আজ সোমবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জর্জিনাকে প্রপোজ করা রোনালদোর আংটি*র দাম ১২১ কোটি টাকা

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

স্পোর্টস ডেস্ক, দীর্ঘ ৯ বছর প্রেমের পর অবশেষে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রেমিকা জর্জিনা রদ্রিগেজ গত ১১ আগস্ট ইনস্টাগ্রামে একটি রোমান্টিক ছবি পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারা। ছবিতে দেখা যায়, আংটি পরা তার হাত রাখা রোনালদোর হাতে, ক্যাপশনে লেখেন—“হ্যাঁ, আমি রাজি। এই জীবনে এবং আমার অন্য সব জন্মেও আমি রাজি।

এই ঘোষণার পর থেকেই আলোচনায় এসেছে সেই আংটি। কত দাম, কেমন পাথর, বাগদানের উপযোগী কি না—এসব প্রশ্ন নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে বিশ্ব গণমাধ্যম। ‘এল’ ম্যাগাজিনের অস্ট্রেলিয়া সংস্করণ জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের মতে এই আংটির মূল্য ১ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২১ কোটি টাকা)। কারও মতে, এতে রয়েছে ওভাল শেপের হীরকখণ্ড—২২ থেকে ৩০ ক্যারেটের হবে।

তবে এই আংটিকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। স্পেনের গয়না বিশ্লেষক হুয়ানা গার্সিয়া সানচেজ দাবি করেছেন, এটি আসলে কোনো বাগদানের আংটি নয়, বরং একটি “ককটেল রিং”—যেটি মূলত বিশেষ অনুষ্ঠানে নজর কাড়ার জন্য পরা হয়, প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য নয় এটা।

সানচেজ বলেন, ‘রোনালদোর দেওয়া আংটিটি আকারে খুব বড়, প্রায় ৪০ ক্যারেট পাথর বসানো। এটি বাগদানের আংটির সাধারণ বৈশিষ্ট্য পূরণ করে না। বরং এটি অস্বস্তিকর, আঙুলের স্বাভাবিক নড়াচড়াও এতে ব্যাহত হতে পারে।’

- Advertisement -

তিনি আরও বলেন, ‘বাগদানের আংটি সাধারণত সাদা বা হলুদ সোনায় তৈরি হয়, হালকা ও আরামদায়ক হয়—যা প্রতিদিন ভালোবাসা ও অঙ্গীকারের প্রতীক হিসেবে পরা যায়। এই আংটিতে থাকা বিশাল হীরা বরং ককটেল রিংয়ের বৈশিষ্ট্যই বহন করে, যা ১৯২০-এর দশকে নারীদের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে ওঠে।’

যদিও জর্জিনা আংটিটি বাঁ হাতে পরেছেন—যা বাগদানের চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়—তবুও সানচেজের মতে এটি আদতে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অলংকার মাত্র, যা মনোযোগ টানার জন্য পরা হয়, প্রতিদিনের ভালোবাসার প্রতীক নয়।

এখনো নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক হয়নি। তবে স্প্যানিশ টিভি শো দ্য কোরাজোন-এর সাংবাদিক আলবার্তো গুজমান জানিয়েছেন, রোনালদো জর্জিনাকে শুধু আংটি নয়, দিয়েছেন একটি পোরশে গাড়ি, দুটি বিলাসবহুল ঘড়ি (মূল্য ৫০ হাজার ইউরোর বেশি) ও দুটি ডিজাইনার পোশাক (মূল্য ৩০ হাজার ইউরো+)।

গুজমানের তথ্যমতে, রোনালদো ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান এবং বিশ্বমঞ্চ থেকে বিদায়ের পরই বিয়ে করতে পারেন। সম্ভাব্য বিয়ের তারিখ হতে পারে ২০২৬ সালের ১৯ জুলাইয়ের পর—যখন শেষ হবে সেই বিশ্বকাপ খেলা।

বিয়ের ভেন্যু নিয়েও কিছু ধারণা মিলেছে। খুব সম্ভবত, অনুষ্ঠানটি হবে রোনালদোর নিজ দেশ পর্তুগালেই হবে বিয়ে।

যাই হোক আংটির আকার বা দামের বাইরে এক বিষয় নিশ্চিত—বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে জীবনের নতুন অধ্যায়ের পথে এগিয়ে চলেছেন রোনালদো ও জর্জিনা।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

- Advertisement -
- Advertisement -