হয়। ঐতিহ্য গতভাবেই স্বর্ণ মার্কিন ডলারের বিপরীতে অবস্থান করে। ডলারের মূল্য কমলে স্বর্ণের মূল্যও কমে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। তবে ডলার দুর্বল হওয়ার সময় স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ হয়েছে চীনের পণ্যেও। বিশ্ব বাণিজ্যে যে উত্তেজনা চলছে, সেটি মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা বাড়িয়েছে। এতে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিও স্বর্ণের দামের গতিপথকে প্রভাবিত করে। মার্কিন ডলার যেহেতু বিশ্বের অধিকাংশ দেশের আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যম তাই, মন্দার পূর্বাভাস পেলে অনেক দেশ ডলার সংরক্ষণ শুরু করে। যেটা বড় ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যদি লক্ষ্যকরি তা হলে দেখাযায়, গত কয়েক মাস ধরেই ডলারের মান কমছে। ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কর্তন করায় চলতি বছর ডলারের মান ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ফলে ডলার সংরক্ষণের বদলে অনেকে স্বর্ণে বিনিয়োগ করছেন। ডলারের পর আরেকটি জনপ্রিয় মুদ্রা হিসেবে বিবেচনা করা হয় জাপানি ইয়েন’কে। কিন্তু এটির মানও দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সানায়ে তাকাইচি নির্বাচিত হওয়ার খবরে দুর্বল হয়েছে। কারণ, সানায়ে রাজনৈতিক দর্শন অনুযায়ী ব্যয়, করছাড় ও কম সুদের হারকে সমর্থন করেন। প্রায় কাছাকাছি সময়ে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সাক্ষী হয়েছে। মন্ত্রীসভা গঠনের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লকর্নু। এই ঘটনাও ইউরোর মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। গত বছর ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে চলছে অস্থির রাজনীতি, সবকিছু মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণকে নিরাপদ আশ্রয় মনে করেছেন। স্বর্ণের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে বিনিয়োগ কতটা নিরাপদ তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্ববাজারের স্বর্ণের দাম বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলেছে। স্বর্ণে বিনিয়োগের পক্ষপুষ্টরা এটিকে নিরাপদ মনে করছেন, তাই কিছু বিনিয়োগকারী দৃশ্যমান সম্পদ কিনে রাখাটা স্বস্তিদায়ক মনে করছে। তারা ভাবেন ভবিষ্যতে দাম আরও বাড়বে। দাম কমলে কি হবে, এমন ভাবনা কারো মধ্যে দেখাযাচ্ছে না। এরপরও স্বর্ণে বিনিয়োগের সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ থেকেই যায়। যদিও হঠাৎ বিশ্ববাজারে সোনার মতো মূল্যবান ধাতু অনেক বেশি অস্থির। অর্থনৈতিক উদ্বেগের ফলে এর চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়ে যায়। চলতি বছরের শুরু থেকে অনেকে এতে বিনিয়োগ করে লাভবান হয়েছেন। আবার ক্ষতির মুখে পড়ার উদাহরণও আছে। যেমন গত ২ এপ্রিল ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বিশ্বজুড়ে পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তখনই স্বর্ণের দাম পড়ে যায়। স্বর্ণে বিনিয়োগের আগে নিরাপদ ভাবনা প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিন দিন বাড়ছে। এই বাণিজ্য চালিয়ে যেতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বাড়ছে। ধাপে ধাপে কমছে টাকার মান। