স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই তথ্যকে সমর্থন করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের প্যানেলও। গত মে মাসে গাজা সফরে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মনোনীত ১১ জন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্যানেলের সদস্যরা জানিয়েছেন, সফরের সময় তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস এবং মধ্যাঞ্চলীয় উপশহর দেইর আল বালাহতে অপুষ্টিজনিত কারণে বেশ কয়েকজন শিশুকে মৃত ও মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেছেন। “গাজার মধ্যাঞ্চলে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এই শিশুদের মৃত্যু গাজায় ছড়িয়ে পড়তে থাকা দুর্ভিক্ষের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ছে,’ বলা হয়েছে জাতিসংঘ প্যানেলের বিবৃতিতে।
জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত মিখায়েল ফাখরি জাতিসংঘ প্যানেলের এই বিবৃতিকে সমর্থন করে পৃথক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’ খান ইউনিসের একটি হাসপাতালে নিজের মুমূর্ষু পুত্রসন্তানকে নিয়ে আসা ফিলিস্তিনি নারী গানিমা জোমা রয়টার্সকে বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে আমি আমার সন্তানকে খাওয়াতে পারিনি। যে পানি এখন আমরা খাচ্ছি, তা এবং দূষিত ছেলের দিকে তাকালে কষ্ট হয়।’
বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেস ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিএস) নামের একটি সংস্থা রয়েছে। জাতিসংঘ সমর্থিত এই সংস্থাটির এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, এই মুহূর্তে গাজায় চরম খাদ্যসংকটে রয়েছেন ৪ লাখ ৯৫ হাজারেরও বেশি মানুষ, যা ওই উপত্যকার মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগের এক অংশ। যদি শিগগিরই ইসরায়েলি বাহিনী সীমান্ত অবরোধ তুলে নিয়ে ত্রাণ সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় না আনে, তাহলে এ সংকটে অচিরেই আক্রান্ত হবে আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।
সূত্র : রয়টার্স
আলোকিত প্রতিদিন / ১০ জুলাই-২০২৪ /মওম