আজ রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।   ১৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাঝসমুদ্রে ডুবে গেল চীনা পারমাণবিক সাবমেরিন

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চীনের নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন এই বছরের শুরুর দিকে মাঝসমুদ্রে ডুবে গেছে। এই খবরে তোলপাড় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র। বিশ্বের বৃহত্তম নৌসেনার অধিকারী চীন। নাম প্রকাশে  না করে এক  মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সাম্প্রতিক নিজেদের সামরিক বিভাগকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে চীনা ফৌজ। ইতিমধ্যেই ৩৭০টি জাহাজ রয়েছে চীনা নৌবাহিনীতে। তার পরেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির চেষ্টা করছে তারা । কিন্তু সেই সাবমেরিন ডুবে গিয়েছে বলে দাবি মার্কিন কর্মকর্তাদের। চলতি বছরের মে-জুন মাস নাগাদ সাবমেরিনটি ডুবেছে বলে খবর। বেইজিংয়ের জন্য এটি একটি বিব্রত হওয়ার মতো ঘটনা, কারণ বেইজিং তার সামরিক সক্ষমতা প্রসারিত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে।  ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, তাদের কাছে দেওয়ার মতো কোনো তথ্য নেই। তিনি বলেন, “আপনার উল্লেখ করা পরিস্থিতির সঙ্গে আমরা পরিচিত নই এবং বর্তমানে দেওয়ার মতো কোন তথ্য নেই।”

তিনি আরও বলেন যে কী কারণে সাবমেরিন ডুবে গেছে বা সেই মুহূর্তে তাতে পারমাণবিক জ্বালানি ছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে চীনের এমন বার্তার পরেও নিজের অবস্থানে অনড় মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা। তার কথায়, কবে কীভাবে সাবমেরিনটি ডুবে গিয়েছে তা জানা যায়নি, তবে ঘটনাটি মিথ্যে নয়। বিবিসি উহান শিপইয়ার্ড থেকে সংগৃহীত বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট ছবি পর্যালোচনা করেছে। ১৫ জুন তোলা চিত্রগুলিতে দেখা গেছে সমুদ্রের মধ্যে একটি বার্থের পাশে বেশ কয়েকটি ক্রেন বার্জ কাজ করছে। বিবিসি এই ছবিগুলি একজন নৌ বিশেষজ্ঞ মাইক প্লাঙ্কেটকে দেখালে তিনি জানিয়েছেন, ‘সেখানে কোনো সাবমেরিন থাকতে পারে।’ তাইওয়ান বলেছে যে, তারা সাবমেরিন সম্পর্কে নিজস্ব তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং একাধিক গোয়েন্দা ও নজরদারি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। থমাস শুগার্ট, একজন প্রাক্তন মার্কিন নৌবাহিনীর সাবমেরিনার এবং সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির একজন বিশ্লেষক, জুলাই মাসে সাবমেরিনের সাথে জড়িত ঘটনাটি প্রথম লক্ষ্য করেন। আশ্চর্য হব না যদি এই ডুবে যাওয়ার ঘটনাটি PLA Navy লুকানোর চেষ্টা করে।’ সাবমেরিন ডুবে যাওয়ার ঘটনাটি এমন এক সময়ে সামনে এসেছে  যখন বেইজিং কার্যত সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরের দাবিতে ক্রমবর্ধমানভাবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনাম সহ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সাথে চীনের  দীর্ঘস্থায়ী সামুদ্রিক বিরোধ রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

- Advertisement -

আলোকিত প্রতিদিন/২৮ সেপ্টেম্বর-২৪/মওম

- Advertisement -
- Advertisement -