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার ৯ অক্টোবর বিনিময় হার ইউএস ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা, ইউরোপীয় ইউরো ১৪১ টাকা ৬৪ পয়সা, ব্রিটিশ পাউন্ড ১৬৩ টাকা ২৯ পয়সা, সিঙ্গাপুর ডলার ৯৪ টাকা ১ পয়সা, অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৮০ টাকা ২২ পয়সা, কানাডিয়ান ডলার ৮৭ টাকা ৩১ পয়সা, মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ২৮ টাকা ৮৯ পয়সা, সৌদি রিয়াল ৩২ টাকা ৪৬ পয়সা, কুয়েতি দিনার ৩৯৭ টাকা ৩৩ পয়সা। ৫২ বছরে ডলারের মূল্যমান বেড়ে ৭ টাকা থেকে ১শ ২২ টাকায় পৌঁছেছে। এ সময়ের মধ্যে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ১ ডলারের হিসাবে টাকার মান হারিয়েছে ১শ ১৫ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৯৭১ সালে প্রতি ১ ডলার লেনদেন হয়েছে ৭ টাকা ৭৬ পয়সায়। আর সবশেষ বুধবার প্রতি ১ ডলার লেনদেন হয় ১শ ২১ টাকা ৮০ পয়সায়। এ সময়ের মধ্যে শুধু ১৯৭৯-৮০, ২০০৬-৭ সালে আগের বছরের তুলনায় ডলারের দাম কিছুটা কম ছিল। এছাড়া প্রতি বছরই কমবেশি হারে বাংলাদেশের মুদ্রাবাজারে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে। বাংলাদেশে টাকার মান নিয়ে হিসাব-নিকাশ করলে দেখাযায়, ১৯৭৪-১৯৭৫ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কতটা কমেছে। জিডিপি ডিফ্লেটর ভিত্তিতে হিসাব করে বলাযায় ১৯৭৪-১৯৭৫ অর্থবছরের এক টাকার ক্রয়ক্ষমতা ২০২৪ সালের ৩২ টাকা ৪৫ পয়সার ক্রয় ক্ষমতার সমান। ১৯৭৪-৭৫ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বার্ষিক গড়ে ৯.৩ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এতে সহজেই অনুমান করা যায়, সময় প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি নোট ও কয়েনগুলোর (এক পয়সা থেকে দুই টাকা পর্যন্ত) ক্রয়ক্ষমতা কমে গিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঐতিহ্যের স্মারক সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত মুদ্রাগুলো বাজার থেকে ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ১৯৯৭ সালের ২০০ টাকার বর্তমান মূল্য নির্ধারণের জন্য, প্রথমে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতির হার গড়ে ১০.৯%। এই হারে হিসাব করলে, ১৯৯৭ সালের ২০০ টাকার বর্তমান মূল্য হবে ২,৮৩২.৫ টাকা। তবে, মুদ্রাস্ফীতির হার একই হারে সবসময় থাকে না। কিছু বছর মুদ্রাস্ফীতির হার বেশি থাকে, আবার কিছু বছর কম থাকে। তাই, ১৯৯৭ সালের ২০০ টাকার বর্তমান মূল্য নির্ধারণের জন্য, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রতি বছরের মুদ্রাস্ফীতির হার আলাদা আলাদা করে হিসাব করা হয়। এই হিসাবে, ১৯৯৭ সালের ২০০ টাকার বর্তমান মূল্য হবে ২,৬৭০.৭ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ অনুযায়ী, দুই টাকার কয়েন বা দুই টাকার নোট পর্যন্ত সরকারি মুদ্রা। পাঁচ টাকার নোট ও কয়েন থেকে ৫০০ টাকার নোট পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাধীন ছিল, যা বর্তমানে ১০০০ টাকার নোট পর্যন্ত রয়েছে। স্বাধীনতার পর মুদ্রাবাজারে মোট টাকার মধ্যে সরকারি মুদ্রার যে অংশ ছিল, দিন দিন তা অনেক কমে গেছে। বিগত ৪০ বছরে দেশে রাজনৈতিক কারণে হরতাল হয়েছে ৪৯৩ দিন, অর্ধদিবস হরতাল হয়েছে ৫০৯ দিন। বিভিন্ন সময়ের দৈনিক আয় হিসাবে দেশের আর্থিক ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩৭ লাখ কোটি টাকা। দেশ অনিয়ম দুর্নীতির শীর্ষৈ ছিল ৩ বার। দুর্নীতির সেরা তালিকার (রেডজোন) দুই থেকে সতের মধ্যে অবস্থান করছে বারবার। এসময়ে অপরিকল্পিত শাসন শোষণ দুর্নীতি হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা, অর্থপাচার হয়েছে প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকা। এমন অপরাধের সাথে সরকারি চাকুরে ৩৮ শতাংশ, রাজনীতিক ৪৯ শতাংশ, ব্যবসায়ী ৯ শতাংশ, অন্যান্য ৪ শতাংশ মানুষ জড়িত ছিল বলে বিভিন্ন সময়ের জরিপে উঠে এসেছে। সর্বপরি বলাই যায়, রাজনীতি এই যেশের মানুষকে কিছুই দেয়নি, হতাশ করেছে বারবার। রাজনৈতিক অস্থিরতা অনিয়ম দুর্নীতি ভেঙ্গে দিয়েছে অর্থনীতির মেরুদন্ড, দেউলিয়া করেছে দেশ।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি