আঘাত হানার আগে মিসাইলটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।তবে মিসাইলটিতে ক্লাস্টার বোমা থাকার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি বাহিনী।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, মিসাইল হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তারা বলেছে, রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে তেলআবিব ও আশপাশের অঞ্চলে আসন্ন মিসাইল হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। ওই সময় ইসরায়েলিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গত কয়েকদিনে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একাধিক ক্লাস্টার বোমাবাহী মিসাইল ছুড়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। এছাড়া ড্রোন দিয়েও হামলা চালিয়েছে তারা। গত সপ্তাহে একটি ড্রোন ইসরায়েলি বিমানবন্দরে আঘাত হানে।
এর দুদিন পর ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক বোমা হামলা চালায়। এতে অন্তত ৩৫ ইয়েমেনির মৃত্যু হয়। যারমধ্যে শিশুও ছিল।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ায় হুতিরা। তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে করে ইসরায়েলের মালিকানাধীন কোনো জাহাজ আর সেখানে চলাচল করতে পারছে না।
হুতিদের এই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে যুক্তরাষ্ট্র। তা সত্ত্বেও তাদের থামানো যায়নি। তবে ইসরায়েল এখন তাদের বিমানবাহিনী দিয়ে ইয়েমেনে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে। এরমধ্যে একটি হামলায় হুতি বিদ্রোহী সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্তত ১২ মন্ত্রী নিহত হয়েছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
আলোকিত প্রতিদিন/১৩সেপ্টেম্বর ২০২৫/মওম