নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় স্থাপিত ২টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।অভিযানে ইটভাটাগুলোর কিলন ও চিমনি ভেঙে দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়।
বুধবার (১২ মার্চ) নোয়াখালী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও সুবর্ণচর উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যােগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এসময় চর আমানউল্লাহ স্হাপিত মেসার্স যমুনা ইটভাটার ম্যানেজারকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।অপর ইটভাটা মেসার্স মুক্তাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সুবর্ণচর উপজেলার সহকারী কমিশনার( ভূমি) ছেনমং মারমা।এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হাসান সজীব, চরজব্বার থানা পুলিশ ও সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট সদস্যগণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিহির লাল সরদার জানান,মেসার্স মুক্তা ও যমুনা ব্রিকস কোনোরকম লাইসেন্স ও ছাড়পত্র ব্যতিরকে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ এলাকায় ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্হাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৯ এর আলোকে এ অভিযান পরিচালনা করে উপরোক্ত দণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর আগে যৌথ অভিযানে মেসার্স যমুনা ব্রিকসকে ভেঙে দিয়ে ভাটা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।কিন্তু সে আইন লঙ্ঘন করে ফের চালু করায় আজকের অভি্যানে ইটভাটার ম্যানেজারকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অবৈধ ইটভাটর বিরুদ্ধে অভিযানের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা ও মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করে যাবে বলে জানান মিহির লাল সরদার।

উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামীলীগের সরকারের স্হানীয় সংসদ সদস্যদের আনুকুল্যে ছাত্রলীগ,যুবলীগের নামধারী নেতারা বিগত বছরগুলোতে নোয়াখালীর শস্য ভাণ্ডারখ্যাত সুবর্চর উপজেলায় ১২টি ইটভাটা গড়ে ওঠে।আর এসব ইটভাটায় প্রতিনিয়ত পুড়ছে কাঠ।উজাড় হচ্ছে বনভূমি।আবার আবাদযোগ্য ফসলের মাঠ থেকে উৎকৃষ্ট মানের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার ফলে ফসল উৎপাদনে ধ্বস নেমেছে।স্হানীয়রা এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্হা নেওয়ার দাবিতে একাধিক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি