ইপিআই কর্মসূচীর আওতায় দেশব্যাপী আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টিকাদান কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ও নোয়াখালী জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সিনিয়র তথ্য অফিসার মো: মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা:মরিয়ম সিমিন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার নূর উদ্দিন মো: জাহাঙ্গীর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইশরাত নাসিমা হাবিব,ইসলামিক ফাউন্ডেশন নোয়াখালী জেলার উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল মাসউদ,গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: উজ্জ্বল হোসেন,জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা: যীশু দাস।
বক্তারা বর্তমান বিশ্বে টাইফয়েডে আক্রান্ত বিশাল জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান হারের কারণ উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সরকারের নীতিনির্ধারকদের উদ্যেগের ফসল হিসেবে দেশব্যাপী এই টিকাদান কর্মসূচী বলে জানান।তারা আরো জানান,তাদের কর্মসূচী ১২ অক্টোবর থেকে আঠারো কর্মদিবস চলবে।
প্রথম ১০দিন চলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর পরের ২ সপ্তাহ চলবে কমিউনিটিতে। ৯ মাস বয়স থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু কিশোর কিশোরীকে এই টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় আনা হবে।ইপিআই সকল কেন্দ্রে সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান চলবে।এই সময়ে এর পাশাপাশি অন্যান্য টিকাদান কর্মসূচী চলমান থাকবে বলে সভায় জানানো হয়।
তবে টিকাদানের জন্য প্রতিটি শিশু কিশোরীর সরকারি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে আসতে হবে।সভায় আরো জানানো হয়,এই টিকাটির বড়ো কোনো পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এর আগে পাকিস্তান,আফ্রিকার কয়েকটি দেশে টাইফয়েডের গণটিকা দিয়ে খারাপ কোনো খবর পাওয়া যায়নি।তারপরও তাঁরা এই বিষয়ে একটি জেলা ভিত্তিক টীম ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসক রয়েছেন।খবর পাওয়ার সাথে সাথে রেসপন্স করতে পারবেন।নোয়াখালী জেলায় এখন পর্যন্ত এই টিকাদানে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি।এক্ষেত্রে উপস্থিত সাংবাদিকদের জোরালো সহযোগীতা কামনা করেছেন আয়োজকেরা।
পরে এই বিষয়ে জেলার সিনিয়র সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর শাস্তির দাবি করেন।পরে উপস্থিত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি দেখবেন বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন।