বাঘায় বন্যা দুর্গত এলাকায়  বিএনপি নেতা চাঁদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ!

 আব্দুল আলিম, রাজশাহী বাঘার চরাঞ্চলে বন্যায় আক্রান্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ । এসময় নেতা কর্মীদের সাথে পানির মধ্যে হেটে পানিবন্দী মানুষের খোঁজ খবর নেন। রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু সাইদ চাঁদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর নির্দেশনায় মানবিক সহায়তা হিসেবে তারা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। এর আগে শুকনা খাবার ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। বণ্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমন এলাকার মানুষের পাশে থেকে মানবিক সহায়তা  দিবে বিএনপি।

রোববার(১৭-০৮-২০২৫) বিকেল ৩টায় চকরাজাপুর ইউনিয়নে গিয়ে পানিবন্দী কয়েকটি গ্রামের ৭০০পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল,ডাল ও ময়দাসহ প্রতিজনকে একটি প্যাকেজ প্রদান করা হয়েছে।

উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার সামসুজ্জোহা,চারঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুল, বাঘা উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলু, সদস্য মুখলেছুর রহমান মুকুল, আড়ানী পৌর বিএনপির সভাপতি তোজাম্মেল হক, বাঘা পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক তফিকুল ইসলাম তফি,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ, বাজুবাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আডভোকেট ফিরোজ  আহমেদ রঞ্জু, গড়গড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাসুদ করিম টিপু,বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, চকরাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মুংলা খামার ও সাধারণ সম্পাদক জগলু শিকদার,মনিগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ মুকুল,পৌরসভার ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর সহিদুল ইসলাম মাষ্টার, উপজেলা যুবদলের নেতা সালেহ আহমেদ সালাম, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফি, রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকার, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সেলিনা আক্তার শাপলা সহ বাঘা-চারঘাটের বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ।

প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম- পলাশী ফতেপুর, কালিদাসখালী ,আতারপাড়া,চৌমাদিয়া, দিয়াড়কাদিরপুর,লক্ষীনগর ও গড়গড়ি ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম- কড়ারি নওশারা,খানপুর গুচ্ছগ্রাম, আশরাফপুর এবং খানপুর নীচ পাড়াসহ আক্রান্ত এলাকার ১০ গ্রামের মোট ৮ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে পানিবন্দী ২ হাজার ৪০০ পরিবার।

জানা যায়,এবারের বন্যায় ইউনিয়নটির  প্রায় ১৭০০শ বিঘা জমির আবাদি ফসলসহ গোচরণভূমি ও রাস্তাঘাট বণ্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতেও রয়েছে, চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ এর  চারপাশে ৫০টি পরিবার । লক্ষ্মীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেড়ার অর্ধেক পানিতে ডুবে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, উপজেলার  প্রায় শতাধিক হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাম্মী আক্তার বলেন, সরকারিভাবে  মানবিক সহায়তার চাল ও শুকনা খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।