নোয়াখালীর কবিরহাটে বাজার ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২

0
49
নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কবিরহাটের আমিন বাজারের হাটবাজার ইজারার দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যুবদল নেতা সুজন ও ছাত্রদল নেতা মিরাজসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গনে আহতদের স্বজন ও স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদল নেতা মিরাজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, আমিন বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী ইলিয়াস মেম্বারের নেতৃত্বে, রাসেল, জলিল মানিক, সবুজ বেলালসহ ৫০-৬০ জন সন্ত্রাসী  অতর্কিতভাবে ঘটনারদিন বিকেলে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
এতে তাদের হামলায় ধানসিড়ি যুবদল নেতা সুজন , ছাত্রদল নেতা মিরাজ, ধনু মেম্বার, আবদুল মালেক, শ্রমিকদল নেতা আরিফ, কলেজ ছাত্রদলের আনোয়ার হোসেন, যুবদলের জামাল ও নিজামসহ ১০ জন আহত হয়েছে। ইজারা নিয়ে সমঝোতা হলেও প্রতিপক্ষের লোকজন সমঝোতা উপেক্ষা করে দরপত্র জমা দেন। তবে প্রশাসন বলছে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছে। কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমার কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। যোগাযোগ করা হলে চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ বলেন, আমি কোনো দলের পরিচয়ে ইজারা পাইনি। ইজারা না পেয়ে ধনু মেম্বার ও তার ছেলে যুবদল নেতা সুজন গায়ে পড়ে মারামারি করতে চেয়েছে। এতে আমার একজন লোকের হাত ভেঙ্গে যায় এবং আরো কয়েকজন আহত হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী কবিরহাট উপজেলার বার্ষিক হাটবাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয় উপজেলা প্রশাসন। এরপর সিডিউল ক্রয় করে অনেক নতুন ও পুরাতন দরদাতা দরপত্র জমা দেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বোচ্চ ধর ২৩ লক্ষ টাকায় উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের আমিন বাজারের ইাজারা পায় নতুন দরদাতা চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ। এনিয়ে ইউএনও কার্যালয় থেকে বের হলে আমিন বাজারের পুরাতন ইজারাদার বিএনপি নেতা ধনু মেম্বার ও তার ছেলে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সুজন অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে তারা ইউএনও কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষ বাকবিতন্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে যুবলীগ কর্মী ইলিয়াসের নেতৃত্বে কয়েকশত মানুষ উপজেলা পরিষদের মাঠে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া বেদম মারধর করলে এতে কমপক্ষে ১২জন আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীন মিয়া বলেন, ইজারা এক পক্ষ পেয়েছে আরেক পক্ষ পায়নি। এটা নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে বের করে দেয়। কোন পক্ষ এখনো আসেনি। কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা বলেন,দরপত্র মূল্যায়নে অনেক মানুষ এসেছে। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে জটলা হয়েছে। তখন আমি আমার অফিসে ছিলাম। তবে মারামারির কোনো ঘটনা দেখেনি। হাটবাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here