আসছে শুভ্রতার প্রতীক নিয়ে শরৎ

0
174

নাঈমুল রাজ্জাক:
শরৎ তার রূপমাধুরীতে রাঙিয়ে দেয় প্রকৃতির প্রতিটি প্রহর। শরতে প্রকৃতি থাকে শুভ্র-সতেজ। মেঘাছন্ন আকাশ ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে পরিপাটি। ষড়ঋতুর এ দেশে শরৎ হলো শুভ্রতার প্রতীক। শরৎ এ সময় স্নিগ্ধতায় বিমোহিত থাকে মন। প্রকৃতির বুকে, শুভ্রতার উৎকৃষ্ট নিশ্বাসেও জেগে ওঠে প্রণয়ের রেখা, বেজে ওঠে হৃদয়ের সুর আলোকিত স্বস্তির ভেতরে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শরৎ নিয়ে বলেছিলেন তার কবিতায়, ‘এই শরৎ-আলোর কমল-বনে/ বাহির হয়ে বিহার করে,/ যে ছিল মোর মনে মনে। তারি সোনার কাঁকন বাজে,/ আজি প্রভাত কিরণমাঝে, হাওয়ায় কাঁপে আঁচলখানি,/ ছড়ায় ছায়া ক্ষণে ক্ষণে।’
শরৎ এর প্রতিটি প্রহরেই শিরা উপশিরায় প্রবাহিত মুগ্ধতার পদধ্বনি। সন্ধ্যার প্রফুল্লতা মানুষের ভেতর জগৎ, প্রকৃতিকে করে তোলে লাস্যময়ী।
শরৎ এ চারিদিকে মৃদু ছায়ায় স্বপ্নগুলো নেচে উঠে, অসংখ্য স্বপ্নচারীর ইন্দ্রের অনুগত বিন্যাসের মতো, রূপালী রাতও প্রাণ খোলা উৎসবে মেতে উঠে যেমন আলোকিত স্বস্তির ভেতর। মৃদু ছায়াও সৃষ্টি হয় বৈচিত্র্যের সুর।
শরৎ তার সৌন্দর্য ও শুভ্রতায় অনন্য। সুশোভিত করে তোলে দেহ-মন সারাক্ষণ। শরৎ চিত্রশিল্পীর রঙ-তুলির আঁচড়ে সযত্নে আঁকা সুনিপুণ এক চিত্রকর্ম। সে এক কাব্যিক অনুভূতি।
মধ্যযুগের কবি চণ্ডীদাস, মহাকবি কালিদাস থেকে শুরু করে আধুনিক লেখক, কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় শরৎ বন্দনা দেখা যায়।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৯ জুলাই ২০২৪

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here