আজ সোমবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনীতিবিদদেরই করতে হবে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রাজনীতির বাইরে থেকে যে সংস্কার আসে সেটার বাস্তবতার সাথে অনেক অমিল থাকে। এই কারণে রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদদের সমাধান করতে হবে।  ২৫ অক্টোবর শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার নারী এবং শিশু অধিকার ফোরামের পরিচিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমরা সবাই একমত হয়েছি একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের বিষয়ে, আমরা সে সংস্কার  প্রস্তাব দিয়েছি। আপনারা যারা দায়িত্ব পেয়েছেন, একসাথে বসেন দেখেন কোন শব্দটা ভুল, কোনটা বানান ভুল। তারপর জাতির সামনে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, একটা সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে, কিন্তু তাদের তো কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে না। সবাই তো আরাম আয়েশে ঘোরাফেরা করছে। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পরে জাহাঙ্গীর কবির নানক ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দিয়েছে, এই বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার কতটুকু যৌক্তিক?

- Advertisement -

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৭ দফা রাষ্ট্র কর্মসূচি জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন বলে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আমরা তখন যুগপৎ আন্দোলন করলাম, সকল দলের মতামতের ভিত্তিতে সেটাকে আরও পরিমার্জিত করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব জাতির সামনে তুলে ধরেছি। সেটা এই সরকার পতনের আগে যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সুতরাং নতুন সংস্কারের গীতিকারের প্রয়োজন নেই। সংস্কার কার্যক্রম মাসের পর মাস প্রয়োজন নেই দাবি করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় । সেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবে কমপক্ষে ৪০টি দল একমত হয়েছে।

বিএনপির রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা অন্তর্বর্তী সরকারকে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আপনারা সেই ৩১ দফা নেন। সেখানে যদি কিছু পরিমার্জিন করা লাগে সেটা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করেন। এর জন্য মাসের পর মাস প্রয়োজন হয় না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক সেলিমা রহমান বলেন, তারেক রহমান বলেছেন দেশে নারী এবং শিশুরা যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছে তাদের রক্ষায় একটি কমিটি করেন। তার ধারাবাহিকতায় আমরা কমিটি করে যেখানে নারী নির্যাতন হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়েছি।

সেলিমা রহমান আরও বলেন, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একজন মহিলা কেন ধানের শীষে ভোট দিয়েছে, সেইজন্য তাকে ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকেরা নির্যাতন করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নারী ও শিশুদের হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। স্বৈরাচার পতন হয়েছে কিন্তু নারীরা এখনো মুক্ত হয়নি।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নারী এবং শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী।

আলোকিত প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর -২৪/মওম

- Advertisement -
- Advertisement -