ক্রীড়া ডেস্ক:
সাফ অনূর্ধ্ব ২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। চারটি গোলই এসেছে সাগরিকার পা থেকে। শেষ ম্যাচে সেরাও হয়েছেন এই স্ট্রাইকার। লাল কার্ডের কারণে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ থাকায় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল। শেষ ম্যাচে ফিরেই মাঠ মাতালেন। প্রতিপক্ষকে দিলেন একাই ৪ গোল। খেলতে না পারার জেদ থেকেই একের পর এক গোল এসেছে- ম্যাচ শেষে সেটাই জানিয়েছেন সাগরিকা।
কিংস অ্যারেনাতে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সবার অপেক্ষা সাগরিকার জন্য। কোচ পিটার বাটলার এবং অধিনায়ক আফিঈদা খন্দকারের সঙ্গে এসেছিলেন বাংলাদেশের ট্রফি জেতার অন্যতম কারিগর সাগরিকা।
৪ গোল করে সাগরিকা বললেন’, ”অনেক ভালো লাগছে৷ খেলতে পারছিলাম না এজন্য খারাপ লেগেছিল। জেদ কাজ করছিল। নেপালের বিপক্ষে মাঠে ফিরে গোল করতেই হবে। টিমমেটরা বলছিল, ‘নেপালের সঙ্গে খেলে দেখিয়ে দিবি।’ এখন সেটা করতে পেরে ভালো লেগেছে।”
নেপালের বিপক্ষে আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন সাগরিকা। এজন্য তিন ম্যাচ খেলতে পারেননি। তিন ম্যাচ খেলেই ৮ গোল করেছেন। সর্বোচ্চ গোলদাতার স্বীকৃতি না পাওয়ায় খানিকটা আফসোস সাগরিকার, ‘তিন ম্যাচ খেলতে পারলে হয়তো হতে পারতাম।’ তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় থেকে শিক্ষাও পেয়েছেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড। তিনি বলেন, ‘মাথা গরম করলে হবে না। আমাদের ফরোয়ার্ডের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।’
সাগরিকা বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দুর্দান্ত খেলছেন। সিনিয়র দলে জায়গা পেলেও এখনও সেভাবে থিতু হতে পারেননি। জাতীয় দলে সাগরিকার সম্ভাবনা নিয়ে কোচ পিটার বাটলার বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে সে ভালো ফরোয়ার্ড। তার এই পারফরম্যান্স জাতীয় দলের জন্য প্রবেশদ্বার।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ম্যাচশেষে বলেছেন, ‘আমরা মাঠে নামার আগে উত্তরার বিমান দুর্ঘটনার খবরটা শুনি। এরপর আমরা চিন্তা করি যে আজকে আমরা তাদের জন্য খেলবো। যাঁরা নিহত হয়েছেন, জয়টা তাঁদের উৎসর্গ করব। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা পেরেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন নেপালের সহকারী কোচ। তিনি সাগরিকাকে ফাইনেস্ট স্ট্রাইকার হিসেবে আখ্যায়িত করে বললেন, ‘সাগরিকা দক্ষিণ এশিয়ার ফাইনেস্ট স্ট্রাইকার। আজকের ম্যাচে অসাধারণ খেলেছে। তাকে আটকানোর পরিকল্পনা ছিল আমাদের, কিন্তু কাজে আসেনি।’
আলোকিত প্রতিদিন/২২ জুলাই ২০২৫/মওম