আজ সোমবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঘাটাইলে পূজার নিরাপত্তা পরিদর্শনে ওসি মীর মোশাররফ হোসেন

-Advertisement-

আরো খবর

রাহাত সরকার: 
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঢাকঢোল পিটিয়ে উৎসবের আমেজ নিয়ে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এ বছর ঘাটাইল উপজেলায় ৭১টি মন্ডপে পূজা হবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্দির-মন্ডপে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। মাটির প্রলেপ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এগুলো। কয় দিন পরেই রং-তুলির আঁচড়ে দৃষ্টিনন্দন করা হবে এসব প্রতিমার অবয়ব।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভা ও উপজেলার বিভি-ন্ন পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা তদারকি করতে পরিদর্শন করেছেন ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত মণ্ডপে যান এবং পূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শনকালে ওসি মীর মোশারফ হোসেন মণ্ডপ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দেন এবং জানান, পূজা চলাকালীন প্রতিটি মণ্ডপ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির আওতায় থাকবে। পাশাপাশি ভলেন্টিয়াররা প্রতিটি মণ্ডপে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন এবং পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন। তিনি বলেন, “শারদীয় দুর্গাপূজা একটি বড় ধর্মীয় উৎসব। এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ যেমন অংশগ্রহণ করেন, তেমনি সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষও আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। তাই উৎসবের পরিবেশে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।” এ সময় তিনি আরও উল্লেখ করেন, “প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। উৎসবমুখর পরিবেশে যেন সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে পূজা উদযাপন করতে পারে, সে লক্ষ্যে পুলিশ সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।” এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও কমিউনিটির স্বেচ্ছাসেবীরা সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন বলে জানান ওসি মীর মোশারফ হোসেন। তিনি মণ্ডপ পরিচালনা কমিটির প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন এবং যেকোনো সন্দেহজনক বিষয় বা পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করেন।
স্থানীয়রা জানান, পূজা উপলক্ষে এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী বিশ্বাস করেন, পুলিশ ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব উদযাপন সম্ভব হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/২০সেপ্টেম্বর ২০২৫/মওম
- Advertisement -
- Advertisement -