আজ সোমবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে ভাত খাইয়ে বাড়িত আসার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যের মৃত্যু

আরো খবর

অলিউল্লাহ কায়সার, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের নলচাপড়া দারুস সুন্নাহ আবাসিক কওমি মাদ্রাসা পড়ুয়া ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেয়েকে ভাত খাইয়ে ফেরত আসার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন জামালউদ্দিন(৬২) নামের এক ইউপি সদস্য।

নিহত জামালউদ্দিন উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের নলচাপড়া গ্রামের মৃত শহর আলীর পুত্র এবং বানিহালা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য।

রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মাদ্রাসাটির সামনে কুপিয়ে আহত করার পর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান।

 

এই ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন-নলচাপড়া গ্রামের মৃত ইসমাঈল হোসেনের ছেলে কছিম উদ্দিন ওরফে নওয়াব আলী(৬২) এবং মৃত মিরাশ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন(৫০)।নিজেদের বাড়িতে অবস্থানের সময় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।

 

মাদ্রাসাটির মোহতামিম মাও.মজিবর রহমান বলেন, মাগরিবের নামাজের সময় আমরা কেউ নামাজ শেষ করেছি কেউ নামাজরত আছেন এমন সময় বাইরে হট্টগোল শুনতে পাই। তখন বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন হট্টগোলের শব্দে বাইরে গিয়ে দেখতে পাই জসিমউদদীনের ছেলে রতন(৪৬),কাদির(৪০),সেলিম(৩৫), জব্বার(৪৪) ফারুক(৩০)সহ আরও কয়েকজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটার দ্বারা কাউকে ঘিরে রয়েছে। পরে সকলে মিলে সেখানে গেলে তারা চলে যায় এবং আমরা জামালউদ্দিনকে সেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখি। এরপর তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

 

এ বিষয়ে নিহত জামাল উদ্দিনের ভাই সুজন মিয়া(৪৫) এবং নিজাম উদ্দিন (৫০) বলেন-আমার ভাই ইউপি সদস্য। মাদ্রাসাটির সামনে সরকারি একটি পুকুরের পাড়ে দোকান স্থাপনকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছিল। যা পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়। সরকারের লোকজন এসে দোকান সরিয়ে দেয়। সেই থেকে আমাদের সাথে বিরোধ চলছিল রতন গংদের। এই রতনই তার ভাইদের সাথে নিয়ে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। এ সময় ১০/১৫ জন লোক মিলে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আমার ভাইকে গুরুতর জখম করে। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় আমার ভাতিজা সাকিবও আহত হয়।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজমান রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আত্নগোপনে চলে গেছে রতন গংরা। আবার রাতে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত জনতা।

 

এ বিষয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশের এসআই ও সেকেন্ড অফিসার লিটন চন্দ্র পাল বলেন-ইউপি সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় রাতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

 

- Advertisement -
- Advertisement -