শফিউল মন্ডল, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পশ্চিম পলাশবাড়ী গ্রামে আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায় তুলসী রানি (২৩) নামে এক মা তার ৬ মাস বয়সী কন্যাসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেছেন। ঘটনার খবর স্থানীয়দের মধ্যে গভীর শোক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয়রা জানান, তুলসী রানি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তিনি স্থানীয় হোটেল কর্মচারী বাবুলালের স্ত্রী।তাদের বিগত ৭ বছর আগে বিয়ে হয়।দাম্পত্য জীবনে তাদের আরও একটি ৫ বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। তুলসীর বাবা সৈয়দপুরের আদানীর মোড় এলাকার দলুয়া বাড়ির বাসিন্দা।
তুলসী রানি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, “আমি বাচ্চা সামলাইতে পারি না। নতুন সন্তান হওয়ার পর ঠিকমতো রান্না করতে পারছি না, ভালোভাবে খেতে পারছি না, দুধ খাওয়াতে ইচ্ছে করছিল না। তাই আমি গলা কেটে হত্যা করেছি।”
শিশুটির দাদী বলেন, “তুলসী কিছুদিন ধরেই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। আমরা চিকিৎসার চেষ্টা করেছি। আজ সকালে আমি নাতনীকে দুধ খাওয়াতে বলি, তখন সে ছুরি দিয়ে আমাদের ৬ মাস বয়সী নাতনীর গলা কেটে হত্যা করে। আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি যে এমন ঘটনা ঘটবে।”
স্থানীয়রা জানায়, তুলসীর মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি তারা আগেই লক্ষ্য করেছিলেন, তবে পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং তুলসী রানিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মানসিক অসুস্থতা এবং শিশুসন্তানের চাপ এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে। আমরা বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
- Advertisement -