আজ সোমবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভূমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, সংবাদ সম্মেলনে মিলন দাশ গুপ্ত

-Advertisement-

আরো খবর

নুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ:
সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মরফলা বঙ্গ মজকুরীর বাড়ীর পুলিন বিহারী দাশ গুপ্তের পুত্র মিলন দাশ গুপ্তের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ এনে গত ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল তার প্রতিপক্ষরা।
মিলন দাশ গুপ্ত (৭৫) গত ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় কেরানিহাটের একটি কনফারেন্স সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত অভিযোগসমূহ অস্বীকার করেছেন এবং প্রতিপক্ষের মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিলন দাশ গুপ্ত বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো পদে নেই। দীর্ঘদিন আর এম এন উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের মেম্বার ছিলাম। কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলাম। আমি কখনও কারো ক্ষতি করিনি। বরং যতটুকু সম্ভব মানুষের উপকার করেছি। সমাজের সেবা করেছি।কেরানিহাটসহ এতদঞ্চলে যখন কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক, চিকিৎসক ছিল না তখন আমি ধাত্রী নিয়ে শত শত প্রসূতির ঘরে গিয়ে সেবা দিয়েছি।”
তিনি আরো বলেন, “আমার প্রতিপক্ষরা মানববন্ধনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতার অভিযোগ এনেছেন। তাদের এ অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা। আমি কখনও কারো ভূমি দখল করিনি। বরং অভিযোগকারীরাই আমার ভূমি জবর দখলের পায়তারা করছে।”
মিলন দাশ গুপ্ত বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী অমল দাশ (৩৫) ও কমল দাশ (৪২) ইসকনের অনুসারী এবং ইসকন নেতা চিন্ময় দাশের মামলার সাথে জড়িত। তাদের পিতা কালি শংকর দাশ ১৯৭৩ সনে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। অমল দাশ, রনি দাশ, শিমুল দাশ এবং কমল দাশের বিরুদ্ধে আমার দায়েরকৃত ১৪/২০১৯ নম্বর মামলা এখনও বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সাতকানিয়ায় চলমান আছে। অমল দাশ, রনি দাশ এবং কমল দাশ গত ০১/১১/২০২২ তারিখে মরফলা মৌজার বি এস ৫৬৪ খতিয়ানের ৭১৪, ৭১৩, ৭১৩/৮১০ দাগে তাদের মৌরশী প্রাপ্ত আট আনা স্বত্ব তাদের নামে নামজারী খতিয়ান সৃজন করে ফেলে। উক্ত খতিয়ানের অধীন আমার আট আনা স্বত্ব নামজারী বি এস ২৫-১৩০২ খতিয়ান সৃজন করে আমি ভোগ দখলে স্থিত আছি। তারা উক্ত জায়গা জবর দখল করতে চাচ্ছে। উক্ত বিষয়ে আমি তাদের বিরুদ্ধে গত ০৩/০১/২০২৪ তারিখে সাতকানিয়া থানায় জিডি করেছি। জি.ডি নম্বর-১৫১।”
তিনি আরো বলেন, “আমার প্রতিপক্ষ সুধীর দাশ ও মন্টু দাশের পিতা নিরঞ্জন বিহারী দাশ ১৯৭৮ সালে সাতকানিয়া আদালতে আমার পিতার বিরুদ্ধে ১৮/১৯৭৮ নম্বর মামলা দায়ের করেছিল। উক্ত মামলা খারিজ হয়ে যায়। তারা তা না জেনে অহেতুক নতুন মামলা দায়ের করে এবং বারবার সময় নিয়ে আমাকে হয়রানি করছে। তাদের বিরুদ্ধে আমি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চট্টগ্রামে ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন ২০০৩ এর ৮ ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করেছি।”
তিনি প্রতিপক্ষের অপবাদ, ষড়যন্ত্র, হুমকী ও হয়রানী হতে বাঁচতে বিজ্ঞ আদালত, সরকারী প্রশাসন, আইন – শৃংখলা বাহিনী, জাতির জাগ্রত বিবেক সাংবাদিক সমাজ ও দেশবাসীর সহায়তা কামনা করেছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১৪সেপ্টেম্বর ২০২৫/মওম
- Advertisement -
- Advertisement -