প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে, জিয়াউর রহমানের নাম একবারও উচ্চারণ না করায় ‘হতাশ’ বিএনপি!

0
48

আলোকিত প্রতিবেদক: জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নাম একবারও উচ্চারণ না করায় হতাশ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার জিয়া উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

 

হতাশা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি অত্যন্ত হতাশ হয়েছি, গতকাল প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে যে বক্তব্য তিনি দিয়েছেন, সেখানে নির্বাচনী রোডম্যাপের কথা বলেননি তিনি। আমি হতাশ হয়েছি, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নাম একবারও উচ্চারণ করেননি।

এ সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এসব নেতাকর্মীরা পরে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতেও অংশ নেন।

এ সময় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসন আমলের নির্মম অত্যাচারের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা আবার গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত ন্যূনতম সংস্কার করে অর্থাৎ যা নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন তা করে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।

তিনি বলেন, ‘আজকের এই মহান দিবসে আমি সশ্রদ্ধচিত্ত্বে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে-যার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি মরণাপন্ন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। জিয়াউর রহমান শুধুমাত্র স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থেমে থাকেননি। তিনি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃত করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘জিয়াউর রহমান বীরউত্তম স্বাধীনতার ঘোষক-এটাই ছিল ইতিহাস। আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃত করেছে, আমরা চাই না সেই ইতিহাস আবার বিকৃত হোক।’

‘আজকের দিনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির পক্ষ থেকে গোটা জাতিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি’, বলেন মির্জা ফখরুল। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি অতি শিগগির আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ফিরে পাব।’

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নির্বাচন প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন- সে প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুন ছয় মাস। সুতরাং এটা কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি। আমরা বারবার বলে আসছি, স্পষ্ট রোডম্যাপ ও দ্রুত নির্বাচন। তা না হলে যে সংকটগুলো শুরু হচ্ছে, তা কাটবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে না। বিএনপি জাতির স্বার্থে, জাতিকে রক্ষা করার স্বার্থে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার স্বার্থে নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত পার্লামেন্টের কথা বলছে।’

এ সময় জিয়া উদ্যান ছিল লোকে লোকারণ্য। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আমিনুল হক, ডা. রফিকুল ইসলাম, রফিকুল আলম মজনু, এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here