প্রতিনিধি,নেত্রকোণা:
নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ এর সাব-জোনাল অফিসের অনুমোদিত ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান সমিতির চার্ট টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে।১৭ আগস্ট সকালে সমিতির পক্ষ থেকে আটপাড়া সাব-জোনাল অফিসের সামনে ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান গণের নামের তালিকা সম্বলিত একটি চার্ট টাঙাতে গেলে নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেলার সভাপতির কাইয়ুম চৌধুরীর পক্ষ থেকে বাঁধা দেওয়া বিষয়টি জানা যায়।
এতে করে চার্টটি অফিসের টাঙানো সম্ভব হয়নি ইলেকট্রিশিয়ানদের। অথচ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আর এম ও) হতে প্রতিটি অফিসের দৃশ্যমান জায়গায় অনুমোদিত ইলেকট্রিশিয়ানদের তালিকা প্রদর্শনের ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ লিখিত অনুমোদন দিয়েছেন।
এ সময় ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ানের নেত্রকোণা জেলা শাখার সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন, সম্মানিত সদস্য সারোয়ার জাহান ফরিদ ও আব্দুল হাকিম শেখ , আটপাড়া উপজেলার ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলামসহ বিভিন্ন উপজেলার ইলেকট্রিশিয়ানগণ উপস্থিত ছিলেন।
ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান সমিতি সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভ্রাম্যমাণভাবে কাজ করে আসছে। তবে গ্রাহকদের স্বচ্ছতা ও হয়রানি কমানোর জন্য অনুমোদিত ইলেকট্রিশিয়ানগণের চার্ট তৈরি করে নিয়ম অনুযায়ী পল্লী বিদ্যুতের সামনে প্রদর্শনী স্থানে টাঙানোর লিখিতভাবে আবেদন করার পরেও অনুমতি দেয়নি আটপাড়া সাব-জোনাল অফিসের এজিএম । তিনি বলেন, এখানে টাঙাতে হলে আগে জেলার সমিতির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করার জন্যে ।
বাংলাদেশ ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান বিভাগীয় আহবায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য ও নেত্রকোণা জেলার কোষাধক্ষ্য আল-আমিন শেখ জানান, চার্ট ঝোলাতে না দেওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন। নেত্রকোনা জেলার সকল উপজেলায় এই চার্ট টাঙানোর হয়ে গেছে কোন বাঁধা আসেনি শুধু এই আটপাড়ায় সভাপতি নিষেধ দেওয়াই এজিএম টাঙাতে দিচ্ছে না। কি কারণে বাঁধা দিচ্ছেন তা কারো জানা নেই।ফোন দিলেও ইলেকট্রিশিয়ানদের সাথে কথা দেখা করার জন্য সময় নেই। এটি বাঁধার পেছনে স্বার্থ রয়েছে বলে তাদের দাবি।
অন্যদিকে নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের আঞ্চলিক সভাপতির কাইয়ুম চৌধুরী কাছে এর কারণ জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ইলেকট্রিশিয়ানরা উনাকে কোন চিঠি দেয়নি দিলে পরে বিষয়টি দেখবেন এবং আর কোনো মন্তব্য না করে ফোন কেটে দেয়।
এদিকে আটপাড়া সাব- জোনাল অফিসের এজিএম এর সাথে যোগাযোগ করলে মিটিংয়ে থাকায় এবিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আকরাম হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। বর্তমানে ঢাকায় আছেন ঢাকা থেকে এসে আঞ্চলিক সভাপতির সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে জানান। এছাড়াও চিঠির দেওয়ার বিষয়টিতে তিনি বলেন এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
আলোকিত প্রতিদিন/১৮ আগস্ট ২০২৫/মওম
- Advertisement -