এম জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম
গত শনিবার (৬ জুলাই ২০২৪) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ‘ক্লাব কলেজিয়েট হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তকে নিয়ে প্রথম প্রকাশনা শিমুল বড়ুয়া ও রেবা বড়ুয়া সম্পাদিত ‘মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত দ্বিশততম জন্মবর্ষ স্মারকগ্রন্থ’র প্রকাশনা অনুষ্ঠান। চট্টগ্রামের প্রকাশনা সংস্থা ‘বলাকা প্রকাশন’ থেকে গ্রন্থটি প্রকাশ হয়েছে। বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পর দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ’ চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম জুয়েল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর ড. অনুপম সেন। প্রধান আলোচক ছিলেন, ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম। আইনজীবী প্রদীপ কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ঢাকার অবসরপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. অরুপ কুমার বড়ুয়া, যশোর মধুসূদন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও মধুসূদন গবেষক কবি খসরু পারভেজ, বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ’ কেন্দ্রীয় সভাপতি তাপস হোড়, লেখক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও বলাকা প্রকাশনা সংস্থার স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক শিমুল বড়ুয়া ও চট্টগ্রাম আইন কলেজের সাবেক ভিপি এডভোকেট রেবা বড়ুয়া প্রমূখ ।
বক্তারা বলেন, বাংলা সাহিত্যে আধুনিক ধারার প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (২৫ জানুয়ারী ১৮২৪- ২৯ জুন ১৮৭৩) মাত্র চার বছর (১৮৫৯- ১৮৬২) বাংলা সাহিত্যচর্চা করে বাংলা সাহিত্য ভান্ডারকে হৃদ্ধ করে গেছেন। তিনিই বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহাকাব্য, প্রহসন, সনেট, পত্রকাব্য, এপিটাফ ইত্যাদির রচয়িতা। তাঁকে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি, তিনিই প্রথম বাংলা ভাষা- সাহিত্যের পুরানো গতানুগতিক নিয়মকানুন- আদর্শের বিপরীতে গিয়ে প্রাচ্য- পাশ্চাত্যের সমন্বয়ে নব সৃষ্টিশীলতা সম্পন্ন আধুনিক যুগের প্রবর্তন করেন। বাংলা ভাষা- সাহিত্য ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি