আজ রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।   ১৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এলপিআর ও পিআরএল প্রসঙ্গ

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

সাঈদ রেজা:
আওয়ামী আমলাদের রাজনৈতিক খায়েস পূরণে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য অবসরের এলপিআর হয়ে গেল রাতারাতি পিআরএল। জীবন থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের হারিয়ে গেল একটি বছর। সরকারী চাকুরিজীবিরা এক বছর সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতেন। ব্রিটিশ আমল থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের পূর্বে ৫৭ বছর পরে কোন ৫৯ বছর পূর্তিতে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি হিসেবে এক বছর ছুটি প্রদান করা হতো । এক বছর ছুটি ভোগের পর তারা পূর্ণাঙ্গ অবসরে যেতন। হঠাৎ করেই ২০১৫ সালে আমলারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এক বছর এলপিআর ছুটি বাতিল করে চালু করে PRLএর সঙ্গে জড়িত সিনিয়র সচিব কবীর বিনা আনোয়ার , মঞ্জুরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ অনেকেই এমপি পদ বাগিয়ে নিয়ে নিজেদের সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীরা হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারি নিয়ম ছিল চাকরির শেষ হলে তিন বছর অতিক্রান্ত না হলে কেউ এমপি ইলেকশন করতে পারবেনা এই সমস্ত আমলারা সেই বাধা অতিক্রম করবার জন্য এলপিআর প্রথা বাতিল করে এটা একটি বৈষম্য মূলক আইন চালু করে। এই আইনের ফলে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলপিআর হচ্ছে অবসর প্রস্তুতি মুলোক ছুটি আর পি আর এল হচ্ছে অবসর উত্তর ছুটি এখানে এলপিআর রূপান্তর করাতে কর্মকর্তাদের নানা কল্যাণ আছে এরকম খোঁড়া যুক্তি উপস্থাপন করে এটা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দিয়ে আওয়ামী পন্থী আমলাগন বিষয়টা অনুমোদন করিয়েছে । ভূতাপেক্ষ ভাবে এটা কাল আইন বাতিল করে পূর্বের এলপিআর পদ্ধতি চালু করার জন্য আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

- Advertisement -
- Advertisement -