আজ সোমবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ধারাবাহিক অভিযানেও প্রতিহত করা যাচ্ছে না দখল 

-Advertisement-

আরো খবর

আবু সায়েম:
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন  কক্সবাজার রেঞ্জের লিংক রোড বিট কাম চেক স্টেশন এর আওতায়  দক্ষিণ মুহুরী পাড়ার  শামসুরঘোনা নামক এলাকায় রক্ষিত বনভূমি পুনরুদ্ধারে  অভিযান চালিয়ে প্রায়  সাড়ে  ৫ একর বনভূমি জবরদখল মুক্ত করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় হাজারো অধিক সুপারি গাছের চারা, নির্মিত পোলট্রি ফার্ম, এবং অস্থায়ী ঘেরা বেড়া, পান বরজ উচ্ছেদ করা হয়।
২০ সেপ্টেম্বর শনিবার কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় সহকারী বনসংরক্ষক সদরের সার্বিক তত্বাবধানে সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হকের নেতৃত্বে  এ অভিযান  পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কক্সবাজার রেঞ্জের অন্তর্গত চেইন্দা, কলাতলী, কস্তুরাঘাট ও লিংকরোড বিট কাম চেক স্টেশনের স্টাফ ও সিপিজি সদস্যরা অংশ গ্রহণ করেন।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়,  ২০০৭ -২০০৮  সালের ৪০.০ হেক্টর সামাজিক বনায়ন সৃজন করা হয়। যার মধ্যে থেকে অবশিষ্ট  ১০.০ হেক্টর বাগান ২০২২-২৩ সনে খাড়াগাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রয় করে কর্তন করা হয়।  মূলত সেই জায়গাটি দখল নেওয়ার জন্য ২-৩ টি বনদস্যু চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে।
সূত্র আরো জানায়, ২০২৪ সালের ৫  আগস্ট পরবর্তী দেশের পটপরিবর্তনকে কাজেে লাগিয়ে  এমন পরিস্থিতিতে বনদস্যুদের এই তৎপরতা বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। জবরদখল প্রতিহত করতে  ৫ই আগস্ট এর পূর্বে ও পরে অভিযান পরিচালনা করে বন বিভাগ। জড়িত বনদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত  ব্যবস্থাও  গ্রহণ করা হয়।
তৎকালীন অভিযানে অংশ নেওয়া এক বনকর্মকর্তা জানান, জবরদখল অপচেষ্টা অব্যাহত থাকায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, কক্সাবাজার সদর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সহযোগিতায়ও একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। বিগত কয়েক বছরে উক্ত এলাকায় জবরদখল প্রতিরোধে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যা গত  এক মাসের ভিতর দ্বিতীয়বার অভিযান পরিচালনা করে দখলকৃত বনভূমি পুনরায় উদ্ধার করা হয়।
সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হক বলেন,  রক্ষিত বনভূমি জবরদখলের কোন সুযোগ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সরকারি বনভূমি উদ্ধারে বনবিভাগ সজাগ রয়েছে। বনের জায়গা বনে ফেরাতে নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাত্যহিক অভিযানের অংশ হিসেবে শামসুরঘোনা এলাকায় রক্ষিত বনভূমি অপচেষ্টা প্রতিহত করতে পুনরায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গত এক মাসে এ এলাকায় ২বার অভিযান চালিয়েছি।জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ধারাবাহিক অভিযানেও ঠেকানো যাচ্ছে না রক্ষিত বনভূমি। তারপরও সহনশীলতার সাথে আমরা রক্ষিত বনভূমি পুনরুদ্ধারে বারংবার অভিযান চালাচ্ছি।সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে এবং রক্ষিত বনভূমি জবরদখল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/২১সেপ্টেম্বর ২০২৫/মওম
- Advertisement -
- Advertisement -