উপজেলা পর্যায়েও সাংবাদিকের নির্যাতন হলে শেষ দেখে ছাড়বে ডিএমসিআরসি

0
131

সরকারি নিবন্ধিত সাংবাদিক সংগঠন ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি আজ ১৮ ডিসেম্বর (বুধবার) এক বিবৃতিতে সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সংগঠনটির মুখপাত্র মুহাম্মদ আবু আবিদ এর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, “সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম আসায় আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক ৯ দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিন। এর পরেই আছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও মেক্সিকো। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (আরএসএফ) বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন ও তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক নির্বিচার মামলা ও হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম সোসাইটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। একইসাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে উপজেলায় পর্যায়েও হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন সাংবাদিকবৃন্দ।

অতিশীঘ্রই আমরা সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধে একটি সেল গঠন করা উদ্যোগ গ্রহন করব। সেই সেল প্রতি মাসে কতজন সাংবাদিক কিভাবে,কেন, কোথায় নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে তা সরকার ও জাতির সামনে লিখিত আকারে প্রকাশ করবে। আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম সোসাইটির কাছে প্রমান থাকা সত্ত্বেও যদি বাংলাদেশের সরকার থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয়, তবে আমরা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আদালতে মামলা করব।

অবশেষে একটি কথাই বলতে চাই, জাতীয় সাংবাদিক কিংবা মফস্বল বলতে আমাদের কাছে কোন শব্দ নেই। আমরা সকল সাংবাদিক একটিই পরিবার। তাই যেকোন জায়গায় সাংবাদিক নির্যাতনে আমরা সোচ্চার থাকব এবং প্রতিটি ঘটনার শেষ দেখে ছাড়ব। ”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মুখপাত্র ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আবিদ জানান, যুগের পর যুগ ধরে সাংবাদিক নির্যাতন হয়ে আসছে। প্রধান শহরগুলোতে সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়ে বিচার না হলেও অন্তত পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। সাংবাদিক সংগঠনগুলো বিবৃতি দেয়। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের নির্যাতনের কথা রাজধানী পর্যন্ত পৌঁছায় না। তাদের বিচার পাওয়া তো দূরের কথা, বরং নির্যাতিত সাংবাদিক আরও লাঞ্চনার স্বীকার হয়। তাই আমার সেল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। ঐ সেলে আইনজীবী নিয়োগ করা হবে। বিনামূল্যে একেবারে মফস্বল পর্যায়ের নির্যাতনের বিচার পাইয়ে দেয়ার প্রয়াস আমরা করছি। কিছুদিনের মধ্যেই আমরা সেল গঠন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে আপনাদের সব জানিয়ে দেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here