মোঃ নিশাদুল ইসলাম:
তারিখ নির্ধারণ করেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ আবার পেছানো হয়েছে। সম্মেলনকে ঘিরে বিভক্ত হওয়া জেলা বিএনপির একটি অংশের ফেস্টুন ব্যানার এবং সুসজ্জিত গেইটে শহরের প্রদান প্রদান সড়ক সুসজ্জিত করা হয়েছিলো। অন্যদিকে জেলা বিএনপির অন্য একটি বড় অংশের ছিলো নানা কারনে তা প্রতিহতের ডাক। অনুরোধ রক্ষার কথা বলার পর এবার অনিবার্য কারণবশত আবারও বিএনপির সম্মেলন হচ্ছে না বলে জানানো হয়। ১৮ জানুয়ারি শনিবার বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও এর আগে ২৮ ডিসেম্বর সম্মেলনে তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আ জ ম মোরশেদ আল মামুন লিটন এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন, অনিবার্য কারণে পূর্ব ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
গতকাল ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার স্বাক্ষর করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৮ জানুয়ারি শনিবার সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এর আগে সম্মেলনের দুদিন আগে ২৬ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, ভোটারদের অনুরোধে অধিকতর প্রস্তুতির লক্ষ্যে ২৮ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৮ জানুয়ারি শনিবার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন পিছিয়ে পড়ায় আয়োজনকারী পক্ষ কিছুটা হলেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। অন্যদিকে কথা না রেখে সম্মেলন প্রতিহতের ডাক দিয়ে দুই নেতাকে শোকজের ঘটনা আরেকটি পক্ষকে অস্থিরতার মধ্যে ফেলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হওয়া ওই পক্ষের এক সমাবেশে একাধিক সাবেক এমপিসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত না থাকার বিষয়টি তাদেরকেও অনেকটা বেকায়দায় ফেলেছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, প্রথমে ২৮ ডিসেম্বর জেলা সম্মেলন তারিখ ঘোষণা করা হয়। এক দফা পিছিয়ে ১৮ জানুয়ারি সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সম্মেলন পিছাতে এক পক্ষের দাবি মেনে নিয়েই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। নতুন তারিখ ঘোষণা ও আংশিক ভোটার তালিকা প্রকাশের পরও একটি পক্ষ এখন আবার একই দাবি তুলেছে। ভোটার তালিকা প্রণয়নে তাগিদের মূল্যায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/১৭ জানুয়ারি-২৫/মওম
- Advertisement -

